১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস 2024
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস 2024 NTRCA 18th Teacher Registration Exam Syllabus 2024 Download প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে এ সিলেবাস প্রকাশ করা হয়।
NTRCA সিলেবাস:-
বাংলা : বাংলা অংশে সাধারণত ব্যাকরণের ওপর প্রশ্ন আসে। স্কুল ও কলেজ—উভয় পর্যায়েই ভাষারীতি ও বিরামচিহ্নের ব্যবহার, বাগধারা ও বাগবিধি, ভুল সংশোধন বা শুদ্ধকরণ(শুদ্ধ বানান), যথার্থ অনুবাদ, সন্ধিবিচ্ছেদ, কারক-বিভক্তি, সমাস, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, বাক্য সংকোচন ও লিঙ্গ পরিবর্তন থেকে বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে।
স্কুল পর্যায়ের জন্য নবম ও দশম শ্রেণির বোর্ড প্রণীত ব্যাকরণ বইটি ভালোভাবে পড়তে হবে।
কলেজ পর্যায়ের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বইও দেখতে হবে। গদ্য ও পদ্যের লেখকের নাম, পরিচিতি জানা থাকতে হবে।
ইংরেজি : ইংরেজি অংশে ভালো করতে হলে গ্রামারের খুঁটিনাটি জানতে হবে, বিশেষ করে Use of Article, Uses of Verbs, Completing Sentences, Translation From Bengali to English / English to Bengali, Synonyms and Antonyms, Idiomsand Phrases। বাজারের যেসব বইয়ে গ্রামারের বেসিক বিষয়গুলো সহজভাবে দেওয়া আছে, সেগুলো দেখতে পারেন। বিগত বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো থেকে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রশ্ন ব্যাংক বা জব সল্যুশন নামে বিভিন্ন প্রকাশনী বিগত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরসংবলিত বই প্রকাশ করে।
গণিত : গণিতে ভালো করতে হলে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো দখলে রাখতে হবে।
বিগত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার(ষষ্ঠ থেকে চতুর্দশ) স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের প্রশ্নপত্রে গণিতে এসব টপিকের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন এসেছে—
পাটিগণিত : গড়, ঐকিক নিয়ম, লসাগু ও গসাগু, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত।
বীজগণিত : উৎপাদক, বর্গ ও ঘনসংবলিত সূত্রাবলি ও প্রয়োগ, গসাগু, বাস্তব সমস্যা সমাধানে বীজগাণিতিক সূত্র গঠন ও প্রয়োগ, সূচক ও লগারিদমের সূত্র ও প্রয়োগ।
জ্যামিতি : স্কুল পর্যায়ের জন্য রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত সম্পর্কিত সাধারণ ধারণা, নিয়ম ও প্রয়োগ।
কলেজ পর্যায়ে—পরিমিতি ও ত্রিকোণমিতি সম্পর্কিত সাধারণ ধারণা, নিয়ম ও প্রয়োগ।
পরীক্ষায় মাঝে মাঝে এমন সব অঙ্ক আসে, যেগুলো সমাধান করতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই অঙ্ক বা সমস্যা সমাধানে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতির প্রয়োগ জানতে হবে।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস 2024
সাধারণ জ্ঞান : সাধারণ জ্ঞানের কয়েকটি অংশ—
ক) বাংলাদেশ বিষয়াবলি
খ) চলতি ঘটনাবলি বাংলাদেশ
গ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
ঘ) চলতি ঘটনাবলি আন্তর্জাতিক
ঙ) বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং রোগব্যাধি সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান।
সাধারণ জ্ঞানের জন্য সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ভালোভাবে জানতে হবে। অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে সাধারণ জ্ঞানের গণ্ডি বড়। নিয়মিত পত্রিকা পড়লে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবরাখবর রাখা যাবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি’ অংশে যেসব বিষয়বস্তুর ওপর প্রশ্ন থাকতে পারে—
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, পরিবেশ, সম্পদ (বন, কৃষি, শিল্প, পানি), যোগাযোগব্যবস্থা, বাংলাদেশের সমাজজীবন, সমস্যা, জনমিতিক পরিচয়, রাষ্ট্র, নাগরিকতা, সরকার ও রাজনীতি, সরকারি ও বেসরকারি লক্ষ্য, নীতি, পরিকল্পনা(অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা), কর্মসূচি, প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও সভ্যতা, সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, নদ-নদী, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সম্পদ।
‘আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ—বিভিন্ন দেশের ভৌগোলিক পরিচিতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ, জাতিসংঘ, আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক সংগঠন, মুদ্রা, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, রোগব্যাধি, খেলাধুলা ইত্যাদি।
এরপর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদ দুইটির নাম পরিবর্তন করে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও গ্রন্থাগার প্রভাষক করা হয়। এ দুই পদে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব দেওয়া হয় এনটিআরসিএকে। এনটিআরসিএর মধ্যেমে এ পদগুলোর নিয়োগ সুপারিশ করার নির্দেশনা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার অংশ হিসেবে এ দুটি পদে এনটিআরসিএ সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও উত্তীর্ণদের সনদ দেওয়াসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে এ পদগুলোতে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে।
২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেদিন বিকেল ৪টা থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল। এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আগ্রহী প্রার্থীরা সে বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পেরেছেন। আর ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফি জমা দিয়ে আবেদন নিশ্চয়নের সুযোগ পেয়েছেন। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে ১১ লাখ ৭২ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।