শিক্ষক নিয়োগ তথ্যশিক্ষা খবর

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- রবীন্দ্রনাথের অপরিচিতা গল্পের মূল সুর কি?
উত্তর: দৃঢ় চেত নারী ব্যক্তিত্বের জাগরন ও ও পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতার স্ফুরণ।

প্রশ্ন- অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর মাঝে কোনটি দেখা যায়?
উত্তর: কল্যাণীর মাঝে দেশাত্মবোধ দেখা যায়।

প্রশ্ন- অপরিচিতা গল্পের বিশেষ দিক কোনটি?
উত্তর: অপরিচিতা গল্পে নারী ব্যক্তিত্বের জাগরণ ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন- কল্যাণীর বিয়েতেও স্বীকৃতি ও মেয়েদের শিক্ষা ব্রত গ্রহণ করায় পাঠকের চোখে তার কোন বৈশিষ্ট্য ধরা পড়েছে?
উত্তর: পাঠকের চোখে মূল্যবোধ ধরা পড়েছে।

প্রশ্ন- গজানন বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: গজানন বলতে গণেশ কে বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন- অপরিচিতা গল্পে ফলের মতো গুটি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: অনুপমের নিষ্ফল জীবন।

প্রশ্ন- রক্তকরবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কি ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর: রক্তকরবী নাটক গ্রন্থ।

প্রশ্ন- অপরিচিতা গল্পের কথক এর বয়স কত ছিল?
উত্তর: ২৭ বছর বয়স।

প্রশ্ন- অনুপম কে শিমুল ফুলের সঙ্গে তুলনা করতেন কে?
উত্তর: পন্ডিতমশাই অনুপমকে শিমুল ফুলের সঙ্গে তুলনা করতেন।

প্রশ্ন- অপরিচিতা গল্পে অনুপমের সুন্দর চেহারাকে পণ্ডিতমশাই শিমুল ফলের সাথে তুলনা করেছিলেন কেন?
উত্তর: অন্তঃসারশূন্য বলে।

প্রশ্ন- আমার পুরোপুরি বয়স হইল না- কথাটি দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তর: অনুপমের পরমুখাপেক্ষী হওয়া ক বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন- অপরিচিতা গল্পে মামার সাথে অনুপমের বয়সের পার্থক্য কত ছিল?
উত্তর: বছর ছয়েক।

প্রশ্ন- অনুপম কে সংসারের কোনো ভাবনাই ভাবতে হয় না কেন?
উত্তর: পরিবারে মামার প্রভাব থাকায়।

টর্ট আইন

প্রশ্ন- ‘বাংলাদেশের মধ্যে আমিই একমাত্র পুরুষ যাহাকে কন্যার বাপ বিবাহ বাসর হইতে নিজে ফিরাইয়া দিয়াছে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বিয়ের দিনে অনুপমের ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয় পেয়ে শম্ভুনাথ সেন কল্যানীর সাথে তার বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার মতো অভাবনীয় কাণ্ডে অনেকটা হতবিহবল হয়ে অনুপম একথা বলেছে।
অনুপমের বিয়ের লগ্ন উপস্থিত হলে তার লোভী মামা কল্যাণীর বাবার কথায় আস্থা না রেখে, বিয়ের আগেই সমস্ত গহনা সেকরা দিয়ে পড়াতে চান। আর এসময় অনুপম কোন প্রতিবাদ না করায়, শম্ভুনাথ অপমানিত বোধ করেন এবং কন্যাদান অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরকম ঘটনা সচরাচর লক্ষ্য করা যায় না। এরূপ পরিস্থিতিতে শম্ভুনাথ সেন অনুপমের অপমান বোঝাতেই উক্তিটির উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রশ্ন- ‘এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি’ ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে অনুপম কল্যাণী এর কাছাকাছি থাকা বলতে তার হৃদয়ে জায়গা পাওয়ার কথা বুঝিয়েছ।
কানপুরে পৌঁছে কল্যাণীর পরিচয় জানতে পেরে অনুপমের হৃদয় আবারো কল্যাণীর চিন্তায় আছন্ন হয়। বিয়ে করতে চাইলেও কল্যাণী রাজি হয়না। কল্যাণীর কাছাকাছি থাকার জন্য কানপুর এ বসবাস করতে শুরু করে। সুযোগ পেলেই সে কল্যানীর কাজে সাহায্য করে। আর ভাবে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাইনি কিন্তু কাছে থাকার সুযোগ টুকুই বা কম কিসে।

প্রশ্ন- ‘মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাহার কাছে গুরুতর’ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: বিয়েতে কল্যাণীর যোগ্যতার চেয়ে তার পিতা শম্ভুনাথ কি পরিমাণ পন দিতে সক্ষম অনুপমের মামার কাছে সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
হরিশ অনুপমের মামার কাছে অনুপমের জন্য পাত্রীর সন্ধান দেয়। পাত্রীর কথা জানার চেয়ে মামর কাছে পাত্রীর বাবার বিষয়-সম্পত্তির ব্যাপারে জানার বেশি আগ্রহ দেখা যায়। রূপ গুণ নয় বরং তার বাবার আর্থিক সক্ষমতার মানদণ্ডে পাত্রীর যোগ্যতা যাচাই করে । অনুপমের মামা আলোচ্য উক্তিটিতে অনুপমের মামার যৌতুক প্রবণতা প্রকাশ হয়েছে।

প্রশ্ন- ‘একেতো বরের হাট মহার্ঘ, তাহার পরে ধনুক ভাঙ্গা পণ’ এই কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: ১৫ বছর বয়সেও কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার কারণ নির্দেশ করা হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে।
কল্যাণীর বয়স ১৫ বছর যা তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় বিয়ের যোগ্য কন্যার জন্য অনেকটাই বেশি। মোটা টাকা যৌতুক দিতে হয় বলে সুপাত্র মেলায় ভার। তবে এ ব্যাপারে কল্যাণীর বাবা চিন্তিত নন। বয়স যতই হোক উপযুক্ত পাত্র ছাড়া কন্যার বিয়ে না দিতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তখনকার সমাজে কন্যার পিতার মনোভাবের প্রকাশ ঘটাতে সাধারণত দেখা যেত না।

প্রশ্ন- ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজানোর ছোটো ভাইটি’ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে ব্যাঙ্গার্থে দেবতা কার্তিকের সঙ্গে অনুপমের তুলনা করা হয়েছে।
দেবী দুর্গার দুই পুত্র অগ্রজ গণেশ ও কার্তিক। দেবী দুর্গার কোলে দেবসেনাপতি কার্তিক অপূর্ব সভায় ভাস্কর। বড় হয়েও অনুপম কার্তিকের মত মায়ের কাছাকাছি থেকে মাতৃ আজ্ঞা পালনে ব্যস্ত থাকে। তাই পরিণত বয়সেও তার স্বাধীন ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে না। অপরাচিতা গল্পের অনুপম পরিবারের কাছে অসহায় ও ব্যক্তিত্বহীন একটি চরিত্র। উচ্চ শিক্ষিত হলেও তার নিজস্ব তা বলতে কিছু নেই। তাকে দেখলে মনে হয় আজও সে যেন মায়ের কোলে থাকা শিশুমাত্র। এজন্য অনুপম কে কার্তিকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

প্রশ্ন- অনুপমের বিবাহ যাত্রার বর্ণনা দাও।
উত্তর: অনুপম মহাসমারোহে সাথে বিবাহ করতে গিয়েছিল।
ধনীর ঘরের ছেলে অনুপম। তাই তার বিয়েতে ছিলো অভিজাতদের ছোঁয়া। ব্যান্ড, বাঁশি, কনসার্ট কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। দামি পোশাক ও বাহারি গহনা জড়ানো ছিল। অনুপমের শরীর কে দেখে মনে হচ্ছিল সে যেন ভাবি শ্বশুরের সঙ্গে আভিজাত্যের মোকাবেলা করতে বিয়ের আসরে যাচ্ছে।

প্রশ্ন- অনুপমের মামার মন কিভাবে নরম হইলো?
উত্তর: অপরিচিতা গল্পের হরিশ অনুপমের মামার কাছে কল্যাণী ও তার পরিবারের প্রশংসা করার ফলে মামার মন নরম হলো।
বিয়ের পাত্রী তথা কল্যাণীর পারিবারিক অবস্থা বংশমর্যাদার ব্যাপারে অনুপমের মামাকে বিশদ বর্ণনা দেয় হরিশ। এসব কথা শুনে তিনি আশ্বস্ত হলেও কল্যাণীর বয়স বেশি মনে করে বিয়ে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হন। কিন্তু কথা দ্বারা মানুষের মনকে প্রভাবিত করার বিশেষ গুণ। তাইতো পর তার কাছ থেকে পাত্রী ও তার পরিবারের বিষয় নির্ভরযোগ্য প্রশংসা বাক্য শুনে আমার মন নরম হয়েছিল।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group