অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট ২০২৪ Marksheet ডাউনলোড করুন । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে নানা অসঙ্গগতির অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় সমন্বিত ফলাফল (সিজিপিএ) প্রকাশিত হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষায় উপস্থিত থাকার পরও অনুপস্থিত দেখিয়ে ফেল করানো এবং একই বিষয়ে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে ফেল দেখানো হয়েছে। ওই পরীক্ষা মোট ফেলের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ঈদের আগে গত ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশে পাসের হার ছিল ৭২ শতাংশ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে ২০২১ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার বাংলা, ইংরেজী, আরবী, সংস্কৃত, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, ইসলামী শিক্ষা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, অর্থনীতি, মার্কেটিং, ফিন্যান্স-এ্যান্ড ব্যাংকিং, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রাণ-রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, গণিত, গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান, নৃ-বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং সঙ্গীত বিষয়ের ফলাফল এতদ্বারা প্রকাশ করা হল।
National University CGPA Calculator গণনা পদ্ধতি জেনে নিন এখানে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট ২০২৪ NU Honours 4th Year Result Marksheet ডাউনলোড করুন
পরীক্ষার্থীদের উত্তির্ন প্রেক্ষিতে তাদের CGPA সহ এ ফলাফল প্রকাশ করা হলো। ফলাফল দেখার লিংকঃ http://www.nu.ac.bd/results/
এখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত এসব ভুল সংশোধন করা। না হলে তারা আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। একইসাথে এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীরা মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ চেয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ফেল করা ৬০ হাজার ১৫৭ জনের মধ্যে ১ বিষয়ে ফেল প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। আমাদের পরীক্ষা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২ ভাগে পরীক্ষা নিয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষের রেজাল্ট পাই ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে। যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ বন্ধ, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘অটোপাস’ দেয়া হয়েছে , প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ শতাংশ পাস করাচ্ছে সেখানে আমাদের এই পরিস্থিতিতে ১ বিষয়ে ফেল দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন।
এই এক বিষয়ে ফেল দেয়ায় সবকিছু আরো কঠিন হয়ে গেছে আমাদের জন্য। আবার কবে করোনা পরিস্থিতি ঠিক হবে তখন পরীক্ষা হবে। সেই পর্যন্ত আমাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাবে। আগামী ২৯ জুলাই থেকে এ পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে। প্রতি কোর্সের ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের গুনতে হবে ৮০০ টাকা।