শিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

রংপুরে সিপাহী বিদ্রোহ এবং ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহের অবিশ্বাস্য ইতিহাস

রংপুরে সিপাহী বিদ্রোহ এবং ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহের অবিশ্বাস্য ইতিহাস । সম্প্রতি সড়কের প্রশস্ততা বাড়াতে রংপুর সিটির মূল সড়কের দুই পাশের অসংখ্য স্থাপনা ভাঙতে হয়েছে। ভাঙার তালিকায় রয়েছে মসজিদ, মাজার, কবর থেকে শুরু করে অনেক ঐতিহ্যবাহী পুরাতন স্থাপনা ও অত্যাধুনিক বিপণী বিতানও। এর অংশ হিসেবে মূল সড়কের পাশে বর্তমান সালেক পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন শহীদ ওয়ালীদাদ মোহাম্মদের কবরটি স্থানান্তরিত হয়েছে মুন্সিপাড়া কবরস্থানে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই কবরটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতো। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখে এসেছি কবরটি। কিন্তু কবরটি কার?

কবরের গায়ে লেখা ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় শহীদ ওয়ালীদাদ মোহাম্মাদ’র নাম । কিন্তু সিপাহী বিদ্রোহের সাথে রংপুরের কি সম্পর্ক? রাস্তার পাশে এমন একটি কবর কেন? আর ওয়ালীদাদ মোহাম্মাদ ই বা কে? এমন প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই সকলের মধ্যে আসবে। আমিও ব্যতিক্রম নই। আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি এমন আরও দুইটি কবরের সন্ধান পাই। বাকি দুইটি কবরের মধ্যে একটি এখনও আছে অন্যটি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে উপনীত হয়েছে। যদি ধৈর্য থাকে তাহলে পড়তে পারেন বাকী অংশ। কিছুটা জানা যাবে কে এই ওয়ালীদাদ মোহাম্মাদ। জানা যাবে রংপুরে সিপাহী বিদ্রোহ এবং ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহের কিছু অবিশ্বাস্য ইতিহাস।

রংপুরে সিপাহী বিদ্রোহ এবং ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহের অবিশ্বাস্য ইতিহাস


আহমেদ ছফা রচিত “সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস” গ্রন্থে ওয়ালিদাদ মোহাম্মদ এর নাম পাওয়া যায়। তবে সেখানে তিনি তাঁকে দিল্লির নিকটবর্তী মীরাট এলাকায় সংঘটিত সিপাহী বিদ্রোহের একজন সহ অধিনায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রজনীকান্ত গুপ্তের “সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস” গ্রন্থেও একাধিক স্থানে ওয়ালিদাদ মোহাম্মদ সম্পর্কে লেখা রয়েছে। উভয়ের লেখাতেই তাঁকে মোগল রাজ বংশীয় হিসেবে বলা হয়েছে। এছাড়া রংপুরের একজন ইতিহাস গবেষক মিঠাপুকুরের “ফুলচৌকি” গ্রামের হায়দার আলী চৌধুরী দীর্ঘ ৪০ বছর গবেষণা করে অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তাঁর প্রকাশিত একটি গ্রন্থে ওয়ালিদাদ মোহাম্মদ যে দিল্লির মোগল রাজ বংশোদ্ভূত তার সপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। সেই গ্রন্থে ওয়ালিদাদ মোহাম্মদ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যায়। তিনি উল্লেখ করেছেন এই অঞ্চলে মুঘল রাজ বংশীয়দের নিবাস ছিল রংপুর শহর ১৩/১৪ কিমি পশ্চিমে মিঠাপুকুর উপজেলার “ফুলচৌকি” গ্রামে। আর ফুলচৌকি নগরের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন সুবেদার নবাব নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মদ জং। তাঁর এই দাবীর সপক্ষে এখনও অনেক প্রমাণ পাওয়া যায় ফুলচৌকিতে। ফুলচৌকি প্রাসাদের অনেক চিহ্ন এখনও দেখা যায়। ইতিহাসে “মাসিমপুর যুদ্ধ”র উল্লেখ রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। যেই যুদ্ধে পরাজিত হয় অত্যাচারী রাজা রাম নারায়ণ। ফুলচৌকির কাছাকাছি একটি গ্রামের নাম মাসিমপুর। সেই দিক থেকেও এখানে নবাবদের নিবাস থাকা অবিশ্বাস্য নয়। লেখক নিজেও “ফুলচৌকি” গ্রামের বাসিন্দা এবং দিল্লির মুঘল রাজ বংশীয়দের উত্তর পুরুষ। তাঁর গবেষণাধর্মী অসামান্য বইটির নাম “পলাশী যুদ্ধোত্তর আজাদী সংগ্রামের পাদপীঠ” যা ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়।

এই তিন সূত্র ছাড়া আর কোথাও ওয়ালিদাদ মোহাম্মদ সম্পর্কে জানা যায় না। তবে ইংরেজ ঐতিহাসিকদের কিছু লেখায় ওয়ালিদাদ মোহাম্মদের সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানা যায়। তবে এক্ষেত্রে সেই ইতিহাসের সত্যতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। কারণ ইংরেজরা কখনই সিপাহী বিদ্রোহকে প্রাপ্য মূল্যায়ন করেনি। তবে এই ওয়ালিদাদ মোহাম্মাদ যে দিল্লির রাজ বংশীয় তা নিশ্চিত বলেই ধরে নেয়া যায়। কারণ তিনটি সূত্রেই এই সম্পর্কে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইতিহাস গবেষক হায়দার চৌধুরী তাঁর “পলাশী যুদ্ধোত্তর আজাদী সংগ্রামের পাদপীঠ” গ্রন্থে এই ওয়ালিদাদ মোহাম্মাদ সম্পর্কে বলেছেন …ওয়ালিদাদ মোহাম্মাদ ছিলেন দিল্লির মোগল রাজ বংশোদ্ভূত এবং বিয়েও করেন ঐ বংশেই। ওয়ালিদাদ মোহাম্মাদের পিতার নাম শাকের উদ্দিন মোহাম্মদ। এই শাকের উদ্দিন মোহাম্মদের বড় ভাই হচ্ছেন ইংরেজদের কথিত ফকির, সন্ন্যাসী ও প্রজা বিদ্রোহী দলের নেতা নবাব নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মদ জং। অনেক সত্যকে চাপা দিতে ইংরেজরা নবাবকে মজনু শাহ্‌ নামে অভিহিত করার অপপ্রয়াস করেছে। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহকে অবমূল্যায়ন করার লক্ষ্যেই পরিকল্পিতভাবে বিদ্রোহী নবাবকে একজন ডাকাত সর্দার হিসেবে উপস্থাপন করেছে ইংরেজরা। নবাব নূর উদ্দিনই ঐতিহাসিক চরিত্র “নুরলদিন”। অথচ, ইংরেজরা তাঁকে স্বঘোষিত নবাব, বিদ্রোহীদের ঘোষিত নবাব, কখনও বা বিদ্রোহী ফকির সন্ন্যাসীদের দলনেতা হিসেবে প্রজাদের ঘোষিত নবাব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। “নুরলদিন” যে নবাব নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মদ তার স্বপক্ষে কিছু অকাঠ্য প্রমাণ পাওয়া যায় হায়দার চৌধুরীর লেখা ছয় শতাধিক পৃষ্ঠার ঐ গবেষণাধর্মী গ্রন্থে। আসলে এটা অনেক বিস্তারিত আলোচনার বিষয়, সেই সব আলোচনা করার মতো যথেষ্ট ইতিহাস জ্ঞান আমার নেই। তাই সেই আলোচনায় না গিয়ে শুধু রংপুরের মূল সড়কের পাশে যে বীর শহীদের কবর রয়েছে সেই ওয়ালিদাদ মোহাম্মদ সম্পর্কে বলতে চাই। তবে সেই সূত্রেই এসে যায় আরও কিছু নাম, আসে রংপুরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস।

মোগল সম্রাট বাদশা শাহ্‌ আলমের আপন চাচাতো ভাই (বড়) এবং ভগ্নীপতি ছিলেন নবাব নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মদ জং। মোগল বংশীয়দের মধ্যে এনারাই ছিলেন সব থেকে বেশী ধন সম্পদের মালিক। নবাব নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মাদ জং এর দুই পুত্র কামাল উদ্দিন মোহাম্মদ ও জামাল উদ্দিন মোহাম্মদ এবং দুই কন্যা শাহজাদী লাল বিবি ও শাহজাদী চাঁদ বিবি। লাল বিবির বিয়ে হয় বাদশা ২য় আকবর এর সাথে। তাঁদের পুত্র রেঙ্গুনে সমাহিত বাদশা বাহাদুর শাহ্‌। অপর কন্যা চাঁদ বিবির বিয়ে হয় আমাদের আলোচ্য ওয়ালিদাদ মোহাম্মাদ এর সাথে।

নবাব নূর উদ্দিন বাকের মোহাম্মাদ জং বড় কন্যা এই লাল বিবি ছিলেন পিতার মতোই ইংরেজ বিরোধী। তাই তিনি বাবার বাসায় (ফুলচৌকি) আসলেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে (প্রজা, ফকির, সন্ন্যাসী) যোগাযোগ করতেন এবং কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ করতেন। তাঁর এই ভূমিকার কথা ইংরেজ মহলেও অজানা ছিল না। তাই তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তাদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় মহামান্যা লাল বিবিকে হত্যা করেন গুলি করে (১৮৩২-৩৩ সালে)। সেবার তিনি ফুলচৌকি নগর থেকে ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহীদের সাথে মিলিত হতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বর্তমান রংপুরের নগর মীরগঞ্জ ( বড় রংপুর, তামপাট ইউনিয়ন) এলাকায় এ্যামবুস করে এই মহামতি মহিলাকে হত্যা করে ইংরেজরা। সেখানে তাঁর সাথে আরও কয়েকজনকে হত্যা করা হয় অতর্কিত আক্রমণে যাদের মধ্যে রাজা ভবানী পাঠকও ছিলেন। ঐ এলাকাটির নাম “সমর দীঘি”। এখনও সমর দীঘিতে লাল বিবির কবর রয়েছে। আমি নিজেই দেখেছি ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই কবর। এবং আমার কাছে তা অবিশ্বাস্য মনে হয়নি। যেখানে লাল বিবিকে হত্যা করা হয় তার কিছুটা দূরত্বে ফকির বিদ্রোহীদের হত্যা করা হয়। এই স্থানটিকে এখনও “জিহাদ পুকুর” বলা হয়। যদিও স্থানীয় ভাবে এখন তার নাম হয়ে গেছে ‘জীয়ত পুকুর’। এসব খুব অল্প কথায় লেখা সম্ভব নয়। তবে আমরা অনেক ছোট বয়স থেকেই জেনে এসেছি ঐ অঞ্চলে ফকির সন্ন্যাসীদের বিদ্রোহের গল্প।

মহামান্যা লাল বিবিকে হত্যার পরে তার ভাই কামাল উদ্দিন মোহাম্মাদ ও তাদের বংশীয়রা ইংরেজদের বিরুদ্ধে ভীষণভাবে ক্ষেপে যান। মূলত রংপুর অঞ্চলে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে এনারাই নেতৃত্ব দেন। এছাড়া এই অঞ্চলে ফকির সন্ন্যাসীদেরও বিরাট অবদান রয়েছে ঐ বিদ্রোহে।

১৮৫৭ সালের শেষের মাসে রংপুর অঞ্চলের সিপাহী বিদ্রোহে ভারতীয়রা পরাজিত হলে এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দানকারীদের ইংরেজরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। আমাদের আলোচ্য ওয়ালিদাদ মোহাম্মদ রংপুর শহর হতে ১৩/১৪ কিলো মিটার দূরের মিঠাপুকুরের ফুলচৌকি গ্রামে নবাবদের নগরে ইংরেজদের হাতে ধরা পড়েন। তখন ইংরেজরা নৃশংসতার নজির স্থাপন করে হত্যা করে এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দানকারীদের। যাঁদের মধ্যে ওয়ালিদাদ মোহাম্মদ, গৌস উদ্দিন মোহাম্মদকে ফুলচৌকি নগর থেকে হাতির পায়ে বেঁধে “রঙমহল” (বর্তমান রংপুর) নিয়ে আসার পথে কারমাইকেল কলেজ সংলগ্ন বালাটারী নামক জায়গায় লাল বিবির ভাতিজা গৌস উদ্দিন মোহাম্মদ মারা গেলে তাকে সেখানেই ফেলে রেখে যায় ইংরেজরা। পরে স্থানীয়রা ঐ কবর পাকা করে দেন। এখনও ঐ কবর আছে। রেল লাইন ধরে লালবাগ থেকে টুয়েন্টি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে গেলে সামান্য কিছু দূরে এই কবরের অবস্থান। তবে এখন সেখানে একটি কবরস্থান বানানোর কারণে অনেক কবরের মাঝে এই কবর আমি নিজেই বের করতে পারিনি। অথচ কারমাইকেল কলেজে পড়ার সময়ও এমনকি ১৯৯৫ সালেও আমি নিজেই এই কবর দেখেছি। ফাঁকা জায়গায় একটা কবর থাকার কারণে সহজেই তা চোখে পড়তো।

লাল বিবির আপন চাচাতো ভাই এবং বোন চাঁদ বিবির স্বামী আমাদের আলোচিত ওলালিদাদ মোহাম্মদকেও একই সাথে একই ভাবে হাতির পায়ে বেঁধে রং মহলের (বর্তমান রংপুর শহর) নিয়ে আসার পথে লিচু বাগান নামক স্থানে তিনি মারা যান। সেখানেই তাঁকে ফেলে রেখে যায় ইংরেজরা। পরে বেতগাড়ির ফকিররা তাকে ঐ স্থানে (খান বাহাদুর শাহ্‌ আব্দুর রউফ সাহেবের বাসার পাশেই, সালেক পাম্প ) সমাহিত করেন। বেশ কয়েক বছর আগে এই কবর সংস্কার করে বর্তমান চেহারা পেয়েছে।

রঙমহল : এখনকার রংপুর শহর জুড়ে নবাব পুত্রদের আনন্দ বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। “কাশানা” অর্থ হচ্ছে কুঠি। শাহজাদা কামাল উদ্দিনের কাশনা বা কুঠি ছিল এখনকার কামাল কাছনায়। রংমহলের এসব কাশানা গুলো ছিল বিলাস বহুল ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। কামাল উদ্দিনকে বিদ্রোহের ছয় মাস পূর্বে প্রতারক ইংরেজরা খাদ্যে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করে তাঁর রংমহলের কাশানায়। সেই কামাল উদ্দিনের কাশানা (কামালের কুঠি) থেকে তাঁর নামানুসারে ঐ এলাকার নাম কামাল কাশনা। যা এখন কামাল কাছনা। একই ভাবে “বাকের কাশানা” থেকে বাহার কাছনা নামকরণ হয়।

লালবাগ : নবাব কন্যা শাহজাদি লাল বিবির নামে নামকরণ করা হয় রংমহলের একটি অংশের, যেখানে ছিল অজস্র ফুল গাছ। সেই জায়গাই বর্তমানের লালবাগ। তারও আগে এই এলাকায় ছিল সেনানিবাস।

আলমনগর : লালবাগ থেকে পূর্বে রংমহলের একটি অংশের নামকরণ করা বাদশা শাহ্‌ আলমের নামানুসারে, যা আজকের আলমনগর।
এছাড়াও বর্তমান রংপুরের নূর পুর (নূর উদ্দিনের নামানুসারে), নওয়াবগঞ্জ, দর্শনা, ফকির বক্সীর ঘাট, ধাপ, সাতগাড়া এমন অনেক জায়গার নামকরণের একটি ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

N:B: আমি ইতিহাস গবেষক নই। যেসব তথ্য এখানে বলা হয়েছে তা নিতান্তই একজন আগ্রহী পাঠক হিসেবে বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে পাওয়া। কতটুকু লিখতে পারলাম জানিনা, তবে আরও অনেক অনেক তথ্য পাওয়া যায় যাতে একথা প্রমাণিত হয় যে ওয়ালিদাদ মোহাম্মাদ ছিলেন মোগল রাজ বংশোদ্ভূত এবং বিয়েও করেন ঐ বংশেই। তাঁর যুদ্ধ ক্ষেত্র ছিল মীরাট, কিন্তু সেখান থেকে তিনি রংপুরে আসলেন কবে বা কি কারণে সে সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। শুধু এটুকু বলা যায় ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে এই বীর শহীদ ওলালিদাদ মোহাম্মদ একজন যোদ্ধা ছিলেন এবং তিনি রংপুরেই শহীদ হন। আর এই রংপুরের সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত।
তথ্য সূত্র :
পলাশী যুদ্ধোত্তর আজাদী সংগ্রামের পাদপীঠ : হায়দার আলী চৌধুরী
রঙ্গপুরের প্রাচীন ইতিহাস : ডঃ মোঃ মনিরুজ্জামান
কিংবদন্তীর রংপুর : মতিউর রহমান বসুনিয়া
রংপুর জেলার ইতিহাস : জেলা প্রশাসন।
কার্টেসীঃ রিয়াদ শুভ – Riyadh Shubho

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group