খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : শিক্ষার্থী উপস্থিতি নিয়ে চিন্তা
করোনা মহামারির কারণে গত এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। চলমান ছুটির মধ্যে সংসদ টেলিভিশন, বেতার, কমিউনিটি রেডিওর পাশাপাশি ভার্চুয়ালি শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হলেও তাতে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে আগামী দুই থেকে তিন বছর সময় প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
তারা বলছেন, অনেক শিক্ষার্থী ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত হওয়ায় স্কুল-কলেজে উপস্থিতি কমে যাবে। মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমিয়ে আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণি ক্লাসের সময় বাড়াতে হবে। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে আলাদাভাবে তাদের শেখাতে হবে। এজন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মানী বাড়াতে হবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং বাড়াতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। কওমি মাদরাসা ছাড়া অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়ে বলেন, পর্যায়ক্রমে প্রথমেই প্রাথমিকে হয়তো পঞ্চম শ্রেণিকে প্রতিদিন আনব। আমরা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে প্রতিদিন আনব। বাকি ক্লাসগুলো হয়তো প্রথমে সপ্তাহে একদিন, কয়েক দিন পর থেকে তারা সপ্তাহে দুদিন আসবে। পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।’