শিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

মানব কল্যাণ প্রবন্ধ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

মানব কল্যাণ প্রবন্ধ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ প্রবন্ধের আবুল ফজলের মতে, একটি রাষ্ট্র কিভাবে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে পারে?
উত্তর: হাত পাতা ও চাটুকারিতা কে প্রশ্রয় না দেওয়ার মাধ্যমে।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ প্রবন্ধে মনুষ্যত্বের অবমাননা বলতে আবুল ফজল কি বুঝিয়েছেন?
উত্তর: মানুষের মর্যাদাবোধ ক্ষুন্ন হওয়া কে।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ এর উৎস মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি আর মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যেই নিহিত কেন?
উত্তর: মনুষত্ববোধ অর্জন সম্ভব হয় বলে।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ প্রবন্ধ এ করুনার বশবর্তী হয়ে দান খয়রাতের অসম্ভবই পরিণতি কি ছিল?
উত্তর: মনুষত্ব বোধের অবমাননা।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ প্রবন্ধটি বর্ণিত ভিক্ষুক কার কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছিল?
উত্তর: ইসলামের নবীর কাছে।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ প্রবন্ধে নবী ভিক্ষুককে কি দিয়েছিলেন?
উত্তর: কুড়াল দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ প্রবন্ধ অনুযায়ী মানুষকে কোন পথে বেড়ে উঠতে হবে?
উত্তর: মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে হবে।

প্রশ্ন- সমাজের ক্ষুদ্রতম অঙ্গ বা ইউনিট কোনটি?
উত্তর: পরিবার সমাজের ক্ষুদ্রতম ইউনিট।

প্রশ্ন- আবুল ফজলের মতে মানব কল্যাণ কি হতে পারে না?
উত্তর: স্বয়ম্ভু হতে পারেনা।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ প্রবন্ধের প্রতিটি মানুষকে কেমন হতে হবে?
উত্তর: প্রতিটি মানুষকে সামাজিক হতে হবে।

প্রশ্ন- প্রতিটি মানুষের মানব কল্যাণ কিসের সাথে সম্পর্কিত?
উত্তর: সমাজের ভালো-মন্দের সাথে।

প্রশ্ন- মানুষের মনুষত্ব কে বাদ দিয়ে স্রেফ তার জৈব অস্তিত্বের প্রতি সহানুভূতিশীল মানব কল্যাণ কি হতে পারে না?
উত্তর: ফলপ্রসূ হতে পারেনা।

প্রশ্ন- লেখক এর মতে মানব কল্যাণের কোন রূপ দেখার জন্য দূর-দূরান্তে যাওয়ার প্রয়োজন নেই?
উত্তর: কুৎসিত রূপ দেখার জন্য দূর-দূরান্তে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

প্রশ্ন – আবুল ফজলের মতে মানব কল্যাণের কোন রূপ আমাদের আশেপাশে সারা দিকে তাকালেই দেখা যায়?
উত্তর: কুৎসিত রূপ।

প্রশ্ন- কোন মনোভাব নিয়ে মানুষের কল্যাণ করা যায় না?
উত্তর: বিভক্তিকরণের মনোভাব।

প্রশ্ন- কোন পথে মানুষের কল্যাণ করা যায়?
উত্তর: সমতা আর সংযোগ সহযোগিতার পথে।

প্রশ্ন- সত্যিকারের মানবকল্যাণ কিসের ফসল?
উত্তর: মহৎ চিন্তাভাবনার ফসল।

প্রশ্ন- বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভার সবাই কিসের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন?
উত্তর: মানবিক চিন্তা ও আদর্শের উত্তরাধিকার।

প্রশ্ন- “তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন” এই উক্তিটি কার?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র ।

টর্ট আইন


প্রশ্ন- মানব কল্যাণের প্রকৃত স্বরূপ কি?
উত্তর: মানব কল্যাণ প্রবন্ধের লেখক মানব কল্যাণের প্রকৃত স্বরূপ উপস্থাপন করেছেন। তিনি মনে করেন আমাদের বর্তমান সমাজে মানব কল্যাণ শব্দটি অনেকেই ভুল অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে করুণার বশবর্তী হয়ে দান-খয়রাত করাকেও মানবকল্যাণ মনে করে থাকেন। অথচ এটি প্রকৃতপক্ষে মান-মর্যাদার অবমাননা। তিনি মনে করেন মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রায়শই হলো প্রকৃত মানব কল্যাণ। আলোচ্য প্রবন্ধের আলোকে বামদিকের বিষয়বস্তু আমাদের সমাজে প্রচলিত আর ডান দিকের বিষয়বস্তু প্রকৃত মানব কল্যাণ মানবকল্যাণের প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধি মানব কল্যাণ এর অর্থ অর্থাৎ ব্যবহার করছে।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ মানব অপমানে পরিণত হয়েছে কিভাবে?
উত্তর: মানুষের স্বাভাবিক অধিকার আর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ছাড়া মানবকল্যাণ মানব অপমানে পরিণত হয়।
আবুল ফজল বর্তমান পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখতে পান দুস্থ, অবহেলিত, বাস্তুহারা, স্বদেশ বিতাড়িত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আবার রিলিফ রিহেবিলিটেশন প্রভৃতি শব্দের ব্যবহার বাড়ছে। তিনি আরও প্রত্যক্ষ করেন রেডক্রস এর মত সেবাধর্মী সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলোকে তিনি এক ধরনের মানব অপমান বলে মনে করেন। কারণ এসবের মাধ্যমে কখনোই প্রকৃত মানব কল্যাণ সাধিত হয় না। এগুলো মানুষকে ছোট করে রাখার কৌশল ছাড়া কিছু নয়। সুতরাং মানুষের স্বাভাবিক অধিকার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ছাড়া মানবকল্যাণ মান অভিমানে পরিণত হয়।

প্রশ্ন- লেখক এর মতে শ্রেষ্ঠ মানব কল্যাণ কোনটি? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মানুষের ভেতরে এক অসীম অনন্ত সম্ভাবনার বীজ রয়েছে, তা স্ফুরণ স্ফুটনের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্র রচনা করাই হলো শ্রেষ্ঠতম মানব কল্যাণ।
মানুষের প্রাণ আছে অন্য প্রাণীর দেহে প্রাণ আছে। অন্য প্রাণী থেকে মানুষের পার্থক্য হল, মানুষের ভেতরে রয়েছে এক অনন্ত সম্ভাবনার বীজ। যা অন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। মানুষের ভেতরেই সম্ভাবনাময় বীজের পরিপুষ্টি ও বিকাশ সাধন করা হলো মানুষের শ্রেষ্ঠ পরিচায়ক। আর এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করাই হল শ্রেষ্ঠ মানব কল্যাণ।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণ স্বয়ম্ভু বিচ্ছিন্ন সম্পর্করহিত হতে পারে না কেন?
উত্তর: প্রত্যেক মানুষ সমাজের সাথে নিবিড় ভাবে সম্পর্কিত। ফলে মানুষের কল্যাণে সামগ্রিকভাবে সমাজের ভাল-মন্দের উপর নির্ভর করে। কিন্তু সমাজে মানব কল্যাণ কথাটি সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয়। মূলত উপলদ্ধি হীনতার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কখনো মানব কল্যাণ সাধিত হতে পারে না। প্রকৃত মানব কল্যাণ সাধিত হবে যখন সমাজের সকল কল্যাণ একসাথে হবে । আর এ কারণেই মানবকল্যাণ স্বয়ম্ভূ সম্পর্করহিত হতে পারে না।

প্রশ্ন- মানব কল্যাণের প্রাথমিক সোপান বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মানব কল্যাণের প্রাথমিক সোপান বলতে মানুষকে মানুষ হিসাবে এবং মানবিক বৃত্তির বিকাশের পথে বেড়ে ওঠার যথাযথ ক্ষেত্র রচনা কে বোঝানো হয়েছে।
মানুষকে মানুষ হিসাবে এবং মানবিক বৃত্তির বিকাশের পথে বেড়ে উঠতে হবে। এর জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা হল যথাযথ ক্ষেত্র রচনা। কারণ উপযুক্ত ক্ষেত্র বা পরিবেশ গড়ে তোলা না হলে মানব কল্যাণ সাধিত হবে না। আর এ দায়িত্ব যেমন পরিবারের রয়েছে তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্র সে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। মূলত সমাজ ও রাষ্ট্রের উপরেই এ দায়িত্ব অধিক পরিমাণে বর্তায়। তাই মানবকল্যাণের প্রাথমিক বলতে মানুষকে মানুষ হিসাবে এবং মানবিক বৃত্তির বিকাশের পথে এই বেড়ে ওঠার যথাযথ ক্ষেত্রকেই বোঝানো হয়েছে। লেখক এর মতে অন্যকে ছোট করে তা কখনো মানুষ হতে পারে না তার মতে মানুষ তাদের কোনদিনও তার কারণেই মানবকল্যাণের মতো মহৎ শব্দের অর্থ করে থাকে।

প্রশ্ন- ‘অনুগ্রহকারী ও অনুগৃহীতের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ’ কেন তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের চরিত্র হওয়ায় অনুগ্রহকারী আর অনুগৃহীত মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
যিনি দান করেন তিনি অনুগ্রহকারী অপরদিকে জিনিসেই দান গ্রহণ করেন তিনি অনুগৃহীত ব্যক্তি। উভয়ের মধ্যে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। একজন ইতিবাচক-নেতিবাচক আর এ কারণেই তাদের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।

প্রশ্ন- “সে সোপান রচনায় সমাজ আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সে সোপান রচনায় সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলতে মানবকল্যাণের প্রাথমিক সোপান কে বোঝানো হয়েছে।
মানব কল্যাণ তখনই সাধিত হবে যখন মানুষ প্রকৃত মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারবে। আর এর জন্য প্রয়োজন যথাযথ ক্ষেত্র রচনা। যে ক্ষেত্র রচনার প্রধান দায়িত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রের। লেখক বলেছেন মানবকল্যাণের প্রাথমিক সোপান প্রস্তুত থাকলেই সমাজে ও রাষ্ট্রে প্রকৃত মানব কল্যাণ সাধিত হবে বলে লেখক মনে করেন । প্রশ্ন কথাটির দ্বারা এ বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন- কিভাবে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব বলে প্রাবন্ধিক মনে করেন?
উত্তর: প্রাবন্ধিক মনে করেন মুক্তবুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে সুপরিকল্পিত পথে কল্যাণময় পৃথিবীর রচনা সম্ভব।
মানব কল্যাণ প্রবন্ধের লেখক মানবকল্যাণের প্রকৃত তাৎপর্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন অনেকে দুস্থ মানুষকে করুনাবসত দান খয়রাত করাকে মানবকল্যাণ বলে মনে করেন কিন্তু লেখক এর মতে এমন কাজ সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক কারণ এভাবে কখনোই কল্যাণময় সম্ভব নয়। তার মতে মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রায় সেই হল মানব কল্যাণ অর্থাৎ সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো মানবকল্যাণ তাই প্রাবন্ধিকের বিশ্বাস মুক্তবুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে পরিকল্পনামাফিক পথেই মানব কল্যাণ কল্যাণময় পৃথিবী রচনা করা সম্ভব।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group