শিক্ষা নিউজ

আইন পেশা,ওকালতি করা জায়েজ কি এবং এ ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা কতটুকু?

আইন পেশা,ওকালতি করা জায়েজ কি এবং এ ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা কতটুকু? আইন পেশা, ওকালতিকে আল্লাহর রাসুল (সা.) সাধারণভাবেই জায়েজ করেছেন। ওকালতিকে আরবিতে আল-ওকালাহ বলা হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বিশাল বক্তব্য রয়েছে।
আল্লাহর বান্দারা সবাই সমান হয় না। অনেক হকদার ব্যক্তি আছেন, যিনি নিজের হকের কথা মুখে বলতে পারেন না। আবার এমন হকদারও আছে, যারা একেবারেই কথা বলতে পারে না, বোবা অথবা দুর্বল ব্যক্তি। নিজের অধিকার পেশ করার যোগ্যতা নেই, সেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনে কারিমে সুরা আল-বাকারার ২৮২ নম্বর আয়াতের মধ্যেই এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাদের জন্য ওকালতের নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে তাদের পক্ষ থেকে লোক নিয়োগ দেবে, যিনি নির্দিষ্ট জায়গায় বা আদালতে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবে। তাই ইসলামে ওকালতি জায়েজ।

কিন্তু উকিলকে যেই কাজের অনুমোদন বা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তিনি শুধু সেই কাজটিই করবেন। সে ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কোনো হারাম কাজের সঙ্গে যদি তিনি জড়িত না হন, তাহলে তার এই ব্যবসা বা পদ্ধতি বা পেশা হারাম হওয়ার কিছুই নেই। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে যদি তিনি মিথ্যা বলেন, তাহলে ওকালতি ছাড়াও যে ক্ষেত্রেই মিথ্যা বলেন না কেন, আপনি গুনাহগার হবেন। মিথ্যা সব ক্ষেত্রেই নাজায়েজ।

কোরআনে আল্লাহতায়ালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন। কিন্তু সেখানে যদি মিথ্যা বলেন, তাহলে এটি জায়েজ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। একই অবস্থা এই ওকালত পেশার মধ্যেও।

আল্লাহর নবী (সা.) তাঁর পক্ষ থেকে বেচাকেনার জন্য বারাকিকে (রা.) উকিল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। সুতরাং রাসুলের (সা.) অনুমোদন রয়েছে, বক্তব্য রয়েছে এবং ইসলামী শরিয়তে ওকালতি পরিপূর্ণভাবে জায়েজ। তবে উকিলকে অবশ্যই ইসলামী শরিয়তের যে বিধানগুলো রয়েছে, সেগুলোকে মেনে চলতে হবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group