শিক্ষা নিউজ

আমার পথ প্রবন্ধ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আমার পথ প্রবন্ধ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আমার পথ প্রবন্ধ টি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘রুদ্র-মঙ্গল’ থেকে সংকলন করা হয়েছে। আমার পথ প্রবন্ধের কাজী নজরুল ইসলাম এমন এক আমির প্রত্যাশা করেছেন যার পথ সত্যের পথ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১:
কলম তুমি শুধু বারংবার
আনত করে ক্লান্ত ঘাড়
গিয়েছ লিখে স্বপ্ন আর পুরোনো কত কথা,
সহিত্যের দাসত্বের ক্ষুধিত বশ্যতা।

কলম, তুমি নিরপরাধ তবুও গালাগালি
খেয়েছ আর সয়েছ, কত লেখকদের ঘৃণা,
কলম তুমি চেষ্টা করো দাড়াতে পারো কিনা।

ক. সবচেয়ে বড়ো ধর্ম কী?

খ. এই পরাবলম্বনই আমাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেললে – লেখক কেন একথা বলেছেন?

গ. উদ্দীপকের ‘কলম’ ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত

চেতনার মধ্যকার বৈসাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. “উদ্দীপকের কলমের মতো দাসত্ব, অধীনতা স্বীকার করতে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক রাজি নন”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. মানুষ ধর্মই সবচেয়ে বড়ো ধর্ম।

খ. পরাবলম্বতা মানুষের সঞ্জীবনী শক্তি ও আত্মশক্তি ক্রমান্বয়ে বিনষ্ট করে ফেলে বলে লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

টর্ট আইন

নিজের সত্তাকে বিকিয়ে অন্যের গলগ্রহ হয়ে থাকলে মানুষ ধীরে ধীরে অলস ও কর্মবিমুখ হয়ে যায়। এতে তার নিজের ভেতরে যে একটা দুর্ভেদ্য শক্তি আছে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়। তখন মানুষ অন্যের দানে, দয়ায় ও দাক্ষিণ্যে বেঁচে থাকে। এভাবে পরাবলম্বন আমাদের দাসত্বের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে তোলে। এ বিষয়টি বোঝাতেই লেখক প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
গ. সত্যের পথ থেকে বিচ্যুক্তি তুলে ধরায় উদ্দীপকের কলম ও আমার পথ প্রবন্ধের চেতনার মধ্যকার বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

“আমার পথ’ প্রবন্যে ব্যক্তিসত্তার চেতনার কথা বলা হয়েছে। সত্যকে আশ্রয় করে যে এগিয়ে যায় সে কখনো কারো সাগত স্বীকার করে না। নিজেকেই সে নিজের কর্ণধার বলে মনে করে। সকল প্রকার লজ্জাকে উপেক্ষা করে সাহসের সাথে সে লক্ষ্যে স্থির থাকে।

উদ্দীপকে কলমের দাসতুকে তুলে ধরা হয়েছে। কলম স্বপ্ন ও অতীত কথা লিখতে গিয়ে অবনমিত থাকে সাহিত্যের দাসতকে স্বীকার করে। নেয়। নিরাপত্তার কলমকেও কখনো কখনো বন্ধু লেখকের ঘৃণা তিরস্কার সহ্য করতে হয়। কিন্তু আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন মানুষের ভেতরে যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে তা যদি সে উপলব্ধি করতে পারে তাহলে এই ক্ষমতার বলে তার সামনে কোনো বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতাকে কিছু মনে হবে না। যে নিজের সত্যকে চিনেছে তাকে কখনো কারো দাসত্ব স্বীকার করতে হয় না। এই চেতনাই উদ্দীপকের সাথে প্রবন্ধের বৈসাদৃশ্য সৃষ্টি করে।

ঘ. “উদ্দীপকের কলমের মতো দাসত্ব, অধীনতা স্বীকার করতে আমার পথ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিত রাজি নন প্রশ্নোত্ত এ মন্তব্যটি যথার্থ বসে প্রতীয়মান হয়।

‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক আত্মনির্ভরশীলতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। নিজের সত্যকে নিজের কর্ণধার ভাবলেই আপন শক্তির ওপর অটুট বিশ্বাস আসে। আত্মনির্ভরতা থেকেই আসে স্বাধীনতা— একথাই যেন প্রবন্ধের সারকথা।

উদ্দীপকে কলম কীভাবে দাসত্ব স্বীকার করেছে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নিরপরাধ কলমের নিজস্ব চেতনা নেই বলেই সে অন্যের বশ্যতা স্বীকার করে, তাকে তিরস্কার শুনতে হয়। আত্মার নিজস্ব উপলব্ধির অভাবেই অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে নিশ্চল থাকতে হয়।।

“আমার পথ’ প্রবন্ধের লেখক পরাবলম্বনকে বলেছেন মানুষের দাসত্ব ও নিষ্ক্রিয়তার কারণ। নিজস্ব শক্তি ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়েই অর্জন করা যায় সফলতা। হীনম্মন্যতাকে দূর করার জন্য আত্মবিশ্বাস অতি জরুরি গুণ। অন্তরের দাসত্ব দূর করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে চাই সাহসী মনোবল। নিজেকে জানার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠাই দাসত্ব থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়। কিন্তু উদ্দীপকে সেই চেতনার দেখা পাওয়া যায় না বরং দাসত্ব ও বশ্যতা স্বীকার করে নিতে দেখা যায়। তাই একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। উদ্দীপকের কলমের মতো দাসত্ব, অধীনতা স্বীকার করতে ‘আমার পথ পরাবহর পাবন্ধিক রাজি নন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group