শিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

রাজশাহী শিক্ষার্বোডের ৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে

লিখিত পরীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ছাড়াই শুধু সিলেকশন কমিটির মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে রাজশাহী শিক্ষার্বোডের ৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্তে এসব অসংগতি উঠে এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের আলাদা দুই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত করা হয়।

গত বছরের ২৩-২৫ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি সরেজমিন এসব নিয়ে তদন্ত করে। তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শিক্ষা বোর্ডের সাবেক দুই চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক মোকবুল হোসেনের আমলে পদোন্নতি নিয়ে এসব তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। দুই দফায় ১৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে নানা অনিয়ম করেছেন তাঁরা। সিলেকশন কমিটিও প্রথমে নিয়ম না মেনে ৯ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করেছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। শুধু তা-ই নয়, পদোন্নতির অন্য তিন মানদণ্ড (লিখিত পরীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) আমলে না নিয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।

ওই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীরসহ কয়েকজন। আজমতগীর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। আর সাবেক চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেনও শিক্ষা ক্যাডারের। মোকবুল হোসেন আজমতগীরের তদন্ত কমিটিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সিলেকশন কমিটির মৌখিক পরীক্ষার পর ৪৮ জনের মেধাতালিকা করা হয়।

সিলেকশন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই ৪৮ জনের মধ্যে প্রথমে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই ৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এই ৯ জন হলেন উপকলেজ পরিদর্শক নেসার উদ্দিন আহমেদ, উপবিদ্যালয় পরিদর্শক মানিক চন্দ্র সেন, উপসচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ ও রেকর্ডস) মুঞ্জুর রহমান খান, ক্রীড়া কর্মকর্তা লিটন সরকার, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, অডিট কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) জাহিদুর রহমান ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) হোসনে আরা আরজু। এঁদের পদোন্নতি দিতে সিলেকশন কমিটি ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে ৪৮ জন কর্মকর্তার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। কমিটির সভাপতি ছিলেন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ

ওই মেধাতালিকা থেকে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন আরও ছয়জনকে পদোন্নতি দিতে চিঠি ইস্যু করেন। এই ছয়জন হলেন উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেএসসি) ফরিদ হাসান, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রিপ্ট) রুবী, উপসচিব (ভাণ্ডার) দুরুল হোদা, উপসচিব (প্রটোকল) খোরশেদ আলম, উপবিদ্যালয় পরিদর্শক (রেজি) মো. নুরুজ্জামান ও লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা সুলতানা শারমিন আক্তার। প্রথমে বিতর্কিত ওই মেধাতালিকা থেকে ১-৯ নম্বর ক্রমিকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলেও দ্বিতীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই ক্রমিকও অনুসরণ করা হয়নি। দ্বিতীয় দফায় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে ক্রমিকের ১২, ১৩, ২০, ২১, ২৫ ও ৩৮ নম্বরে থাকা কর্মকর্তাদের।

মানদণ্ড না মেনেই প্রথমে ৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেকশন কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। আরেক সাবেক চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন বলেন, ‘বায়াজড (পক্ষপাতদুষ্ট) তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনও সে রকম হয়েছে। আগের ৯ জনকে কীভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে আমি যে ছয়জনকে পদোন্নতি দিয়েছিলাম, তা পরে স্থগিত করেছি। বোর্ডের কোনো আর্থিক ক্ষতি হয়নি।’

Without a written test, educational qualifications, and annual confidential report only 9 members of the Rajshahi Education Board have been promoted through the oral test of the selection committee. An investigation by the Department of Inspection and Audit of the Ministry of Education has revealed these discrepancies. The probe is based on two separate letters from the Anti-Corruption Commission (ACC) and the Department of Secondary and Higher Education (Maushi).

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group