মন হাসি খুশি রাখার সহজ উপায় জেনে নিন । জীবনে হাসি-খুশি থাকার গোপন রহস্য।
নিজেকে সবচে’ সুখী ভাবুন : নিজেকে পৃথিবীর সবচে’ সুখী মানুষ ভাবুন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। দেখবেন খুশি থাকতে পারবেন।
- আফসোস করবেন না : জীবনে হতাশার অন্যতম কারণ আফসোস। আপনার যা নেই বা যা হারিয়ে ফেলেছেন তা নিয়ে কখনো আফসোস করবেন না। আপনার কাছে ভালো মোবাইল নেই, কিন্তু আপনার হয়তো এমন কিছু বন্ধু আছে; যারা সবসময় আপনার পাশে থাকে। তাহলে ভাবুন অন্যের চেয়ে আপনি এদিক দিয়ে এগিয়ে আছেন।
-
অতীত নিয়ে ভাববেন না : অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দুটোই নষ্ট হয়ে যায়। হারিয়ে যায় মুখের হাসি ও জীবনের আনন্দ। যা হবার তা হয়ে গেছে। ‘কী করতে পারতেন’ তা নিয়ে না ভেবে ‘কী করতে পারবেন’ সেটার ওপর জোর দেন। জীবনে আনন্দ ফিরে আসবেই।
-
কম আশা : কষ্ট মানুষ তখনই পায় যখন নিজের ভাবনার সঙ্গে বাস্তবতাটা মেলে না। সাধ্যের অতিরিক্ত আশা করাটা কখনোই ঠিক না। যারা কখনোই খুব বেশি আশা করেন না, তারা কারো কাছ থেকে জীবনে কম কষ্ট পান।
-
হতাশ হবেন না : আমাদের জীবনে অনেক ধরনের ইচ্ছা থাকে, কিন্তু সবই কি কখনো পূরণ হয়? তা নিয়ে কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। বিশ্বাস করুন, যা আপনি পেয়েছেন তাই আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।
-
যে কাজ ভালো লাগে তাই করুন : খুঁজে বের করুন কোন কাজটি আপনাকে খুশি দেয়। কোন কাজটি করলে আপনি মানসিকভাবে আনন্দ পান তা খুঁজে বের করুন। সেই কাজটিই করুন। মনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখবেন না।
-
বাস্তববাদী হতে হবে : খেয়াল করে দেখবেন যারা সবসময় হাসিখুশি থাকে তারা বেশ বাস্তববাদী মানুষ। তাদের মধ্যে সত্যিকে সত্যি বলে মেনে নেয়ার সাহস থাকে। তারাও স্বপ্ন দেখেন। তবে সেটি বাস্তব স্বপ্ন, কোনো দিবাস্বপ্ন না। আর তাই এসব মানুষ কষ্ট কম পায়।
- বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান : বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। সবসময় চেষ্টা করবেন নিজের সবচে’ কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর। এতে মন মেজাজ ভালো থাকবে।
-
ইতিবাচক চিন্তা করুন : ইতিবাচক চিন্তা আপনার কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ইতিবাচক চিন্তাই আপনাকে খুশি রাখতে পারে। যদি আজ কোনো কাজে ব্যর্থতা আসে, তাহলে ভাববেন না আপনি সবসময়ই ব্যর্থ। কাল সাফল্য অবশ্যই আসবে।
-
প্রিয়জনের সঙ্গে থাকুন : আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে দিনে অন্তত ৫বার আলিঙ্গনের চেষ্টা করুন। হতে পারে আপনার বাবা-মা, স্ত্রী বা সন্তান। এতে আপনি অনেক বেশি খুশি থাকতে পারবেন।
- নিজেকে দোষ দেবেন না : কোনো কাজে ব্যর্থ হলে নিজেকে বা অন্যকে কখনো দোষ দেবেন না। ভুল তো হতেই পারে। চেষ্টা করুন যে ভুল হয়ে গেছে সামনে তা শুধরে নেয়ার।
আনন্দ আর বেদনা মিলিয়েই তো জীবন। মন খারাপ থাকলে শরীরও খারাপ হবে। তাই মন খারাপ রেখে লাভ কী বলুন! হুটহাট করে মন যদি খারাপও হয়ে যায়, নিমিষেই তা ভালো করে ফেলুন। চলুন জেনে নেই মন ভালো করার কয়েকটি উপায়–
১. মন ভালো রাখার সবচেয়ে কার্যকারী ওষুধ
হিসেবে পরিচিত হাসি। শত মন খারাপেও একচিলতে হাসি সব দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে। গবেষকরা বলছেন, শুধু মন নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে প্রাণ খুলে হাসি
৷ এছাড়াও এটি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২. শরীরচর্চাও আপনার মন ভালো রাখতে পারে। শরীরচর্চার ফলে অ্যান্ডরফিন নামক হরমোন নির্গত হয়; যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চা উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কমাতেও সাহায্য করে।
৩. সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ নিয়ে কয়েক মিনিট রোদে বা জানলার ধারে গিয়ে দাঁড়াতে পারেন। এতে আপনার শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি
পাবে। সূর্যালোকে এমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে, যা মানসিকভাবে সুস্থ রাখে।
৪. হঠাৎ কোনো কারণে মন খারাপ হলে গান শুনুন। গান মানুষের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আবার মিউজিকের তালে চাইলে একটু নাচতেও পারেন। পছন্দের কোনো গান শুনলে মুহূর্তেই আপনার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। মনে পড়তে পারে সুখের কোনো স্মৃতি। গবেষণায় দেখা গেছে, গান মন ভাল রাখার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
৫. অ্যালবামে রাখা পুরোনো ছবিগুলো নেড়েচেড়ে দেখুন। এটি খুব তাড়াতাড়ি আপনার মন ভালো করে দেবে। পুরোনো ছবির পেছনের গল্প যখন আপনার মনে পড়বে তখন পালিয়ে যেতে পারে সব দুঃখ।
৬. এছাড়াও পছন্দের কোনো ছবি ফেসবুকে পোস্ট অথবা কম্পিউটারের স্ক্রিনসেভারে রাখতে পারেন। এতে মনে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে। ভালো মন নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
৭. লিখতে পারেন ডায়েরিতে মজার কোনো স্মৃতি লিখতে পারেন। যদি নেইলপলিশ পছন্দ করেন নখটা একটু রাঙিয়েও নিতে পারেন। রান্নার যদি শখ থাকে তা হলে করে ফেলুন মজার কোনো রেসিপি।