প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় থাকছে না জিপিএ, কমছে স্কুল পরীক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় থাকছে না জিপিএ, কমছে স্কুল পরীক্ষা! প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর থেকে থাকছে না জিপিএ পদ্ধতি। পরীক্ষার ফল মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট এভারেজের পরিবর্তে দেয়া হবে শুধু নম্বর। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে স্কুলগুলোর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক পর্যায়ের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী শুরু হয় ২০০৯ সালে। এরপর থেকেই এই পরীক্ষা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা। অভিভাবকদের অভিযোগ, এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেক চাপে থাকতে হয়। এছাড়া মূল পরীক্ষার আগে বেসরকারি অনেক স্কুলে নেয়া হয় নির্বাচনি পরীক্ষা। সেই সঙ্গে থাকে অভ্যন্তরীণ নানা পরীক্ষার চাপ।
এক অভিভাবক বলেন, বাচ্ছাদের উপর চাপ কম দিয়ে আনন্দের মধ্যে রাখা উচিত। আরো এক অভিভাবক বলেন, পরীক্ষার এবং পড়ার চাপ খুবই বেশি বাচ্ছাদের জন্য। আগের যুগ থেকে এখন একটু বেশি বোঝা যাচ্ছে।
আরো এক অভিভাবক বলেন, তারা অনেক বেশি প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, এই পরীক্ষার চাপে হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের শৈশবের আনন্দ।
ঢাবি আইইআরের সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলনে, দুনিয়ার কোন শিক্ষাবিদরা বলে না এই বয়সে বাচ্ছাদেরন এমন করে ছাপ দেওয়া হোক। নেতিবাচ একটা প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে ক্ষুদে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উপর এটা বন্ধ করা উচিত।
এ অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই পরীক্ষা নিয়ে জিপিএ-ফাইভের প্রতিযোগিতা বন্ধে গ্রেড পয়েন্টে মূল্যায়নের পদ্ধতি তুলে দেয়া হচ্ছে। তবে বোর্ড পরীক্ষাটি থাকছে। আর তা মূল্যায়ন করা হবে শুধু নম্বর দিয়ে। এছাড়া পরবর্তী শ্রেণিতে ক্লাসের রোল নম্বরও নির্ধারণ করা হবে ভর্তির ক্রমের ওপর ভিত্তি করে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমরা চাই যে ভবিষ্যৎ যে পরীক্ষা গুলো দিবে তার জন্য এখন থেকে অভ্যাসটা গড়ে দিতে চাই। এর আগেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের।