উপবৃত্তি নিউজ

কিভাবে আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাবো ?

আমি কিভাবে আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাবো ? আপনাদের মধ্যে যারা প্রায়সই জানতে চান- আল আজহারে ইউনিভার্সিটিতে কিভাবে পড়তে যাওয়া যায়, আমার অনেক ইচ্ছে, আমি কি পড়াশোনার জন্য যাইতে পারবো কিনা। এসব ব্যাপার লক্ষ্য করে অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম ব্যাপারগুলি নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখি যেন সবাই উওর পেয়ে যায়।

প্রথমত কথা হলো, আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে সবাই পড়তে পারে, এখানে কোন বয়সের সিমাবদ্ধতা নেই। আপনি যদি আলিম পরিক্ষা দিয়ে যান এবং ইয়ার গ্যাপ ৩ বছরের কম হয় তবে সরাসরি কাগজপত্র জমা দিয়ে ১ বছরের ভাষাকোর্স করে অনার্সে কনটিনিউ করতে পারবেন। আর যদি ইয়ার গ্যাপ হয় তবে একটা পরিক্ষা দিতে হবে ঐ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ভাষা কোর্স করে অনার্সে কনটিনিউ করতে পারবেন।
আর যদি মাদ্রাসা থেকে আলিম না দিয়ে কলেজের বা অন্য যাই হোক, তাহলে ওখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর একটি পরিক্ষা নিয়ে দিরাসাখাসায় পাঠাবে ওখানে যোগ্যতা অনুযায়ী যতদ্রত শেষ করে (মিনিমাম ৩ মাস) আরেকটি পরিক্ষার মাধ্যমে আপনার ক্লাস নির্ণয় করা হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যে ক্লাস পাবেন ঐ ক্লাস থেকে পড়ে অনার্সে উঠবেন। যদি আপনি ক্লাস ৮ম পান তবে পরবর্তী ক্লাসগুলো মাহাদে পড়ে উঠতে হবে। এখন ব্যাপার হলো যাবেন কিভাবে, আপনি স্কলারশিপের মাধ্যমে যেতে পারেন আবার প্রাইভেটভাবেও যেতে পারেন। যদি স্কলারশিপের মাধ্যমে যান তবে সম্পুর্ন ফ্রিতে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হবে, থাকা-খাওয়া সহ মার্সিক ভাতা দেওয়া হবে।

কিভাবে আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাবো ?

প্রাইভেট মাধ্যমে ই এখন বেশী ছাত্র আসে, কেননা বিশ্বমানের ইউনিভার্সিটিতে আপনি পড়তে পারতেছেন বিনা খরচে, কোন টিউশন ফি ছাড়াই। যেখানে বাংলাদেশের একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আপনার ১০/১৫ লাখ টাকা খরচ করতে হয় সেটা ১ বছরের ভাষা কোর্স সহ ৫ বছর পড়ে আসতে পারবেন ৫/৬ লাখ টাকাও লাগবে না।
মিশরে সবকিছুর দামই হাতের নাগালে। প্রতিমাসে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ করার মত অবস্থা থাকলে আপনি আজহারে আসতে পারেন। আরেকটি বিষয় আপনি যদি ভালো পড়াশোনা করেন, এবং ভালো রেজাল্ট করেন তবে ১/২ বছরের মধ্যেই আপনারও স্কলারশিপ হয়ে যাবে।

বর্তমানে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলো তিনটি ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে। তাহলো– ইসলামিক ও আরবি, বিজ্ঞান ও মানবিক। প্রত্যেক ইউনিটে রয়েছে একাধিক অনুষদ ও বিভাগ। আল আজহারে মোট ৮৭টি অনুষদ রয়েছে। যার ৪০টি মেয়েদের জন্য এবং ৪৭টি ছেলেদের জন্য।

বর্তমানে আল আজহারের প্রায় ১৫১৫৫ শ্রেণিকক্ষে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষক পাঠদান করেন। তাদের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ করেন ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের ২০ ভাগ বিদেশি। বর্তমানে ১০২টি দেশের শিক্ষার্থী আল আজহারে লেখাপড়া করছে।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ১০ জন ছাত্র আল আজহারের স্কলারশিপ পান। ২-৩ বছর আগে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আল আজহারের স্কলারশিপ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া হতো এবং সেখানেই লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভার মাধ্যমে ১০ জন মেধাবী ছাত্রকে বাছাই করা হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। সেখানেই আবেদন প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্য বিবরণী দেওয়া থাকে।

আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পেতে দাখিল ও আলিমের সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, আলিমের প্রশংসাপত্র, জন্ম সনদ, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট, পুলিশ-ক্লিয়ারেন্স, ছবি ইত্যাদি লাগে। আবেদন শেষ হওয়ার পরে যাদের বাছাই করা হয়, তাদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর সুযোগ পাওয়া ১০ জন মেধাবী ছাত্রের সমস্ত কাগজপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে তারা মিশর অ্যাম্বসিতে পাঠিয়ে দেয়। মিশর অ্যাম্বসি আবার সকল কাগজপত্র মিশরের বিভিন্ন দফতরে প্রেরণ করে। তারপরে মিশরের যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে যখন মিশরের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় থেকে মুয়াফাকা আমানিয়া চলে আসে বাংলাদেশের মিশর অ্যাম্বসিতে তখন ওই ১০ জন ছাত্রকে ভিসা নেওয়ার জন্য ডাকা হয়।
আরো বিস্তারিত জানতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন http://www.azhar.edu.eg/en/Study/Intertnational-Students-en

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group