তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শোনা বলা পড়া ও লেখার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন
আগামী বছর থেকেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না রাখার ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এসব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ধারণাপত্রটি নিয়ে আজ প্রথম সভা করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দিয়ে কোন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে সে বিষয়ে একটি ধারণাপত্র তৈরি করা হয়েছে। আজকের সভা থেকে একটি টেকনিক্যাল কমিটি করে দেওয়া হবে, যারা অংশীজনদের মতামত নিয়ে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করবে। এরপর পরীক্ষা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ধারণাপত্র থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের শোনা-বলা-পড়া ও লেখা—এই চারটি বিষয়ের ওপর মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চারটি দক্ষতা অর্জনেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাঠের প্রকৃতি অনুযায়ী একই সঙ্গে শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে শিক্ষক পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন শেষ করবেন। প্রতি মাসে একবার করে ধারাবাহিক মূল্যায়ন রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের কোনো নম্বর দেওয়া হবে না।
জানা যায়, শোনার ক্ষেত্রে শিশুদের আদেশ বা নির্দেশ দিয়ে তা পালন করানো, গল্প বা গল্পের অংশ শুনিয়ে প্রশ্ন করে তার উত্তর বলতে ও লিখতে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে রেকর্ডারও ব্যবহার করা হতে পারে। বলার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্পষ্টতা, শুদ্ধতা, প্রমিত উচ্চারণ, শ্রবণযোগ্যতা, সঠিক ছন্দে কথোপকথন, প্রশ্ন করা, অনুভূতি ব্যক্ত করা, বর্ণনা করা ও বাচনভঙ্গির ওপর মূল্যায়ন করা হবে। লেখার ক্ষেত্রে স্পষ্ট ও সঠিক আকৃতিতে লেখা, শূন্যস্থান পূরণ, এলোমেলো শব্দ বা বাক্য সাজিয়ে লেখাসহ নানা দিক দেখা হবে। তবে সুন্দর হাতের লেখার প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া হবে। পড়ার ক্ষেত্রে সময়, উচ্চারণ, সাবলীলতা, গতি পরিমাপ করা, শুদ্ধতা, শ্রবণযোগ্যতা যাচাই করা হবে