জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিলেবাস কার্যকর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও ডিগ্রিতে বাধ্যতামূলক করা হবে নতুন ৩ বিষয়। আইসিটি, অন্ট্রাপ্রেনারশিপ এবং সফট স্কিল অনার্স ও ডিগ্রি পর্যায়ে বাধ্যতামূলক করা হবে। যেমন বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাধ্যতামূলক রয়েছে। এছাড়াও ৩১টি বিষয়ের সিলেবাস পরিমার্জন করে আগামী ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সিলেবাস কার্যকর করা হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের কারিকুলাম বদলে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি চালু হচ্ছে কর্মমুখী ও বৃত্তিমূলক কোর্স। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে এসব কোর্স পড়ানোর জন্য। কারিকুলাম তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১৫ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, বর্তমানে অনার্স ও মাস্টার্সের সিলেবাসের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট (দক্ষতার উন্নয়ন) করা যায় কি না, এটি বর্তমান শিক্ষাকার্যক্রমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট (একীভূত করা) করা যায় কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা দরকার। আইনগত ও কাঠামোগত পরিবর্তন করতে হলে সেটাও করা হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সনদধারী বেকার তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করে তারা বলেন, উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের ঢালাওভাবে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে না। কারণ, কোনো অর্থনীতিই বিপুল সংখ্যক অনার্স-মাস্টার্সধারীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে পারে না। কোনো শিক্ষার্থীর হাতে যখন অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রির সনদ থাকে, তখন তিনি সমাজে নিজের মানমর্যাদা নির্ধারণ করে ছোটখাটো কোনো কাজ করেন না। এতে বিপুলসংখ্যক সনদধারী শিক্ষার্থী বেকার থাকেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে বাংলাদেশে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম কর্মমুখী করতে গত ১ এপ্রিল একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে কর্মমুখী ও পেশাগত শিক্ষাকার্যক্রম প্রবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।