শিক্ষা নিউজ

সরকারি কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণে দেরি যেসব কারণে

সরকারি কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণে দেরি যেসব কারণে ।২০১৬ সালে নতুন সরকারি হওয়া ৪০টি কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর আত্তীকরণ সম্ভব হচ্ছে না শুধু প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থাপনা, নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি ও জাল সনদের কারণে। আর অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় অনেক শিক্ষককে অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ২০১৮ সালে জাতীয়করণ করা ৩০২টি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘এসব যাচাই যাচাইয়ে দেরি হয়েছে এবং হচ্ছে। মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর জাতীয়করণ করা কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণে যাচাই-বাছাইয়ে কাজ করছে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর বলছে, নতুন সরকারি হওয়া কলেজের শিক্ষক আত্তীকরণে জটিলতা ও সময় নষ্ট হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে। জাল সনদ, নিয়োগ দুর্নীতি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে সরকারি হওয়া কলেজের অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর আত্তীকরণ সম্ভব হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ ছিল না বা কোনও কলেজ সরকারি করা প্রয়োজন সেসব কলেজের ৪০টি সরকারি করা হয় ২০১৬ সালে। এসব কলেজের মধ্যে ৩৯টি কলেজের পদ সৃষ্টি শেষ হয়েছে। অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগও সম্পন্ন হয়েছে। আর যেসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা, জাল সনদ ও অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় আটকে গেছে অ্যাডহক নিয়োগ।

২০১৬ সালে সরকারি হওয়া ৪০টি কলেজের মধ্যে সাতক্ষীরার আশুশুনি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর অ্যাডহক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এই কলেজটিতে অনেক শিক্ষক আত্তীকরণ হবে না। আর সমস্যার কারণে অনেক কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী অ্যাডহক নিয়োগ পাবেন না।

সম্প্রতি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সরকারি শাহ্ আব্দুর রউফ কলেজের ৮ জনসহ শিক্ষকের জাল সনদ ধরা পড়ে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ফৌজদারি আইনে মামলার নির্দেশ দিয়েছে জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

মাদারীপুরের রাজৈর কলেজের অধ্যক্ষসহ দুইজন শিক্ষকের আত্তীকরণ নিয়ে দুই দফা তদন্ত করে নিয়োগে অনিয়ম ধরা পড়ে। দ্বিতীয় দফা তদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় এবং নিয়োগ বোর্ডে একজন প্রার্থী থাকায় চরমুণ্ডুরিয়া মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদে মরিয়ম মুজাহিদার নিয়োগ বিধিসম্মত হয়নি এবং ওই পদে এমপিওভুক্তিও বিধিসম্মত নয়। শিক্ষকতার কাম্য অভিজ্ঞতা ১২ বছর না হওয়ায় কাজী মন্টু কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে তার নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ায় রাজৈর কলেজে অধ্যক্ষ পদে বেসরকারি আমলে তার নিয়োগ যথার্থ নয়। তাই ২০০০ সালের জাতীয়করণ কলেজ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা মোতাবেক তার পদ সৃজন করা বিধিসম্মত নয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল সরকারি হওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ সম্পন্ন হচ্ছে ২০০০ সালের বিধি অনুযায়ী। আর ২০১৮ সালে জাতীয়করণ করা শিক্ষকদের আত্তীকরণ করা হবে ২০১৮ সালের বিধিমালা অনুযায়ী।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group