শিক্ষা নিউজ

২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংকট আরও বেড়ে গেছে

২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংকট আরও বেড়ে গেছে । আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরেক দফায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক অনলাইনে ও সরাসরি যোগাযোগ রাখতে শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনা সংক্রমণের মধ্যে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে এ ছুটি শুরু হয়। কয়েক দফায় বাড়িয়ে সর্বশেষ ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল এ ছুটি।

এ ছুটি বৃদ্ধির ফলে আসন্ন ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংকট আরও বেড়ে গেছে। সাধারণত প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি এবং এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা হয়ে থাকে। তবে এ বছর যথাসময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়নি। যদিও করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের এ পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তথ্যমতে, এসএসসির শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ হয়ে থাকে নভেম্বরে। আর ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এটি হয়ে থাকে। ছুটি বাড়ানোর কারণে এ দুটি কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে আগামী বছরের পরীক্ষা দুটিও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, এ সময়ে বোর্ডগুলো পরবর্তী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কাজ করে থাকে। নতুন ছুটির বিষয়টি সামনে আসায় আগামী বছরের এ দুটি পরীক্ষা নিয়ে নতুনভাবে পরিকল্পনা করা হবে। এক্ষেত্রে তাদের অসম্পূর্ণ শ্রেণিকাজ, লেখাপড়া, বিভিন্ন পরীক্ষা ইত্যাদি বিবেচনায় আসবে।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা পেছানো হবে কিনা সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো চিন্তা করা হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, যৌক্তিক কারণেই এসএসসি ও এইচএসসির সিলেবাস-শিক্ষাক্রম কমানোর সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে গোটা পাঠ্যবই শেষ করেই পরীক্ষা হওয়া বাঞ্ছনীয়।

তিনি আরও বলেন, করোনায় ক্লাস না হওয়ায় এখন সিলেবাস শেষ করতে কতদিন লাগবে সেটা হয়তো স্কুল-কলেজ খোলার পর বলা যাবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন এবং মূল্যায়ন শেষে পরীক্ষা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে না হওয়ার শঙ্কা আছে। কেননা দীর্ঘ ছুটির কারণে সংকট তৈরি হয়েছে আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে। আরও ৩৫ দিন ছুটি ঘোষণা করায় এসব শিক্ষার্থীর শ্রেণি কার্যক্রমের সময় দাঁড়াল ৯ মাস।

সাধারণত বছরের জুলাইয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়ে থাকে।

এরপর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী এবং নির্বাচনী উভয় পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এসব পরীক্ষার্থীর একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি।

একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে তাদের অটোপাস দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসএসসি প্রোগ্রাম ২ বছরের জন্য হলেও ২৫ মাস পর পরীক্ষা নেয়া হয়। যদিও বাস্তবে এসব শিক্ষার্থী ২ বছরে ১৭-১৮ মাস পাঠদান পেয়ে থাকে। অন্যদিকে এইচএসসি ২ বছরের প্রোগ্রাম হলেও বাস্তবে পাঠদান হয়ে থাকে ১৬ মাসের মতো।

সেই হিসাবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা ইতোমধ্যে দাবি তুলেছেন যে, শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো লেখাপড়া করিয়ে এ দুটি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নইলে তাদের লেখাপড়া বা দক্ষতা অর্জনে ঘাটতি থাকবে। পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষায় গিয়ে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group