শিক্ষা নিউজ

পড়তে বসলে ঘুম আসে কেন? এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?

পড়তে বসলে ঘুম আসে কেন? Why do you fall asleep in 10 minutes after reading? এব্যাপারে আমরা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

লেখাপড়া করতে বসলে ঘুম আসে কেন? বই পড়তে গেলে চোখ সবসময় বইয়ের পাতার দিকে নিবদ্ধ রাখতে হয়, এবং প্রতি মুহূর্তে চোখকে বাম থেকে ডান দিকে, আবার ডান থেকে বাম দিকে ঘোরাতে হয়। শুধু তা-ই না, চোখ যেসব দেখে, সেগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্ককে অর্থবোধক শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদও তৈরি করে নিতে হয়, এবং সেগুলো দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে, তা-ও অনুধাবন করতে হয়। আবার পাঠ্যপুস্তক পড়ার সময় বাড়তি চাপ হিসেবে যোগ হয় পঠিত বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখার চ্যালেঞ্জ। এভাবে পড়ার সময় ক্রমাগত নাড়াচাড়ায় চোখের পেশি যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তেমনই একসাথে অনেকগুলো কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে মস্তিষ্কও ওঠে হাঁপিয়ে। তখন চোখ ও মস্তিষ্ক উভয়েরই বিশ্রামের প্রয়োজন পড়ে। আর ঘুমের চেয়ে শ্রেয়তর বিশ্রাম কী হতে পারে! তাই তো ধীরে ধীরে চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে, এবং মস্তিষ্কে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হতে থাকে।

এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?

❐উজ্জ্বল আলোয় পড়তে বসুন । দিনের বেলা যথেষ্ট প্রাকৃতিক আলোর জন্য জানালা এবং দরজা খোলা রাখুন। রাতের বেলা টেবিল ল্যাম্প ইউজ করতে পারেন। কম আলোয় কখনো পড়বেন না।

❐কোনো কিছুতে ১০-১৫ মিনিটের বেশি একটানা মনযোগ ধরে রাখা কঠিন । সেটা বিরক্তিকর হলে আরও কঠিন। ১০ মিনিট পর পর ১-২ মিনিটের ব্রেক দিন। দিনের বেলা হলে বেলকোনির আলো বাতাস খেয়ে আসুন। রাতের বেলা হাত এবং মাথা ঘুরিয়ে নাড়ুন। এবং বেশি বেশি পানি পান করুন।

❐অবশ্যই বিছানায় পড়তে বসবেন না। পুরো শরীর রেস্টে চলে গেলে বাকি মস্তিষ্ক আর চোখেরও রেস্ট নিতে ইচ্ছে করবে। এজন্য চেয়ার টেবিলে বসে পড়ুন।
(অনেকে বিছানায় পড়তে সাছন্দ্য পান। তাদের ক্ষেত্রে যেই জায়গায় তারা উপযোগী সেইখানে পড়া উচিত কিন্তু চেয়ার টেবিল বেষ্ট এতে আপনার পড়ার প্রতি তীব্র ইচ্ছা ও আগ্রহ বাড়বে)

টর্ট আইন

৪। শব্দ করে পড়লে ঘুম আসার সম্ভাবনা একবারেই কমে যাবে। মনে মনে পড়তে গেলে ঘুম বেশি আসে।
(কিন্তু শব্দ করে পড়লে আপনি মিনিট এ ১৫০ টির মত শব্দ উচ্চারণ করতে পারবেন কিন্তু নিশ্চুপ ভাবে পড়লে ২৫০+ তাই রিভিশানের ক্ষেত্রে চুপ করে পরাই বেটার)

৫।সারাদিন ঘরে বসে থাকবেন না । মাঝে মাঝে বাইরে বের হোন প্রাকৃতিক আলো বাতাসে।

৬।পড়া শুরু করার আগে নিয়মিত চা কফি খান। প্রয়োজনে অপ্রোয়োজনে বেশি চা কফি খেলে ইফেক্ট কমে যেতে পারে।

৭। মোটিভেশন অনেক দরকার । আপনি কেন পড়বেন বা পড়ছেন , সেটা মাথায় এনে প্রচণ্ড উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পড়ুন।
৮।স্টিকি নোট/পেন্সিল/কলম দিয়ে দাগিয়ে দাগিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার ইন্দ্রিয় সক্রিয় থাকবে ও পেশীগুলাও সতেজ থাকবে!

সর্বশেষ , পড়াশোনা মানসিক সাধনার ব্যাপার। ভোগের জিনিষ থেকে নিজেকে দূরে রেখে চেয়ার টেবিলে বই নিয়ে বসে থাকা সহজ ব্যাপার নয়। এত সহজ এবং আনন্দদায়ক হলে সবাই ভাল রেজাল্ট করতো। সেক্ষেত্রে এর কোনো বিষেশত্ব থাকতো না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে পড়বেন , আপনি সফল হবেন। না পারলে কোনো উপদেশই আপনার জন্য কাজে আসবে না

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group