জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন কলেজে অনার্সে অধিভুক্তি দিচ্ছে না
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন কলেজে অনার্সে অধিভুক্তি দিচ্ছে না । অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, গত দুই বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনার্সে অধিভুক্তি দিচ্ছে না। নতুন কলেজে অনার্সে অধিভুক্তি দেয়ার কোনো পরিকল্পনাও নেই। তবে অদূর ভবিষ্যতে যদি কখনো খুব প্রয়োজন হয়, নতুন বিষয় যেমন টুরিজম নতুন করে দেয়া, সে রকম হলে বিবেচনা করা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, খুব প্রয়োজন না হলে নতুন অধিভুক্তি আর নয়। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, দক্ষতাভিত্তিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। আগামী বছরের শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে এসব কোর্স চালু করা হবে। এ ধরনের মোট ১২টি ডিপ্লোমা কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
কর্মমুখী এই কোর্সগুলো হলো, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ইংরেজি ও আরবি ভাষা, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, ফার্মিং টেকনোলজি, ডেটা অ্যানালাইসিস, ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ম্যানেজমেনট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান, সাইবার সিকিউরিটি এবং সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট।
Read more ‘শিক্ষকদের বেতন নিশ্চিত না করলে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে’— জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন নোটিশে চাকরি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন এই স্তরের সাড়ে চার হাজার শিক্ষক। তারা বলছেন, চাকরি না থাকলে বেতনের নিশ্চয়তা কি কাজে আসবে?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন নিশ্চিত করতে কলেজগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব কলেজ বেতন দেবে না, তাদের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে। মনিটরিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির শর্তে বলা ছিল—অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের কলেজ কর্তৃপক্ষ বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে। এরপর শর্ত মেনে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অনার্সের কোর্স খোলে। ফলে অধিভুক্তি না থাকলে শিক্ষকদের পদই থাকবে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শন দফতর থেকে দেশের প্রায় সাড়ে তিনশ’ বেসরকারি কলেজকে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের বেতন দিতে বলা হয়। শিক্ষকদের বেতন না দিলে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। ওই নোটিশনার পর চাকরি হারানোর আতঙ্কে পড়েন বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা।
এর আগে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তর উঠিয়ে দেওয়ার আলোচনায় শিক্ষকরা চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগেন। নতুন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নোটিশে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও সমস্যা না হলেও এই স্তরের শিক্ষকরা চাকরির অনিশ্চতায় পড়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বেসরকারি কলেজগুলোর অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা যখন বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন, তখনই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চিঠি দিয়ে কলেজগুলোকে বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এরপরেও দফায় দফায় শিক্ষকরা আন্দোলন করলেও কলেজগুলো শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না।