প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের আবেদন ২০২১ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবার সব মিলিয়ে সাড়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশের ইতিহাসে সরকারি কোনো চাকরিতে এটিই সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেডে উন্নীত হওয়ায় অনেকেরই আগ্রহ বেড়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিম্নে দেয়া হল।
পরীক্ষা পদ্ধতি
গতবারের মতো এবারও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০। এর মধ্যে লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষায় ৮০ আর মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর ২০। এমসিকিউ পরীক্ষায় পাস হলে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হবে। মৌখিক পরীক্ষায় টিকলে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে।
এমসিকিউ যেভাবে
পরীক্ষা নেওয়া হবে বিষয়ভিত্তিক বহু নির্বাচনী বা এমসিকিউ পদ্ধতিতে। বিষয়গুলো হচ্ছে বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-২০, সাধারণ জ্ঞান+বিজ্ঞান+কম্পিউটার-২০। প্রতিটি বিষয় থেকে ২০টি করে মোট ৮০টি বহু নির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। তবে কোনো কোনো বিষয় থেকে ২-৩টা প্রশ্ন কম-বেশি থাকতেই পারে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা যাবে অর্থাৎ চারটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১ নম্বর কাটা হবে।
প্রতিযোগিতা হবে উপজেলাভিত্তিক
এই নিয়োগ হবে নিজ উপজেলাভিত্তিক। তাই সারা দেশের প্রার্থীদের কথা ভেবে ভয় পেয়ে লাভ নেই। নিজ উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লড়তে হবে। ধারণা করা যায়, আপনি যদি এমসিকিউ পরীক্ষায় ৮০-র মধ্যে ৬০ পান, তাহলে পাসের ক্ষেত্রে বলা যায় ৫০ শতাংশ নিশ্চিত আর যদি ৭০ শতাংশ পান তাহলে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত! তবে বিষয়টি নির্ভর করবে নিজ উপজেলার প্রার্থীদের পরীক্ষার ওপর। নারীদের জন্য এটা একটা বড় সুবিধা। এই চাকরির সুবিধা হলো একজন নারী তাঁর পরিবারকে অনেক বেশি সময় দিতে পারবেন।
যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন
প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নপত্র সমাধান বা জব সলিউশন পাবেন। ভালো মানের কোনো একটি জব সলিউশন সংগ্রহ করে নিয়মিত অনুশীলন করুন। তার মধ্যে শুরুতে আমি বলব, বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়ে ফেলুন। এর ফলে আপনার প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা হবে। বাজারের ভালো মানের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ সহায়িকা বই সংগ্রহ করে একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বুঝে বুঝে পড়ুন। বাজারের অনেক বইয়ের মধ্যে কোনটি পড়বেন—এ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন। তাঁদের জন্য পরামর্শ হলো, যেসব বইয়ে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি, বিগত বছরের প্রশ্ন ও এর ব্যাখ্যা রয়েছে, সে বইগুলো কিনবেন।
রুটিন কেমন হবে
বিষয়, সময় ও নিজের সুবিধা মাথায় রেখে রুটিন তৈরি করে ফেলুন।
গণিত ও ইংরেজি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর এ দুটি বিষয়েই অনেকের দুর্বলতা থাকে, তাই গণিত ও ইংরেজিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২+২ ঘণ্টা সময় দিয়ে একটা রুটিন বানিয়ে ফেলতে পারেন। আর অন্যান্য বিষয় মিলে আরো ২-৩ ঘণ্টা। এভাবে দিনে সব মিলিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা পড়ার সময় রুটিনে রেখে পড়ালেখা করতে পারলে ভাল প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হবে