শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে ২ দিন বন্ধ থাকবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে ২ দিন বন্ধ থাকবে।আজ ২২ আগষ্ট মন্ত্রী পরিষদসচিব এসব তথ্য জানান। জ্বালানি সাশ্রয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে ২ দিন বন্ধ এবং ‘কার হলিডে’ করার মতো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া রাজধানী সহ সারাদেশে বড় বড় শপিংমল পালাক্রমে (বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী) খোলা রাখার কথাও চিন্তা করছে সরকার।
অফিসের সময়সূচি কমিয়ে এনেছে সরকার।
সরকারি অফিস চালু থাকবে সকাল ৮টা থেকে ৩ টা
এছাড়া ব্যাংক চালু থাকবে সকাল ৯টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত।
বর্তমানে রাত ৮টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে অকটেন-পেট্রলের দাম আবার বাড়ানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই এ ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা আসতে পারে। এর মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি ভর্তুকি কমিয়ে আনতে চায় সরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে ২ দিন বন্ধ থাকবে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার মাধ্যমে সরকারের প্রত্যাশিত সাশ্রয় হচ্ছে না। বিপিসি থেকে জ্বালানি বিভাগকে জানানো হয়েছে, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সাশ্রয়ের মাধ্যমে মোট জ্বালানি তেল ব্যবহারের মাত্র সাত থেকে আট শতাংশ জ¦ালানি সাশ্রয় হয়। দেশে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়, বিশেষ করে ডিজেল ব্যবহার হয়, তার ৯০ শতাংশই ব্যবহার হয় পরিবহন খাতে। ফলে সরকার পরিবহন খাতে ব্যবহৃত জ্বালানি তেল কমিয়ে আনার জন্য বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সরকার আপাতত অকটেন এবং পেট্রলের দাম একটু বেশি পরিমাণে বাড়াতে চায়। অর্থাৎ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিদেশ থেকে যে দামে অকটেন আমদানি করে, দেশের বাজারে তার কাছাকাছি মূল্য নির্ধারণ করতে চায় সরকার। এতে ভর্তুকির পরিমাণ কমে আসবে।
তিনি বলেন, অকটেন মূলত ধনীরা ব্যবহার করে। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ দামি গাড়িতেও অকটেন ব্যবহার হয়। ফলে অকটেন এবং পেট্রলের দাম বাড়ানো হতে পারে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গাড়িতে ২০ শতাংশ জ্বালানির ব্যবহার কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ডিজেল যেহেতু কৃষি সেচ কাজ এবং সাধারণ মানুষ বেশি ব্যবহার করে, ফলে আপাতত ডিজেলের দাম নাও বাড়তে পারে। তবে ডিজেলের দামও বাড়বে আরও কিছুদিন আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণের পর।
এদিকে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পরিবহন খাতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমিয়ে আনতে সরকার বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে তিন দিন বন্ধ রাখা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির সর্বোচ্চ ব্যবহারও নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে তিন দিন বন্ধ রাখলে গাড়িতে জ¦ালানি তেলের ব্যবহারও কম হবে। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে।
আরো পড়ুন- নতুন বছরের শুরুতেই দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলাই থাকছে। তবে, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ঘন ঘন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। গতকাল রোববার রাতে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ সংশ্লিষ্টদের সভায় এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আজ সোমবার বেলা ১১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী। সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে ক্লাস চলছে, সেভাবেই ক্লাস চলবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, সংক্রমণ পরিস্থিতি ঘন ঘন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Corona infection is on the rise in the country at the beginning of the new year. In this situation, educational institutions are open to a limited extent. However, the government will take the next decision after reviewing the corona infection situation frequently. Education Minister Dr. with the National Technical Advisory Committee on Corona on Sunday night. It is learned that such a decision has been taken in the meeting of the concerned including Dipu Moni.
