Class 2 English Solution PDF Download ২য় শ্রেণির ইংরেজি সমাধান বই ডাউনলোড, দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরেজি বই Class two English For Today pdf  চার বছরের অনার্স শেষ হয়নি সাত বছরেও । এ অবস্থায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে গতকাল সোমবার প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় দুই দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ না করলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তাঁরা।

Class 2 English Solution PDF Download ২য় শ্রেণির ইংরেজি সমাধান বই ডাউনলোড

দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরেজি বই Class two English For Today pdf Download file

জানা যায়, ২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরের বছরই ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ চালু করা হয়। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ২১টি বিভাগের মধ্যে শুধু এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা চার বছরের অনার্স সাত বছরেও শেষ করতে পারেননি। যেখানে অন্য বিভাগগুলো ধীরে ধীরে সেশনজটমুক্ত হচ্ছে সেখানে এ বিভাগে দিন দিন বাড়ছে সেশনজটের মাত্রা। অন্য বিভাগের সমসাময়িক ব্যাচগুলো অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন বছর দুয়েক আগে। এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে তিনজন উপাচার্য পেয়েছেন। ২০১৭ সালে তৃতীয় উপাচার্যের আমলে এ ব্যাচের অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ ছয় বছর পার করে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার শেষ করার ১০ মাস পরও তাঁদের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।

একই দশা এ বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের। আট বছরে এসে অনার্স শেষ হলেও এখনো মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি তাঁরা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এক বছরে দুটি সেমিস্টার (জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর) মিলিয়ে একটি শিক্ষাবর্ষ শেষ হবে। এক সেমিস্টারের মেয়াদ ছয় মাস হওয়ায় সাড়ে চার মাসের মধ্যেই সব ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, মিডটার্ম ও প্রেজেন্টেশন শেষ করে পরবর্তী ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু বেশির ভাগ বিভাগের শিক্ষকরা এ নিয়মের তোয়াক্কা করেন না বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘বিভাগ থেকে আমাদের কাছে এখনো ফলাফলের শিট পাঠানো হয়নি। বিভাগ থেকে ফলাফল পেলেই আমরা যত দ্রুত সম্ভব ফলাফল প্রকাশ করব।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘বিভাগের বেশির ভাগ শিক্ষক ব্যক্তিগত কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। সেমিস্টার পদ্ধতির নিয়মও তাঁরা যথাযথ অনুসরণ করেন না। নিয়মানুযায়ী শিক্ষকদের যে পরিমাণ ক্লাস নেওয়ার কথা তার অর্ধেকেরও কম ক্লাস নেন। অনেক শিক্ষক শুধু পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার আগে দুই-চারটি ক্লাস নেন।’

তাঁরা আরো অভিযোগ করেন, সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষার কথা বললেই উল্টো হয়রানির হুমকি দেন শিক্ষকরা। করোনাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে তাঁদের পক্ষ থেকে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বিভাগ কর্তৃপক্ষ পাত্তাই দেয়নি। এ বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব স্পষ্ট। তাঁর হাতেও অনেক কোর্স থাকে। ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রধান মো. আতিউর রহমান বলেন, ‘বিভাগে নানা সংকটের কারণে সেশনজট ও ফলাফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে।’