শিক্ষা নিউজ

অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির সর্বশেষ খবর ২০২২

অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির সর্বশেষ খবর ২০২২। Government Primary School Teachers Transfer application 2022 প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২২ প্রেরণ ও অবহিতকরণ।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির আবেদন অনলাইনে করা যাবে?
অনলাইন শিক্ষক বদলির লিঙ্কঃ http://myschool.eis.dpe.gov.bd ব্যবহার করে আবেদন করা যাবে। আপনার https://login.ipemis.dpe.gov.bd ওয়েবসাইটের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই লগিন করতে পারবেন। প্রধান শিক্ষক বা কোন সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হলে, উক্ত পদে তার চাকরির মেয়াদ ২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে, পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা এবং আন্তঃবিভাগীয় ভাবে বদলি করা যাবে।

প্রাইমারি শিক্ষক গন বদলির আবেদন করতে পারবেন http://myschool.eis.dpe.gov.bd/login এই লিংকে।

অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির আবেদন ২০২২

অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির আবেদন ২০২২

দলির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত শিক্ষকরা বদলির আবেদন (http://myschool.eis.dpe.gov.bd) করতে পারবেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রথম পেইজে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগ ইন করতে হবে। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের ধাপ- ব্যবহারকারীর ধরন- এখনে আপনাকে পদবী যেমন : সহকারী শিক্ষক/প্রধান শিক্ষক/সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা শিক্ষা অফিসার/জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার/বিভাগীয় উপপরিচালক/মহাপরিচালক করেতে হবে। শিক্ষক পিন নম্বর (ই-প্রাইমারি থেকে প্রাপ্ত অথবা মোবাইল নম্বর (ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেমে ব্যবহৃত) তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিয়ে “লগইন করুন” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে।

লগইন করুন বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী ধাপে ‘ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেম’-এ নিবন্ধিত শিক্ষকের তথ্য (শিক্ষকের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, পদবি, যোগদানের তারিখ, বর্তমানে কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলিতে আগমনের তারিখ, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত পদের সংখ্যা, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা) দেখাবে। তথ্যগুলো সঠিক হলে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার বাটনে ক্লিক করতে হবে (তথ্যের ভুল থাকলে ই-প্রাইমারি সিস্টেম হতে হালনাগাদ করে নিতে হবে)। এর পরের ধাপ/পেজ-এ বদলির ধরন নির্ধারন করতে হবে। বদলিরর ধরণ : একই উপজেলা/থানা অথবা আন্তঃ উপজেলা/থানায় বদলির আবেদন অথবা আন্তঃ জেলা বদলির আবেদন অথবা আন্তঃ বিভাগ বদলির আবেদন অথবা সিটি কর্পোরেশন বদলির আবেদন। বদলির ধরন মূলত কোথা হতপ কোথায় বদলিতে গমন করতে চান তা বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে একজন একই থানা/উপজেলা, আন্তঃথানা/উপজেলা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন-এর এক স্কুল হতে অন্য স্কুলে বদলির আবেদন করতে পারবেন। সর্বশেষ, বদলির ধরন নির্বাচন করতঃ আবেদন সাবমিট করলে আপনার প্রোফাইলে বদলির আবেদনটি দেখা যাবে।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম। দুর্নীতি ও ভোগান্তি দূর করতে অনলাইনে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন শিক্ষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরে বদলি কার্যক্রম চালু হচ্ছে না। এটি ২০২১ সালের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে। সেসময় নিয়ম অনুসারেই বদলি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

দু’বছর পর চলতি শিক্ষাবর্ষে এসেই পুনরায় চালু হয়েছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম। তবে লকডাউনের কারণে মাত্র আঠারো দিনেই বন্ধ করতে হয়েছে কার্যক্রম।

লকডাউনের পর অফিস কার্যক্রম নতুন করে চালু হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ বছরেই অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি করা হবে। ফলে বদলি নিয়ে শিক্ষকদের আর হয়রানি, অর্থ ব্যয় ও দালালদের খপ্পরে পড়তে হবে না। কোনো রকম তদবির ছাড়া ঘরে বসেই আবেদন করে বদলি হতে পারবেন শিক্ষকরা।

একই কথা বলেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেনও। ডেইলি বাংলাদেশকে তিনি বলেছিলেন, অনলাইন বদলির জন্য একটি সফটওয়ার ডেভেলপ করা হয়েছে। এটিকে আরো কার্যকর করে অক্টোবর মাস থেকেই অনলাইন বদলি চালু করতে চাই।

কিন্তু অক্টোবর পেরিয়ে নভেম্বর শুরু হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত তা শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষক বদলির জন্য যে সফটওয়্যারটি ডেভেলপ করা হয়েছে সেটিকে আরো বেশি কার্যকর করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। অনলাইনের বদলি কার্যক্রমটিকে আরো বেশি নির্ভুল করতে অধিকতর থেকে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এছাড়া পুরনো সচিবের বিদায় ও নতুন সচিব দায়িত্ব নেয়ার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। অধিদফতরেও এসেছেন নতুন মহাপরিচালক। তবে মন্ত্রণালয় আশা করছে, নতুন দায়িত্ব নেয়া সচিব ও মহাপরিচালক কাজটিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিষয়টিতে চোখ বুলিয়েছি। এই সপ্তাহেই আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসবো।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এটি তো শিক্ষকদের অনেক দিনের দাবি। কার্যক্রমটি শুরু করা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। কোনো রকম হয়রানি ও তদবির ছাড়া যেন দ্রুত অনলাইন শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু হয় সেই দাবি জানান তিনি।

এদিকে, অনলাইনে বদলিতে প্রতিবন্ধী, গুরুতর অসুস্থ ও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কিংবা বিধবা নারী, স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিক্ষকদের জন্য আরো সহজ করতে সফটওয়্যারটিকে উন্নতর করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব শিক্ষকদেরকে আলাদা করে প্রাধান্য দিতেই সফটওয়্যারটিকে আরো কিছু কমান্ড দেয়া হচ্ছে। সফটওয়ারটি আবার ট্রায়াল দিয়ে নির্ভুলতা পরিমাপ করেই বদলি চালু করা হবে।

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিবছর এই বদলি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব কারণেই ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু করতে কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়।

ডেইলি বাংলাদেশ

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group