শিক্ষা নিউজ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ২য় ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাগজপত্র জমা ১৮ জুনের মধ্যে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ২য় ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট কাগজপত্র সত্যায়িত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১৮ জুনের মধ্যে নিজ নিজ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে কাগজপত্র জমা দিতে দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের :

১ . মনোনীত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের আপলোড করা ছবি
২. আবেদনের কপি
৩. লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র
৪. নাগরিকত্ব সনদ
৫. স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র
৬. জাতীয় পরিচয় পত্র
৭. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
৮. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পোষ্য সনদ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

এসব কাগজপত্রের ফটোকপি ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করে আগামী ১৮ জুনের মধ্যে (অফিস চলাকালীন) স্ব স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের।

মৌখিক পরীক্ষায় দেখাতে হবে মূল কপিও :

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দেয়ার সময় ওই কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদর্শন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ১৮ জুনের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।

মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে এবং তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) প্রকাশ করা হবে।

Read old news-একজনের সাটিফিকেট তুলে নিল আরেকজন !  ঢাকা কলেজ থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতক (সম্মান) পাস করা মো. আবু সুফিয়ান দিন কয়েক আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করতে গেলেন, কিন্তু পারছিলেন না। কারণ, অনলাইন আবেদনে এসএসসি, এইচএসসির রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিলে মা–বাবার ভিন্ন নাম দেখাচ্ছিল। আগেও একবার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সময় ঢাকার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে একই সমস্যায় পড়েন সুফিয়ান। তখন একজন পরামর্শ দেন কেন্দ্র পরিবর্তন করে দিতে। পরে রাজশাহীতে কেন্দ্র দিয়ে পরীক্ষা দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার প্রাথমিকের শিক্ষক পদে ঠিকমতো আবেদনই করতে পারেননি সুফিয়ান।

পরে আবেদনকাজের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের পরামর্শে ঢাকা বোর্ডে যান আবু সুফিয়ান। সেখানে গিয়ে যা জানলেন দুই বছর আগেই কেউ একজন তাঁর নিজের নাম আংশিক এবং বাবা ও মায়ের নাম পুরোটাই পাল্টে ফেলেন। এখানে-সেখানে কথা বলে সমাধান না পেয়ে হতবাক আবু সুফিয়ান যান নিজের বিদ্যালয় মানিকগঞ্জের শিবালয় সরকারি হাইস্কুলে, যেখান থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। শিক্ষকেরা জানালেন, তিনিই ‘আসল’ সুফিয়ান। প্রতিকার চেয়ে লিখিতভাবে আবেদন করেন ঢাকা বোর্ডে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কামার ভাকলা গ্রামের আবু সুফিয়ান ২০০৮ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন শিবালয় সরকারি হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করেন ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকা কলেজ থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) পাস করেন। তাঁর ইংরেজি নামের বানান (Md. Abu suphian)।

আর তাঁর বাবার নাম মো. সোনামুদ্দিন ও মায়ের নাম রাজিয়া বেগম। কিন্তু ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকা বোর্ডের নাম সংশোধন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবু সুফিয়ানের ইংরেজি নাম সামান্য পরিবর্তন করে করা হয় (Md. Abu sufian)। একই সঙ্গে তাঁর বাবার নাম পুরোটাই পরিবর্তন করে করা হয় মো. শহীদুল ইসলাম (ইংরেজিতে)। একই বছরের ৪ ডিসেম্বরের আরেক সভায় তাঁর মায়ের নামও পুরোপুরি পাল্টে করা হয় মোছা. জিন্নাতুন বেগম। এ কাজে বোর্ডের কারও সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা আসল সুফিয়ানের।

গত রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে খোঁজ নিলে ওই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব (বৃত্তি) মীর আশরাফ আলী মূল নিবন্ধন বই বের করে দেখেন, ওই দুই তারিখেই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। ওই সময়ে তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন না। ৩০ অক্টোবরের সভায় যে পরিবর্তনটি হয়েছে, তাতে ‘আবেদনকারী’ প্রামাণ্য কাগজ হিসেবে নিজের ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং বোনের সনদ জমা দেন। আর ৪ ডিসেম্বরের সভায় যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তাতে ‘আবেদনকারী’ পাসপোর্ট, বাবার এনআইডি ও বোনের সনদ প্রামাণ্য কাগজ হিসেবে জমা দেন।

কিন্তু এই সুফিয়ানই যে আসল, তা কতটা সত্য। জানার জন্য শিবালয় সরকারি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হজরত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই সুফিয়ানকে তিনি ভালো করেই চেনেন। তাঁর এলাকার ছেলে।
ষয়টি নিয়ে কথা হয় ঢাকা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকারসহ বোর্ডের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে। তাঁরাও বিষয়টি শুনে অবাক হন। দন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেন ঢাকা বোর্ডের সচিব। তদন্তের কাজে অংশ নিতে শিবালয় সরকারি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও আবু সুফিয়ানকে গত সোমবার বোর্ডে ডাকা হয়।

তদন্তে আরও জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে আসে। ‘নকল’ সুফিয়ান সনদ হারিয়ে যাওয়ার কথা লিখে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেন। এভাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে আবেদন করে সংশোধন করা দ্বি-নকল সনদও তুলে নেন। আর এই সনদ তোলায় আবেদন করা হয় স্কুল ও কলেজের মাধ্যমে। ‘নকল’ সুফিয়ান জিডিতে যে মুঠোফোন নম্বরটি দিয়েছেন, সেটিতে বুধবার বিকেলে ফোন করলে রিং হলেও কেউ রিসিভ করেনি। পরে রাতে আবার ফোন করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকার বুধবার বলেন, তাঁরা তদন্ত করে জানতে পেরেছেন, যিনি নাম সংশোধন করিয়েছেন, তিনি জালিয়াতি করে তা করেছেন। এ জন্য তাঁর দ্বি-নকল সনদসহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে জালিয়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আর আসল সুফিয়ান যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেটিও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আসল সুফিয়ান বলেন, এই সমস্যার কারণে তিনি চাকরির আবেদন করতে পারছেন না। অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁর। তবে ঢাকা বোর্ড কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার তাঁকে জানিয়েছে, তিনিই আসল সুফিয়ান। এখন তাঁর চাওয়া, তিনি যেন চাকরির আবেদন ঠিকঠাক করতে পারেন। একই সঙ্গে তিনি ওই প্রতারকের শাস্তি চান।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group