শিক্ষা নিউজ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা বন্ধ হলেও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩ সালে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃত্তি পরীক্ষা থাকছে না। ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

তবে বৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী মানদণ্ড থাকবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান মাহবুবুর রহমান তুহিন।

Read old news: প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের চিত্র তুলে ধরে পরীক্ষা গ্রহণের বিকল্প কয়েকটি প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

সার-সংক্ষেপে এবছর স্কুলে স্কুলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, আর শিক্ষাবর্ষ বাড়ানোরও প্রস্তাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রভিত্তিক প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নিচ্ছে সরকার।

বুধবার (১৯ আগস্ট) এসব প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে অনুমোদন দেবেন সেভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সংসদ টিভি, অনলাইন, বেতারে ক্লাস পরিচালনা করা হলেও কিছু শিক্ষার্থী পাঠদান কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। এতে প্রাথমিক সমাপনী ছাড়াও অন্যান্য শ্রেণির পরীক্ষা গ্রহণে সংশয় দেখা দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, বন্ধের কারণে শিক্ষার সময়টা আমরা পাইনি। বলেছিলাম প্রয়োজনে হলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এই দুই মাসে সিলেবাস শেষ করব। দুই মাস এগিয়ে নেওয়া যায় কি না, সেই চিন্তা করছিলাম। তখন পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে।

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে এবছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে না নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যেটা আছে মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, ওনার ওখানে যে চিন্তা-ভাবনা হয়েছে সেটাও প্রস্তাবনায় দেওয়া আছে।

তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাটা বিদ্যালয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। আগে এটা কেন্দ্রভিত্তিক নেওয়া হতো। এটা না করে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে, যাতে করে জমায়েতটা বেশি না হয়, আমাদের ছেলেমেয়ে আক্রান্ত না হয়, এ রকম চিন্তাভাবনা আমরা করছি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সমাপনী পরীক্ষা না হলে মেধাভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে উপবৃত্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে। পরীক্ষা না হলে বৃত্তি থাকবে না। তিনি আরও বলেন, সেপ্টেম্বরে বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে, ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। চার-পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেটি অনুমোদন দেন সেভাবে হবে।

তবে অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্দান্ত বা প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group