শিক্ষা নিউজ

ফেসবুক পেজেই ৮০ হাজার টাকা মাসিক আয় শিক্ষার্থীর

সাবাহ মোমতাজ প্রমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী। ২০১৫ সালে ছিলেন স্নাতক প্রথম বর্ষে, এখন মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। শুরুতে শখ করেই নিজ হাতে প্রথম ব্যাগটি বানিয়েছিলেন। আর সেই প্রথম ব্যাগটি মাকে উপহার দিয়েছিলেন। ব্যাগটি পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন মা। সেখান থেকেই নিলেন অনুপ্রেরণা। সেটা ২০১৫ সালের কথা।

পরে ২০১৮ সালে নিজের টিউশনির জমানো ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফ্যাক্টরি থেকে চারটি ব্যাগের ডিজাইন করেন প্রমি। সেখান থেকেই শুরু। এখন নিজে চাকরি না খুঁজে অন্যের জন্য কর্মসস্থান তৈরি করছেন প্রমি।Fusion Fiesta নামে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে নিজের লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন। শুরুতে নিজের মেশিন না থাকায় বিভাগের ল্যাব থেকে ব্যাগের ডিজাইন করে প্রমির তৈরিকৃত ব্যাগ বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা পায়।

শুধু তাই নয়, জার্মানিতেও টানা পাঁচ মাস নিজের পণ্য রপ্তানি করেছেন প্রমি। তবে করোনার কারণে সে ধারায় কিছুটা ছেদ পড়েছে। নিজের স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে প্রমি বলেন, ২০১৫ সালে প্রথম ব্যাগ তৈরির পর থেকেই এমন একটি উদ্যোগ নেয়ার স্বপ্ন তৈরি হয়। আমার উদ্দেশ্য হল, দেশীয় পণ্যে সবার কাছে জনপ্রিয় করে তোলা। সবাই যাতে নিজের সাধ্যের মধ্যেই এ ধরনের পণ্যগুলো কিনতে পারে, সেভাবেই চেষ্টা করছি।

ফেসবুক পেজেই ৮০ হাজার টাকা মাসিক আয় শিক্ষার্থীর
সাবাহ মোমতাজ প্রমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী

তিনি বলেন, আমার ব্যাগের মূল ক্রেতা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা। তবে সব বয়সী মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যাগ কিনতে পারে সেই চেষ্টা করছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে দেশীয় পণ্য জনপ্রিয় করে তুলতে চাই।

প্রমির প্রতিষ্ঠিত Fusion Fiesta অনেক মেয়ের পছন্দের পণ্যের জন্য অন্যতম ঠিকানা। দুই থেকে শুরু হলেও এখন পাঁচ জনের কর্মসংস্থানের যোগানদাতাও প্রমি। কিন্তু ব্যবসাকে আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে গিয়ে জায়গার স্বল্পতা আর মেশিন কেনার টাকার অভাব বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

তবে পরে দুটি পুরাতন সুইং মেশিন ও দু’জন কারিগর নিয়ে নতুন আঙ্গিকে শুরু করলেন ব্যবসা। দেড় বছর ধরে প্রমি কাজ করছেন নিজের ডিজাইনের পাট, চামড়া, ডেনিম, ক্যানভাস, কাতানের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে। ফেসবুক পেজে নিজের তৈরি ব্যাগ বিক্রি থেকে তার এখন মাসিক আয় ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

প্রমি বলেন, আমার এখন ছোট একটি ওয়ার্কশপ আছে। সেখানে পাঁচজন কাজ করছেন নিয়মিত। আমি আমার তৈরি পণ্য ভবিষ্যতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। সেই স্বপ্নের পথেই হাঁটছি। পরিস্থিতি ঠিক হলে ওয়ার্কশপের পাশেই একটি বিক্রয় কেন্দ্র তৈরির ইচ্ছা আছে।

ডেইলিরেজাল্টবিডি / ক্যাম্পাস টুডে

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group