শিক্ষা নিউজ

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

শরৎচন্দ্রের রচিত বিলাসী গল্পটি ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। বিলাসী গল্পটি উত্তম পুরুষের জবানিতে রচিত হতে পারে।

প্রশ্ন- শরৎ চট্টোপাধ্যায় কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: দেবানন্দপুর গ্রামে।

প্রশ্ন- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর পিতার নাম কি?
উত্তর: মতিলাল চট্টোপাধ্যায়।

প্রশ্ন- ন্যাড়ার স্কুলে যাতায়াতের পথ কত ক্রোশ দূরে?
উত্তর: দুই ক্রোশ দূরে।

প্রশ্ন- নেহা ও তার সহপাঠীরা ২ ক্রোশ পথ হেঁটে স্কুলে যাওয়ার কারন কি?
উত্তর: কাছে ইস্কুল না থাকায়।

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পে বর্ণিত যাদের বাড়ি পল্লীগ্রামে তাদের শতকরা কতভাগ কে বিদ্যা অর্জনের জন্য দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়?
উত্তর: ৮০ ভাগ কে।

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পে “সরস্বতী” খুশি হইয়া বড় দিবেন কি- কথার অর্থ কি?
উত্তর: ছাত্রদের কষ্ট*
*হিন্দু ধর্ম মতে সরস্বতী হলেন বিদ্যা ও কলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী! বিদ্যা অর্জন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কষ্টের স্বরূপ উল্লেখ করে বলা হয়েছে বালকদের সরস্বতী বিদ্যার দেবেন, না তাদের যন্ত্রণা দেখে লজ্জিত হবেন তা ভেবে পান না!

প্রশ্ন- কামস্কাটকার রাজধানী কোন গল্পে উল্লেখ আছে?
উত্তর: বিলাসী।

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পে ন্যাড়া পরীক্ষার উত্তরপত্রে হুমায়ুনের পিতার নাম কি লিখেছিল?
উত্তর: তোগলক খা

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পে মাঝে মাঝে স্কুলের পথে কার সাথে ন্যাড়ার দেখা হতো?
উত্তর: মৃত্যুঞ্জয় এর সাথে

প্রশ্ন- বিলাসীর আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে কি প্রকাশ হয়েছে?
উত্তর: ভালোবাসার জয়

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পের লেখক কেন্দ্রীয় চরিত্রের কোনদিকে প্রধান রূপে ফুটিয়ে তুলেছেন?
উত্তর: প্রেমের মহিমা

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পে তৎকালীন সমাজের কোন চরিত্রটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে?
উত্তর: জাতিভেদ প্রথা

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পের রক্ষণশীল সমাজের পরিচয় কোন চরিত্রের মধ্যে ফুটে উঠেছে?
উত্তর: খুড়া

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পে বাঙালির বিষ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: বাঙালির ক্রোধ

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পে ব্যবহৃত খিঁচুনি শব্দের অর্থ ?
উত্তর: বাঁশের ঝুড়ি

প্রশ্ন- কামাখ্যা কি?
উত্তর: তীর্থস্থান

প্রশ্ন- ফলাহার শব্দটি বিলাসী গল্পে কোন অর্থ প্রকাশ করে?
উত্তর: জলযোগ

প্রশ্ন- প্রত্নতাত্ত্বিক বলতে কোনটি বোঝায়?
উত্তর: পুরাতত্ত্ববিদ

প্রশ্ন- গুলি বলতে বিলাসী গল্পে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: মাদককে বোঝানো হয়েছে

প্রশ্ন- মনসা কিসের দেবী?
উত্তর: সাপের দেবী

প্রশ্ন- বিলাসী গল্পে উল্লেখিত সময়কালে দশম শ্রেণি ছিল কোনটি?
উত্তর: ফার্স্ট ক্লাস

প্রশ্ন- বীণাপাণি কিসের দেবী?
উত্তর: বিদ্যার দেবী

প্রশ্ন- রম্ভা অর্থ কি?
উত্তর: রম্ভা অর্থ কলা

টর্ট আইন

সৃজনশীল :

সুভাষ চক্রবর্তী মা বাবার অমতে শূদ্র বর্ণের মেয়ে সুলতাকে বিয়ে করার করায় তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বর্ণপ্রথার শিকার সুভাষ ও সুলতা চরম অর্থকষ্টে পড়লেও সমাজের কাছে হার মানেনি। নির্মম বর্ণপ্রথা কে তারা ঘৃণা করে। তারা মনে করে সব ধরনের জাত ভেদের উপরে মানব ধর্মের স্থান।
ক. বিলাসী গল্পে কোন দেবীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
খ. তাহার বয়স আঠারো কি আঠাশ ঠাহর করিতে পারিলাম না— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সুভাষ ও সুলতার পরিণতি বিলাসী গল্পের কোন ব্যাক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত? আলোচনা করো।
ঘ. সব ধরনের যাদের উপরে মানব ধর্মের স্থান– এর তাৎপর্য বিলাসী গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ১:
ক. বিলাসী গল্পে দেবী সরস্বতী দেবী মনসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

খ. মৃত্যুঞ্জয়ের সেবা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যহানির শিকার হওয়া বিলাসীকে দেখে গল্পকথক মেয়েরা আলোচ্য মন্তব্যটি করেছে।

মৃত্যুঞ্জয়ের রোগাক্রান্ত হলে বিলাসী দিনরাত সেবা-যত্ন করে তাকে সুস্থ করে তুলেছে। তাকে সুস্থ করতে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমে বিলাসীর নিজের স্বাস্থ্যহানি হয়েছে। তাই ন্যাড়া যখন তাকে দেখেছে তখন সে বিভ্রান্তিতে পড়েছে। তার বয়স আসলে কত হবে তা সে বুঝে উঠতে পারেনি। এ অবস্থায় বিলাসীর স্বাস্থ্যহানি প্রসঙ্গেই ন্যাড়া উক্তিটির অবতরণ করেছে।

গ. উদ্দীপকের সুভাষ ও সুতার পরিণতি শত প্রতিকূলতা সয়ে বিলাসীর সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার দিকটির সঙ্গে সম্পর্কিত।

বিলাসী গল্পে উচ্চবর্ণের মৃত্যুঞ্জয় নিচুজাতের সাপুরেকন্যা বিলাসীকে নিয়ে ঘর করলে সমাজ মেনে নেয় না।
মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীর হাতে ভাত খেলে সম্পদ লোভী খুড়ো মৃত্যুঞ্জয়ের বিষয়টিকে অন্নপাপ আখ্যা দিয়ে তাদের সমাজচ্যুত করে। এমনকি বিলাসীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে গ্রাম থেকে বের করে দেয়। কিন্তু এতে তারা দমে যান নি বিলাসী কে নিয়ে সমাজ থেকে বেরিয়ে এসেছে।

উদ্দীপকের সুভাষ চক্রবর্তী মা বাবার অমতে শূদ্র বর্ণের মেয়ে সুলতাকে বিয়ে করে। কিন্তু রক্ষণশীল সমাজ তাদের এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। পরিবার তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা চরমভাবে অর্থকষ্টে পড়ে। নানা প্রতিকূলতায় তারা তাদের এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখে। একইভাবে বর্ণপ্রথার কারণে বিলাসী গল্পের মৃত্যুঞ্জয় কেও কঠিন পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। শত কষ্ট সহ্য করেও মৃত্যুঞ্জয় বিলাসী কে ছেড়ে যায় নি। বিলাসী গল্পে ফুটে ওঠা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে মৃত্যুঞ্জয়ের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সাথে উদ্দীপকের সুভাষ ও সুলতার পরিণতি সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. বিলাসী গল্পে গল্পকার বর্ণপ্রথা ও তার কুপ্রভাব বর্ণনার মধ্যে দিয়ে একটি মানবিক সমাজের প্রত্যাশা করেছেন।

বিলাসী গল্পে মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীকে ভালোবেসে বিয়ে করে নিজের ধর্মকে বিসর্জন দিয়েছে। বিলাসীর হাতে ভাত খাওয়ায় সমাজের চোখে মৃত্যুঞ্জয় অন্নপাপি হলেও,মনুষত্বের দিক বিবেচনায় তার স্থান অনেক উপরে। কারণ বিলাসীর আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ভালবেসে। সেখানে জাতি ধর্মের ব্যাপকতা স্থান পায়নি। মানবিক বোধ এ উজ্জীবিত বলেই এমনটি করেছে।

উদ্দীপকের সুভাষ চক্রবর্তী মা বাবার অমতে বিয়ে করেছে শূদ্র বর্ণের মেয়ে সুলতাকে। বিয়ের পর রক্ষণশীল সমাজের অনুশাসন তাদের ঘরছাড়া করেছে। তা সত্বেও একে অপরকে ছেড়ে যায়নি তারা। সকল প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে ঘর বেঁধছে তাদের। এমন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে জাতি ধর্মের বৈষম্যের বিরুদ্ধে মূলত মানবতার জয় হয়েছে। বিলাসী গল্পে বিলাসী কে নিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের ঘর বাধার মধ্যেও একটি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।

বিলাসী গল্পে গল্পকার সমাজে জেঁকে বসা বর্ণ প্রথার বীভৎস রূপ তুলে ধরেছেন। উচ্চবর্ণের মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে নিম্নবর্ণের সাপুড়ে কন্যা বিলাসী কে কেন্দ্র করে বর্ণ বিভক্ত সমাজের রূপ উন্মোচন হয়েছে। শুধু তাই নয় সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মৃত্যুঞ্জয়ের জাতি বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিভেদ মুক্ত পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন তিনি। একইভাবে উদ্দীপকের সুলতাকে বিয়ে করার ক্ষেত্রেও জাতিবর্ণের কথা ভাবেনি সে। তাকে ভালবেসেছে বলেই তাকে বিয়ে করেছে। অর্থাৎ আলোচ্য গল্প উদ্দীপক উভয় ক্ষেত্রেই হৃদয়ের ভালোবাসা ও মানুষের কাছে ধর্ম জাত সবকিছু স্নান হয়ে গেছে। সেই বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২: শিউলি এখন বাবার সঙ্গে ঢাকায় এক বস্তিতে বাস করে। যখন তারা গ্রামে থাকত, তখন মাতব্বরের পুত্র লাভলুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাতের অন্ধকারে তার ওপর নির্যাতন চালায়। শিউলির বাবা মাতব্বরের কাছে এর বিচার চাইলে মাতব্বর লোকজনকে দিয়ে বাবা মেয়েকে তাড়িয়ে দেন গ্রাম থেকে। ফলে প্রকৃত ঘটনা চাপা পড়ে যায় এবং মাতব্বরের জাত বাঁচে।

ক. সাপুড়েদের সবচেয়ে লাভের ব্যবসায় কী?

খ. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিচয় দাও।

গ. উদ্দীপকের মাতব্বরের সঙ্গে ‘বিলাসী’ গল্পের জাত-গৌরবের মোহে অন্ধ গ্রামবাসীর সাদৃশ্য আলোচনা করো।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের সামগ্রিকতাকে ধারণ করতে পেরেছে কি? বিচার করো।

২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. সাপুড়েদের সবচেয়ে লাভের ব্যবসায় হলো শিকড় বিক্রি করা।

খ. ‘বিলাসী’ গল্পে গল্পকথক ন্যাড়ার বর্ণনায় মৃত্যুঞ্জয়ের জঙ্গলাকীর্ণ বাড়ির পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিচয় পাওয়া যায়।

মৃত্যুঞ্জয়ের বাস ছিল গ্রামের এক প্রান্তে, বিশ-পঁচিশ বিঘা আয়তনের প্রকাণ্ড এক আম-কাঁঠালের বাগানের মধ্যে বিশাল একটা পোড়োবাড়িতে। এ পোড়োবাড়িতে প্রাচীরের বালাই ছিল না। স্বচ্ছন্দে যে কেউ বাড়ির ভেতরে ঢুকতে বা বের হতে পারত। রাতের অন্ধকারে ঘন জঙ্গল বাড়ির পরিবেশকে ভুতুড়ে ও ভীতিজনক করে তুলত।

গ. জাত-গৌরবের মিথ্যে অহমিকার দিক থেকে উদ্দীপকের মাতব্বরের সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের গ্রামবাসীর সাদৃশ্য প্রতীয়মান হয়।

‘বিলাসী’ গল্পে গল্পকার তৎকালীন বর্ণবিভক্ত সমাজের স্বরূপ তুলে ধরেছেন। সে সমাজে মানবিক সম্পর্কের চেয়ে বর্ণ বা জাত পরিচয়ই প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণেই উচ্চবর্ণের মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে নিম্নবর্ণের বিলাসীর সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেনি তারা। শুধু তাই নয়, তাদের নিপীড়নের শিকার হয়ে গ্রামছাড়া হতে হয় বিলাসী-মৃত্যুঞ্জয়কে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত মাতব্বর শ্রেণিবৈষম্যে বিশ্বাসী। নিজ স্বার্থের জন্য লম্পট পুত্র লাভলুর লালসার শিকার শিউলি ও তার বাবাকে তিনি ক্ষমতার দাপটে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেন, যাতে প্রকৃত ঘটনা চাপা পড়ে যায়। শিউলির সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে তার প্রতিকার না করে মাতব্বর অন্যায়কে প্রশ্রয়। দিয়েছেন। আর এসবই তিনি করেছেন সমাজে তাঁর সম্মান রক্ষার্থে, জাত বাঁচাতে। একইভাবে, “বিলাসী’ গল্পে উল্লিখিত গ্রামবাসীও বিলাসী-মৃত্যুঞ্জয়ের অসবর্ণের সম্পর্ককে মেনে নিতে না পেরে অন্নপাপের অজুহাতে তাদেরকে গ্রাম থেকে বের করে দেয়। অর্থাৎ উদ্দীপকের মাতব্বর এবং আলোচ্য গল্পের গ্রামবাসী অন্যায় কাজে প্রবৃত্ত হয় জাত-গৌরবের মিথ্যে অহমিকার বশবর্তী হয়েই। এদিক থেকে উদ্দীপকের মাতব্বরের সাথে ‘বিলাসী’ গল্পের গ্রামবাসীর সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

ঘ. কেবল রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থার স্বরূপ উন্মোচন করার সূত্রে উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের সামগ্রিকতাকে ধারণ করতে পারেনি।

‘বিলাসী’ গল্পে সেবাব্রতী বিলাসী আপ্রাণ সেবা-যত্ন দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে সুস্থ করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে তার হৃদয়ও জয় করে নেয়। কিন্তু শিক্ষার আলো বঞ্চিত এবং জাতিগত বিভেদের বেড়াজালে আবদ্ধ গ্রামবাসীর কাছে ভিন্ন বর্ণের এ দুই মানব-মানবীর ভালোবাসা ছিল মূল্যহীন। তাই তৎকালীন সামাজিক রীতি লঙ্ঘন করায় মৃত্যুঞ্জয়-বিলাসীকে গ্রামছাড়া করে তারা।

উদ্দীপকটিতে আলোচ্য গল্পের মতো ভালোবাসার মহত্ত্ব বর্ণিত হয়নি, শুধু সামাজিক অসংগতির একটি চিত্রই ফুটে উঠেছে। লম্পট মাতব্বরপুত্র লাভলু কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিউলি ও তার বাবা দ্বিতীয় দফা অন্যায়ের শিকার হয়েছে মাতব্বরের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে। ছেলের কুকীর্তি প্রকাশিত হলে সমাজে সম্মানহানি ঘটার আশঙ্কায় মাতব্বর তাদের গ্রাম থেকে বের করে দিয়ে নিজের জাত বাঁচিয়েছেন মনে করে তৃপ্তি লাভ করেছেন। পক্ষান্তরে, ‘বিলাসী’ গল্পের বিষয়বস্তু আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত।

‘বিলাসী’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়া এবং তার অনুসারী গ্রামবাসীর মধ্যে উদ্দীপকের মাতব্বরের অত্যাচারী মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। মৃত্যুঞ্জয় সাপুড়েকন্যা বিলাসীকে বিয়ে করায় সমাজে খুড়ার সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। গ্রামের সম্মান বাঁচানোর অজুহাতে সে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় অসুস্থ মৃত্যুঞ্জয় ও বিলাসীকে অপমান এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ করে। শুধু তাই নয়, গল্পটিতে সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বিলাসী- -মৃত্যুঞ্জয়ের মিলনের মধ্য দিয়ে মানবিক সম্পর্কের জয় ঘোষিত হয়েছে। এছাড়া গল্পটিতে তৎকালীন শিক্ষাব্যবস্থাসহ সমাজব্যবস্থার একটি পূর্ণ চিত্র ফুটে উঠেছে। এসকল বিষয় উদ্দীপকে ফুটে ওঠেনি। সে বিবেচনায় উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের সামগ্রিকতাকে ধারণ করতে পারেনি।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group