শিক্ষা নিউজ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পার্থক্য গুলো কী কী?

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পার্থক্য গুলো কী কী? জজ ও ম্যাজিস্ট্রট উভয় বিচারিক ক্ষমতাধারী হলেও উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে যেমন:

১।জজ মৃত্যুদন্ডাদেশ বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিতে পারেন ।তবে ম্যাজিস্ট্রেট যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ আর মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিতে পারেন না।

২।জজের আইনগত যোগ্যতা বা আইনের ডিগ্রী থাকতেই হবে।ম্যাজিস্ট্রেটের আইনগত যোগ্যতা বা আইনের ডিগ্রী নাও থাকতে পারে।

আইনের ডিগ্রি ছাড়া যারা ম্যাজিস্ট্রেট তারা মুলত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং এরা মুলত বিসিএস দিয়ে প্রশাসনিক ক্যাডার হয়েছেন। আর তাদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হল তারা কোর্টে বসে বিচার করেননা।

আর কোর্টে যারা বিচার করেন তারা জুডিসিয়ারি পরিক্ষা দিয়ে ডুকেন এবং এদের অবশ্যই আইনের ডিগ্রি থাকতে হবে আর প্রোমোশন এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে এরাই জজ হন কিন্তু বিসিএস দিয়ে যারা এসেছেন এরা জজ হতে পারবেননা এবং আদালতেও বসতে পারবেননা

জজ শব্দের অর্থ বিচারক হলেও এই নামে কোনো পদ বাংলাদেশের বিচার বিভাগে নাই। জজ শব্দের আগে কোনো কোয়ালিফাইং শব্দ থাকে। যেমন, ডিস্ট্রিক্ট জজ বা সেশন জজ, বা সহকারি জজ। ম্যাজিস্ট্রেট এবং জজ এর পার্থক্য বুঝতে হলে আমাদের বিচার বিভাগের কাঠামো বুঝতে হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পার্থক্য গুলো কী কী?

বিষয়ের উপর ভিত্তি করে দুই ধরণের মামলা/ মোকদ্দমা হয়।

এক. দেওয়ানি মোকদ্দমাঃ এইরূপ মোকদ্দমা ব্যক্তির সম্পত্তি বা পদ সংক্রান্ত অধিকার বিষয়ক বিবাদ থেকে সৃষ্ট। এখানে প্রতিকার পাওয়া যায় সুনির্দিষ্টভাবে অথবা ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির মাধ্যমে। যে সকল আদালতে এইসব মামলা দায়ের করা হয় তাদের বিচারকদের পদের নাম হলঃ সহকারি জজ, সিনিয়র সহকারি জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজ।

দুই. ফৌজদারি মামলাঃ এইরূপ মামলা অপরাধ সংঘটিত হওয়া পর সৃষ্টি হয়। ফৌজদারি আদালত আবার দুই স্তরে বিভক্তঃ

১ম স্তরঃ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ এই আদালতের বিচারকগণ ম্যাজিস্ট্রেট। ৩য়, ২য়, ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইত্যাদি।

২য় স্তরঃ দায়রা আদালত- এএই আদালতের বিচারকগণ হলেন যুগ্ম দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ ও জেলা দায়রা জজ। মহানগর এলাকায় মহানগর দায়রা জজ বলা হয়।

২০০৭ সালের নভেম্বরে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর বাংলাদেশে দুই ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। এক, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট (জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) এবং দুই, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ আদতে বিচারের সাথে সম্পর্কিত নয় যেমন- উচ্ছেদ অভিযান, পাবলিক পরীক্ষা সম্পর্কিত কিছু দায়িত্ব, বি.আর.টি.এ -তে লাইসেন্স করণ ইত্যাদি সহ এরুপ কাজের জন্য আইনে এ্যাসাইন্ড থাকার জন্য মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত। তবে, নির্বাহী বিভাগের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার মোবাইল কোর্ট আইনের মাধ্যমে তাদেরকে কিছু ক্ষেত্রে বিচারিক ক্ষমতাও দিয়েছে।

বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটগণ অন্যদিকে বিচার সম্পর্কিয় কাজের সাথে যুক্ত। কোন আসামীকে পুলিশ ধরে আনলে প্রথমে তাদেরকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে উপস্থাপন করে। এরপর আসামীর রিমান্ড, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দী প্রদান, নারী ও শিশু মামলায় ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণ, ভিকটিমকে জিম্মা প্রদান সহ অন্যান্য কাজ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটগণ করে থাকেন। পাশাপাশি পুলিশ কোন মামলায় চার্জশীট দিলে সেগুলো প্রথমে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে উপস্থাপন করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবরা এরপর দেখেন মামলাটি কোন বিচারক দ্বারা বিচার্য। আইন অনুযায়ী তিনি পরে মামলাগুলোর কতক দায়রা জজ সাহেবের কাছে প্রেরণ করেন এবং কতক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশে নিজেরা বিচার করেন।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ সাধারণত চুরি মামলা, প্রতারণা ও বিশ্বাসভংগের মামলা, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর মামলা, ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা, সাধারণ মারধরের মামলা, বন আইনের মামলা, প্রবাসী কল্যান আইনের মামলা, রিয়েল এস্টেট আইনের অধীনে অপরাধ সম্প্রর্কিত মামলা ইত্যাদির বিচার করেন।

বর্তমানে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট এবং জজসাহেবগণ ‘জুডিসিয়াল সার্ভিসের’ মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত; ফলে, জজ সাহেব এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব উভয়েই ‘বিচারক’. তবে, যেহেতু আপনি উভয়ের পার্থক্য জানতে চেয়েছেন সে বিষয়ে সংক্ষেপে বলতে গেলে-

১) বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটগণ ফৌজদারী মামলা নিয়ে কাজ করেন; তারা একটি ফৌজদারী মামলার তদারকি অফিসারও বটে। পাশাপাশি তারা কিছু মামলার ট্রায়াল বা বিচারও করেন। অন্যদিকে, জজ বলতে দেওয়ানী জজ (জমা জমি, চুক্তি ভঙ্গ, মানি স্যুট, চাকরী সংক্রান্ত বিষয়, বিবাহ-দেনমোহর-খোরপোষ-বাচ্চার হেফাজত ইত্যাদি বিষয় পরিচালনাকারী জজ) এবং ফৌজদারী দায়রা বিচারক (হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, চেক ডিজ অনার, অস্ত্র মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা পরিচালনাকারী ) রয়েছে৷

২) ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়রা জজের অধীন; অর্থাৎ ফৌজদারী মামলায় বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটগণের আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজের কাছে রিভিশন, আপীল এগুলো করা যায়।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group