এইচএসসি ও সমমানের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের পর থেকেই আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে। যদিও এখনো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি; তবুও শিক্ষার্থী-অভিভাকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। বিষয়টি নিয়ে করণীয় ঠিক করতে আজ বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সেখানে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা প্রস্তাব দেন তারা।
অনলাইন এই বৈঠকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার রাতে অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হচ্ছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করাটা কঠিন হয়েছে দাঁড়িয়েছে, তাই দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছি আমি।
বৈঠকে উপস্থিত গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, সভায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আগামী শনিবার এই বিষয়ে আলোচনা করতে উপাচার্যদের নিয়ে আবারও বৈঠক হবে। সেখানে হয়তো কোনা সিদ্ধান্ত আসলেও আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শনিবারের বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসির গ্রেড পয়েন্ট রাখা না রাখার বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে। কেননা করোনা সংক্রমণের কারণেই এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সেখানে ভর্তি পরীক্ষার মতো বিশাল একটি কর্মযজ্ঞ আয়োজন করতে গেলে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সব বিষয় বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়ে আসছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিভিন্ন কলেজগুলোয় এই পদ্ধতিতে ভর্তি হয়ে থাকে এইচএসসি উত্তীর্ণরা।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক সঞ্চালনা করেন ইউজিসির সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম।