শিক্ষা নিউজ

সারাদেশে স্কুল পর্যায়ে বিনামূল্যের বই বিতরণ শুরু

কাগজের মূল্য বৃদ্ধি এবং বাজারে কাগজ সংকটের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই দেশের সব ছাত্রছাত্রী নতুন বই না পাওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই গতকাল থেকে সারাদেশে স্কুল পর্যায়ে সরকারের বিনামূল্যের বই বিতরণ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মোট চাহিদার বেশিরভাগ বই উপজেলাপর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি কপি বই উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে ছাপাখানা মালিকরা (মুদ্রাকর)। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ২/৩ কোটি বই ছাপা হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই ছাপা ও সরবরাহ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা থাকলেও সেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২২ ডিসেম্বর প্রাথমিক স্তরের আট কোটি ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার কপি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার কপি বই উপজেলা পর্যায়ে ছেপে সরবরাহ করেছে ছাপাখানা মালিকরা। নির্ধারিত সময়ে সব বই ছাপা সম্ভব না হওয়ায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবার রাজধানী ও আশপাশের এলাকা এবং বিশেষ বিশেষ জেলাগুলোতে শতভাগ বই সরবরাহের চেষ্টা চলছে।

পাঠ্যবইয়ের মান তদারকির দায়িত্ব পাওয়া ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্সিসেস বিডি’ প্রধান শেখ বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনভাবেই ৭৫ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই স্কুলে পাঠানো সম্ভব হবে না। প্রাথমিকের বইয়ের অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও মাধ্যমিকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বই এই বছর পাঠানো যাবে না।’

নিম্নমানের কাগজে বই ছাপার কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ রয়েছে জানিয়ে শেখ বেলাল হোসেন বলেন, এই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বই আছে অন্তত পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি।

২০২১ সালে প্রাথমিক স্তরের (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী) ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার ৭১৪ কপি এবং প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২২ কপি বই ছাপা হচ্ছে। আর ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর জন্য ব্রেইল বইসহ (৯ হাজার ৫০৪টি) ২৪ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ৩৪৯টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা স্তরসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে।

পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কোনভাবেই বই পাঠানো সম্ভব হবে না। করোনা সংক্রমণের কারণে পুরো কার্যক্রমই ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সক্ষমতা যাচাই-বাচাই না করে অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়াও একটি বড় কারণ। আবার হঠাৎ করে কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং বাজারে ভালোমানের কাগজের সংকটের কারণে ছাপার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবছর দরপত্র আহ্বানের সময়ের তুলনায় পরবর্তীতে কাগজের দাম কমলেও এবার হয়েছে উল্টো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা গতকাল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই স্কুলপর্র্যয়ে পৌঁছে দিতে, কিছু বই ছাপার কাজ বাদ থাকলেও কোন সমস্যা হবে না। কারণ আমরা সব স্কুলেই বই পৌঁছাতে চেষ্টা করছি। যাদের ১২/১৩টি বই, তারা হয়তো ২/৩টি বই কম পাবে, বাকি বইগুলো পরবর্তীতে পেয়ে যাবে। আমরা সেভাবেই স্কুলে বই পাঠাচ্ছি।’

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group