যাকাত এর টাকা কাকে দেয়া যাবে এবং যাকাতের টাকা কাকে দেয়া যাবেনা দেখে নিন। পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে যাকাত বণ্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন। এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দিষ্ট এবং যেহেতু তা আল্লাহর নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে তা ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
যাকাত ফরয হওয়ার তৃতীয় শর্ত হচ্ছে শরীয়ত নির্ধারিত সীমাতিরিক্ত সম্পদ থাকা। সাধারণ ৫২.৫ তোলা রূপা বা ৭.৫ তোলা স্বর্ণ বা উভয়টি মিলে ৫২.৫ তোলা রূপার সমমূল্যের সম্পদ থাকলে সে সম্পদের যাকাত দিতে হয়। পশুর ক্ষেত্রে এই পরিমাণ বিভিন্ন ।
যাকাত বণ্টনের খাতসমূহ | যাকাত কাদেরকে দিবেন
পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবা যাকাত বন্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন। । এই খাতগুলো সরাসরি ক্বোরআন দ্বারা নির্দ্দিষ্ট, এবং যেহেতু তা আল্লাহ’র নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে যাকাত, ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
১. মুসলমান ফকির (যার কিছুই নেই)
২. মুসলমান মিসকীন (যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই)
৩. যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী (যার অন্য জীবিকা নেই)
৪. (অমুসলিমদের) মন জয় করার জন্য
৫. ক্রীতদাস (মুক্তির উদ্দেশ্যে)
৬. ধনী সম্পদশালী ব্যক্তি যার সম্পদের তুলনায় ঋণ বেশী
(স্বদেশে ধনী হলেও বিদেশে) আল্লাহর পথে জেহাদে রত ব্যক্তি
মুসাফির (যিনি ভ্রমণকালে অভাবে পতিত)
১. ফকির (যার কিছুই নেই)
২. মিসকীন(যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই)
৩. যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী (যার অন্য জীবিকা নেই)
৪. নওমুসলিম (আর্থিক সংকটে থাকলে)
৫. ক্রীতদাস(মুক্তির উদ্দেশ্যে)
৬. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি (ঋণমুক্তির উদ্দেশ্যে)
৭. (স্বদেশে ধনী হলেও বিদেশে) আল্লাহর পথে জিহাদেরত ব্যক্তি
৮. মুসাফির (যিনি ভ্রমণকালে অভাবে পতিত)
হাদিসমতে, এগুলো ফরয সাদকাহের খাত, এবং নফল সাদকাহ এই আট খাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর পরিসর আরো প্রশস্ত। উল্লেখিত খাতসমূহে যাকাত বণ্টন করতে হয় সঠিক পন্থায়। যাকাত বণ্টনের উত্তম পন্থা হলো: যাকাত যাদেরকে প্রদান করা যায়, তাদের একজনকেই বা একটি পরিবারকেই যাকাতের সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে স্বাবলম্বী করে দেয়া।
নিম্নলিখিত লোকদেরকে বা নিম্নলিখিত খাতে যাকাত দেয়া যায় না, দিলে যাকাত আদায় হয় না।
• যার নিকট নেছাব পরিমাণ অর্থসম্পদ আছে।
• যাকাত দাতার মা, বাপ, দাদা, দাদী, পরদাদা, পরদাদী, পরনানা, পরনানী ইত্যাদি উপরের সিড়ি।
• যাকাত দাতার ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি পােতা, পৌত্রী, ইত্যাদি নীচের সিড়ি।
• যাকাত দাতার স্বামী বা স্ত্রী।
• অমুসলিমকে যাকাত দেয়া যায় না।
• যার উপর যাকাত ফরয হয়-এরূপ সম্পদশালী লােকদের নাবালেগ সন্তান।
• মসজিদ, মাদ্রাসা বা স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল প্রভৃতি নির্মাণ কাজের জন্য।
• মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনের জন্য বা মৃত ব্যক্তির ঋণ ইত্যাদি আদায়ের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যায়না।
• রাস্তা-ঘাট, পুল ইত্যাদি নির্মাণ ও স্থাপন কার্যে- যেখানে নির্দিষ্ট কাউকে মালিক বানানাে হয় না- সেখানে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যায়না।
• সরকার যদি যাকাতের মাসআলা অনুযায়ী সঠিক খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় না করে, তাহলে সরকারের যাকাত ফাণ্ডে যাকাত দেয়া যাবে না।
• যাকাত দ্বারা মসজিদ মাদ্রাসার স্টাফকে (গরীব হলেও) বেতন দেয়া যায়না।
★ যাকাত প্রদানের সময় গ্রহণকারীকে একথা জানানাে প্রয়ােজন নেই যে, এটা যাকাতের টাকা। আপনজনকে যাকাত দিলে তাকে একথা না বলাই শ্রেয়, কেননা বললে তার খারাপ লাগতে পারে।
★ যে পরিমাণ টাকা থাকলে কারও উপর যাকাত ফরয হয়- এত পরিমাণ যাকাতের টাকা একজনকে দেয়া মাকরূহ। তবে ঋণী ব্যক্তির ঋণ মুক্তির জন্য এত পরিমাণ দিলেও ক্ষতি নেই।
★ মাদ্রাসার এতিমখানায় যাকাত দেয়া উত্তম। এতে যাকাত আদায়ের পাশাপাশি সদকায়ে জারিয়ার সুযোগ থাকবে। যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৩
