ঝালকাঠি জেলা পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষার ফলাফল ২০২২ –Jhalakathi District Family Planning Exam Result , dgfp Jhalakathi Results
ঝালকাঠি জেলা পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষার ফলাফল ২০২২ –Jhalakathi District Family Planning Exam Result , dgfp Jhalakathi Results জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, ঝালকাঠি মৌখিক পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ঝালকাঠি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নিয়োগযোগ্য ০৩ (তিন) ক্যাটাগরির পদে গত ০৪/১১/২০২২ খ্রি. তারিখ অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল অত্রাফিসের ০৪/১১/২০২২ খ্রিঃ তারিখের স্মারক নং- ৫৯.১১.৪২০০,০০০ ১১.০০৭.২২-৫০৭ মোতাবেক প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নিম্নোক্ত সময়সূচি মোতাবেক অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে জানানো যাচ্ছে যে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ঝালকাঠি জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ৩ (তিন) ক্যাটেগরির (পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং আয়া) মোট ১৫ (পনের) টি শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে ০৪ নভেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষা ও ০৮ নভেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নিম্নে উল্লিখিত রোল নম্বরধারী প্রার্থীগণ চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলা পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষার ফলাফল ২০২২ –Jhalakathi District Family Planning Exam Result , dgfp Jhalakathi Results
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের । তাদের মতে, আমেরিকায় করোনা নিয়ন্ত্রণের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দু’সপ্তাহের মধ্যেই ৯৭ হাজার শিশু করোনা আক্রান্ত হয়। পরে দ্রুত বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয় আমেরিকার প্রশাসন। আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, সুরক্ষা ও স্বাস্থবিধির তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক ধাপ পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে করোনা ভয়াবহ রূপ নেবে। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করোনা সংক্রমণের বেশি ঝুঁকিতে পরবে। কারণ শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও সেটি রাখবে না। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জাানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি। এতে শিক্ষার্থী ২ কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজারের বেশি। কিন্ডারগার্টেন (কেজি) আছে ৭০ হাজারের বেশি যেখানে কয়েক লাখ শিশু আছে। করোনাকালীন সময়ে গত ছয় মাস বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশে শীতের মৌসুমে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিদ্যালয় খোলার বিষয়টি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের ভাবিয়ে তুলছে। তাদের মতামত, করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা একটি ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত হবে। বিশ্বের অনেক দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এক সপ্তাহ পর ফের বন্ধ করেছে। আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোন পরিবেশ তৈরি হয়নি।
দেশে করোনা মহামারীর কারণে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো ১৭ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয় যা আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্রের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এই পরিপত্রের বলা হয়েছে : শ্রেণীকক্ষসহ বিদ্যালয়ের পুরো আঙিনা ও সব আসবাবপত্র সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জীবাণুমুক্ত করা, শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ‘ইনফ্রারেড থার্মোমিটার’, সাবান, ব্লিচিং পাউডার, মগ, জগ ও বালতি ইত্যাদি কেনা, ওয়াশ ব্লক ও টয়লেট সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, অস্থায়ীভাবে হাত ধোয়ার স্থান নির্ধারণ করে হাত ধোয়ার পানি ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজন হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য শ্রমিক নেয়া এবং কোভিড-১৯ মেয়াদকালে ইন্টারনেট ডেটা কেনা। পরিপত্রে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকার আলোকে নিজ নিজ বিদ্যালয় স্থানীয়ভাবে পরিকল্পনা করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় পুনরায় চালুর প্রস্তুতি বিষয়ক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এখন প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করার কৌশল নির্ধারণে সারাদেশের মাঠপর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মতামত নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনেকে প্রথম ধাপে জেলা পর্যায়ের ২৫ শতাংশ বিদ্যালয় খুলে দেয়ার প্রস্তাব জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু সংখ্যক স্কুল খোলা থাকলেও কড়াকড়ি স্বাস্থ্য মেনে চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুললেও বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা আছে। কারণ ঘনবসিত এই দেশে বাড়ির বাইরে যখন মানুষ বের হচ্ছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললেও অধিকাংশ মানছেন না। সেখানে শিশুরা স্কুলে এসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল এটি কখনই সম্ভব নয়।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষকদের-শিশুদের স্কুল খুললে অভিভাবকরা চলে আসবেন। তাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হবে। আগামী ছয় মাসেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ তৈরি হবে না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রেখে বিদ্যালয়ে পাঠাদান পরিচালনা নির্দেশনা যদি দেয়, সেটি বাস্তবতার সঙ্গে কখনই সম্ভব নয়। শিশুদের মুখে মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়বে। দেখা যাবে, শিশুরা ক্লাসের ভেতরেই বারবার মুখের মাস্কে হাত দিচ্ছে এবং খুলে ফেলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, করোনাভাইরাসে গত ছয় মাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বসে আছে। অনলাইনে কখনই পরিপূর্ণ লেখাপড়া হয় না শিক্ষার্থীদের। তবে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ঠিক হবে কিনা- সেটি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে সংশ্লিষ্টরা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়বে বলে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও বারবার সতর্ক বাণী করেছে- কিছু দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলতে। আবার যেসব দেশে করোনার প্রথম ঢেউ চলছে সেখানে দ্বিতীয় ঢেউ আসবে। আমরা দেখেছি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীত মৌসুমে করোনায় অনেক মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বাংলাদেশে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে শীত আসবে। এই শীতে মৌসুমে মানুষের জ্বর, সর্দি ও কাশি বেড়ে যায়। এবার জ্বর, সর্দি ও কাশির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। এজন্য করোনা আক্রান্ত জটিল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সতর্ক বাণী বিবেচনায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আসবে। যারা আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাদের ঝুঁকির মুখে ফেললে আগামীর বাংলাদেশ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষের তুলনায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি আছে। সেখানে নিয়ম অনুযায়ী শিশুদের শ্রেণীকক্ষে বসানো সম্ভব না। বিদ্যালয়ে অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। আর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। সার্বিক বিবেচনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই মুহূর্তে বিদ্যালয় খোলা সুমীচীন হবে না।