শিক্ষা নিউজ

স্কুল-কলেজ-মাদরাসা কেন আগে খুলছে

দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খুলবে ৩০ মার্চ। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে আরও দুই মাস পর ২৪ মে।

করোনা মহামারির কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হলেও স্কুল-কলেজ-মাদরাসা কেন আগে খুলছে সেই প্রশ্ন অভিভাবক-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সতর্ক রেখে ক্লাসে ফিরতে পারলেও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বয়সের তুলনায় নিজেদের কতটা নিরাপদ রাখতে পারবেন-এ প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচক মহল।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে হলে থাকার বিষয়টি যুক্ত নয়। এছাড়া বয়স কম হওয়ায় তাদের টিকা নেওয়ার বিষয়টিও বাধ্যবাধকতায় পড়ে না।

এজন্যই স্কুল-কলেজ আগে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ঈদুল ফিতরের পর ২৪ মে থেকে শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ১৭ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, হলগুলো খুলে দেওয়ার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ মার্চ থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অর্থাৎ স্কুল-কলেজ খোলার দুই মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিচ্ছে সরকার। তবে পঞ্চম, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে আনা হলেও অন্য শ্রেণিগুলোর জন্য প্রতিদিন খোলা থাকবে না স্কুল-কলেজ।

শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দ্বাদশ, মাধ্যমিক পর্যায়ে দশম এবং প্রাথমিক পর্যায়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন (সপ্তাহে ছয় দিন) ক্লাস হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। নবম এবং একাদশ শ্রেণির সপ্তাহে দু’দিন করে ক্লাস হবে। তারপর পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে একটু একটু করে বাড়িয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় শতভাগ ক্লাস চালু হবে।

কিন্তু প্রায় এক বছর পর স্কুল-কলেজ খুলতে যাওয়ার মধ্যে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা কতটা হবে তা নিয়েই প্রশ্ন সমালোচকদের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব অনেকেই।

স্কুল আগে খোলা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে দাবি করে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তো টিকা নিয়ে ক্লাসে যাবে। কিন্তু স্কুল-কলেজের বাচ্চাদের টিকার অনুমোদন নেই।

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে উপযোগী সব শিক্ষক-কর্মচারী এবং অভিভাবকদেরও দুই ডোজ টিকা নিশ্চিত করতে হবে। আর স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা হচ্ছে কিনা- তা মনিটর করতে হবে। অন্যথায় আবারও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

এ নিয়ে সোমবার (১ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলগুলো হলের সঙ্গে সম্পর্কিত না। আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। এজন্যই স্কুল-কলেজগুলো আগে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group