মাধ্যমিক পর্যায়ে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা অনিশ্চিত
শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য প্রতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে এ সংক্রান্ত সভা করা হয়। এরপর প্রতি মাসের ১ বা দুই তারিখের মধ্যে তাদের বেতন-ভাতার চেক ব্যাংকে পাঠানো হয়। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কোনো সভা করা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি অবসরে যান মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক। এর পর নিয়ম অনুযায়ী তার জায়গায় বর্তমান পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির রুটিন দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বা আর্থিক সংশ্লিষ্ট ফাইল অনুমোদনের ক্ষমতা তাকে দেয়া হয়নি।
এর ফলে সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মাধ্যমিক পর্যায়ে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চলতি মাসের বেতন শিক্ষকরা যথা সময়ে পাবেন কি না এ নিয়ে খোদ সংশয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন মাউশি মহাপরিচালক না থাকায় এই শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
তবে মউশি মহাপরিচালক ( রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক শাহেদুল খবির বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি অবগত আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। জানতে চাইলে মাউশির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র শাহা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে এ ক্ষমতা না দেওয়ায় আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।