বিভিন্ন কারণে মাস্টার্সের পরীক্ষার সময় সংকুচিত করা হয়েছেঃ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান
মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কোর্সের পরীক্ষা রেখে রুটিন সাজিয়েছেকর্তৃপক্ষ। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। গত (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের নিয়মিত/অনিয়মিত, প্রাইভেট, গ্রেড উন্নয়ন ও সিজিপিএ, এমএ, এমএসএস, এমবিএ, এমএসসি, এম মিউজ, আইসিটি শেষ পর্বের পরীক্ষা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। এ পরীক্ষা চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত। নির্ধারিত তারিখ ও সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা শুরু হবে।
মাস্টার্স রুটিন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মার্চ। এর মধ্যে প্রথম সপ্তাহে চারটি, দ্বিতীয় সপ্তাহে চারটি, তৃতীয় সপ্তাহে পাঁচটি এবং চতুর্থ সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে ২৩ দিনে শেষ হবে সব কোর্সের পরীক্ষা। বিভিন্ন কোর্সের পরীক্ষার মাঝে খুব বেশি সময় পাবেন না শিক্ষার্থীরা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান বলেন, আগে সপ্তাহে ৬ দিন, এমনকি রোজার মধ্যেও পরীক্ষা হতো। এখন সেটি সম্ভব নয়। আগে শনিবার বন্ধ ছিল, এখন শুক্র ও শনিবার দুইদিন বন্ধ থাকে। ৭ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের বন্ধ থাকবে। এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে জুন মাসে আরও দেড় মাস বন্ধ রাখতে হবে। মাস্টার্সের পরীক্ষা ছাড়াও অনার্স ও ডিগ্রির কয়েকটি পরীক্ষা হবে। সূচির সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষা নিতে না পারলে এটি চলে যাবে এপ্রিলের পরে। সেজন্যই মাস্টার্সের পরীক্ষার সময় সংকুচিত করতে হয়েছে। এর ফলে সপ্তাহে পাঁচদিনই পরীক্ষা হবে।
বিগত চার বছরের সূচি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- প্রতি বছরই পরীক্ষার্থীরা প্রতিটি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কয়েকদিন করে ছুটি পেয়েছেন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের পরীক্ষা হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫২ দিন, ২০১৯ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০২২ সালের ১০ মে থেকে ১৫ জুন ৩৭ দিন, ২০১৮ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ ৩৭ দিন, ২০১৭ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০১৯ সালের ২২ জুন থেকে ৫ আগস্ট ৪৫ দিন। কিন্তু আসন্ন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা সেই সময় পাবেন না জেনেই ক্ষোভ জানিয়েছেন।