লিখিত পরীক্ষার দিন নির্ধারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ (নৈবর্ত্তিক) উত্তীর্ণ প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর পরীক্ষার দিন নির্ধারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন পালন করেন।
এসময় শিক্ষানবিশ আইনজীবী একে মাহমুদ বলেন, আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আইনে পড়াশোনা করেছি। কিন্তু দীর্ঘ চারবছর ধরে নিয়মিত পরীক্ষা না নেওয়ায় আমরা বেকার হয়ে পথে পথে ঘুরছি। এদিকে করোনার মাঝেই বার কাউন্সিল আগামী ১৯ ডিসেম্বর আমাদের এমসিকিউ উত্তীর্ণদের জন্য লিখিত পরীক্ষার তারিখ দিয়েছে। আমাদের অনেক সহপাঠী করোনায় আক্রান্ত। তাই এই পরিস্থিতিতে কী করে ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে জড়ো করে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব? আমরা বারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই করোনা বিবেচনায় আমাদের লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করে ভাইভার মাধ্যমে আমাদের আইনজীবী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
পূর্বে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) মাধ্যমে আইনজীবীদের সনদ প্রদান করা হতো। তবে দিন দিন শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়তে থাকায় আইনজীবী হতে বর্তমানে নৈবর্ত্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যে কোন একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মত অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তবে দ্বিতীয়বারেও অনুত্তীর্ণ হলে তাদেরকে পুনরায় শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মত বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থীসহ সর্বমোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদ প্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, আপিল বিভাগের রায় প্রতিপালন না করে অনিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ ও খাতা রিভিউ সুবিধা প্রদান না করাসহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। আন্দোলনের মুখে গত ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী আদেশ দেন। তাই করোনার সংক্রমণের মধ্যে সে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এদিকে করোনার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লিখিত পরীক্ষা না দিয়ে ভাইভার মাধ্যমে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির দাবি করে আসছেন পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীরা।