এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হবে না
এ বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। চলতি বছরেও অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না হলেও গত দুই বছরের মতো ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়া হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পর নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেয়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর জন্য কষ্টকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি নির্দেশনা দেয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষা আয়োজনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১৯ জুন থেকে এসএসসি ও সমমান এবং ২২ আগস্ট থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব লিখিত পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত চলে যাবে। এরপর নভেম্বরে এসে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেয়া অনেক কষ্টকর হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন কারিকুলামে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার কোন অস্তিত্ব থাকবে না। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে এ দুই পরীক্ষার আয়োজন করতে গেলে শিক্ষা বোর্ডগুলোর জন্য তা হবে অত্যন্ত কষ্টকর। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে পরীক্ষা নিয়ে আমরা আমাদের এসব মতামত জানিয়েছি। তবুও যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষা আয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অনেকগুলো লজিস্টিকস আমাদের দেখতে হবে। এ বছরের এসএসসি জুন মাসে হওয়ার কথা, এইচএসসি আগস্টে হওয়ার কথা। আমাদের কাছে এখনই মনে হচ্ছে জেএসসি-জেডিসি নেওয়াটা খুবই কষ্টকর হবে। কারণ বোর্ডগুলো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন, ফলাফল প্রকাশসহ সবকিছু নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকবে। আবার যখনই জেডিসি পরীক্ষা হবে, তারা কিছুদিন ক্লাস করার সুযোগও পাবে না।
তবে আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আরও এক থেকে দেড় মাস আমরা সময় নিতে চাই। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের যদি মনে হয়, কষ্ট হলেও পারব, সেক্ষেত্রে নিতে পারব। যদি না পারি শিক্ষার্থীদের তো মূল্যায়ন করতে হবে, সেক্ষেত্রে তারা বার্ষিক পরীক্ষা দেবে, যোগ করেন তিনি।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে স্ব স্ব স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা পিইসি প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছিলাম; তাতে সম্মতি পাওয়া গেছে।