সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না, বন্ধই থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না, বন্ধই থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাস ঠেকাতে কয়েক দফা সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর নতুন করে আর কোনো ছুটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করতে হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিকালে তিনি বলেন, ‘‘বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা অফিসে আসবে না, গণপরিবহন চলবে না। আপাতত ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল, কলেজও বন্ধ থাকবে।’’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুমোদন দিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা যাবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে কাজ করবে। সব ধরনের সভা-সমাবেশ, ধর্মীয় জমায়েত আগের মতো বন্ধ থাকবে। হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে মসজিদ-মন্দিরে প্রার্থনা চলবে।’ ‘এই সময়ে রেল পরিবহন চলবে। বেসরকারি বিমান প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চালু করতে পারবে।’
এরআগে সকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন ‘ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বলেছেন। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এবং চতুর্থ দফায় ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়।
এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না হওয়ায় পঞ্চম দফায় ১৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীন অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে। সর্বশেষ গত ১৫ জুন জারি করা প্রজ্ঞাপনে রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এখনো তা চলছে।
শুধু রেড জোনে ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।। তবে ইয়েলো এবং গ্রীন জোনে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, অফিস- আদালত, জরুরি সেবা সীমিত পরিষরে চালু থাকছে।