সাধারন জ্ঞান বিষয়ঃ নদ ও নদী বিভিন্ন চাকরির প্রস্ততির জন্য
সাধারন জ্ঞান বিষয়ঃ নদ ও নদী বিভিন্ন চাকরির প্রস্ততির জন্য General Knowledge Subject: River and Rivers for preparation of various jobs
নদ ও নদী সাধারণত মিষ্টি জলের একটি প্রাকৃতিক জলধারা যা ঝরনাধারা, বরফগলিত স্রোত অথবা প্রাকৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয়ে প্রবাহ শেষে সাগর, মহাসাগর, হ্রদ বা অন্য কোনো নদী বা জলাশয়ে পতিত হয়।
নদ ও নদীর পার্থক্য:
প্রচলিত তথ্য মতে, নদীর শাখা থাকে, নদের শাখা থাকে না। প্রকৃতপক্ষে নদ ও নদীর সঙ্গে শাখা থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দুয়ের মাঝে যা পার্থক্য আছে তা হলো ব্যাকরণগত। বাংলা, হিন্দি ও ফারসি ইত্যাদি ভাষার ক্ষেত্রে পুরুষবাচক শব্দ সাধারণত অ-কারান্ত এবং নারীবাচক শব্দ আ-কারান্ত বা ই, ঈ-কারান্ত হয়। যেমন; পদ্মজ (অ-কারান্ত), পদ্মজা (আ-কারান্ত, নামের শেষে আ আছে), রজক (অ-কারান্ত) -রজকী (ঈ-কারান্ত, নামের শেষে ঈ আছে)।
তাই যে সকল নদীর নাম পুরুষবাচক অর্থাৎ অ-কারান্ত তারা নদ আর যে সকল নদীর নাম নারীবাচক অর্থাৎ আ-কারান্ত বা ঈ, ই-কারান্ত তারা নদী। যেমন: নীল নদ, কপোতাক্ষ নদ, আমাজন নদ ইত্যাদি। পদ্মা নদী, আড়িয়াল খাঁ নদী, সুরমা নদী, গোমতী নদী ইত্যাদি।
প্রধান নদী:
এটি প্রাকৃতিক উৎস থেকে সৃষ্টি হয়েছে অর্থাৎ অন্য কোনো নদী থেকে সৃষ্ট হয়নি।
উপনদী:
কোনো ক্ষুদ্র জলধারা, পর্বত বা হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রধান নদীর সাথে মিলিত হলে তাকে উপনদী বলে।
শাখানদী:
কোনো বৃহৎ নদী থেকে কোনো জলধারা বের হয়ে অন্য কোনো সাগর বা হ্রদে পতিত হলে তাকে শাখা নদী বলে।
আন্তঃসীমান্ত নদী/অভিন্ন নদী:
যে নদী এক বা একাধিক দেশের রাজনৈতিক সীমা অতিক্রম করে তাকে আন্তঃসীমান্ত নদী/অভিন্ন নদী বলে।
উপত্যকা:
যে খাদ বা নদীপথ দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সেই খাদকে উক্ত নদীর উপত্যকা বলে।
নদীগর্ভ:
উপত্যকার তলদেশকে নদীগর্ভ বলে।
মোহনা:
নদী যখন কোনো সাগর বা হ্রদে এসে মিলিত হয়, ঐ মিলিত হওয়ার স্থানকে মোহনা বলে।
নদীসঙ্গম:
একাধিক নদীর মিলনস্থলকে নদীসঙ্গম বলে।
খাঁড়ি:
নদীর অধিকবিস্তৃত মোহনাকে খাঁড়ি বলে।
অববাহিকা:
নদীর উৎপত্তি স্থান থেকে যে বিস্তৃত অঞ্চল দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রে প্রবাহিত হয় সে অঞ্চলকে অববাহিকা (Basin) বলে।
দোয়াব:
দুই নদীর মধ্যবর্তী উর্বর শস্যাঞ্চলকে দোয়াব বলে।
লিখেছেন।
© আসিফ মামুন