“চুক্তি আইন সমগ্র অঙ্গীকারের আইন নয় এবং সমগ্র বাধ্যবাধকতার আইন নয়”—এই উক্তিটি বিশ্লেষণ কর
প্রশ্ন-৪। “চুক্তি আইন সমগ্র অঙ্গীকারের আইন নয় এবং সমগ্র বাধ্যবাধকতার আইন নয়”—এই উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
অথবা চুক্তি কাকে বলে? চুক্তি সম্মাদন করার যোগ্য কে?একজন নাবালকের আইনগত অবস্হান আলোচনা কর।
উত্তরঃ
চুক্তির সংজ্ঞাঃ
– চুক্তি হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত এমন এক (অঙ্গীকার) যা আইনের দ্বারা (বলবৎ) করা যায় এবং যার ফলে ব্যক্তির মধ্যে (প্রতিশ্রুতি রক্ষা) হয়।
– ১৮৭২-২(জ) ধারায়ঃ আইনে বলবৎ যোগ্য সম্মতি হচ্ছে চুক্তি।
যদি ১০ ধারায় বর্নিত উপাদান প্রতিষ্ঠিত অঙ্গীকারে বিদ্যামান থাকে তখন চুক্তি সংঘটিত হয়।
উদাহরনঃ ক তার গরু খ কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির প্রস্তাব দিল।খ তার প্রস্তাবে সম্মতি দিল। যার ফলে তাদের উভয়ের মধ্যে ৫০ হাজার টাকার এক অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠিত হল।তবে আইনগত বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হল না।
নিচে দেওয়া হলে যে উপাদানগুলি থাকলে তাদের মধ্যে বাধ্যবাধকতার সৃষ্টি করেঃ
১. ক ও খ উভয়ের যদি (চুক্তি করার যোগ্যতা) থাকতে হবে।ক ও খ উভয়ে নাবালক না হলে/ অসুস্হ না হলে।
২.(স্বাধীনভাবে মতামত) প্রকাশের সক্ষমতা থাকতে হবে(কোন প্রকার চাপ, ভাীতি প্রদর্শন, প্রতারণা,ভ্রান্তি ও মিথ্যা বিবরন জড়িত না থাকা)।
৩. চুক্তির (প্রতিদান/সমস্যার সমাধান বৈধ) হতে হবে। যার ফলে কারো কোন ক্ষতির কোন কারন না হয়।
৪. বিক্রিয়ের উদ্দেশ্য অবৈধ না হয়ে থাকে।
৫.(প্রচালিত কোনো আইনে) এ বিক্রিয় নিষিদ্ধ না হলে।
কাজেই বলতে পারি চুক্তি আইন সমগ্র অঙ্গীকারের আইন নয় এবং সমগ্র বাধ্যবাধকতার আইন নয়।