শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি পরিস্থিতি দেখে বাড়তে পারে। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি বাড়ানো হবে ২৯ মে পর্যন্ত। তবে ছুটি আরো বাড়বে কি-না, তা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে ছুটি বাড়ানো হতে পারে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
শনিবার (১৫ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ঊর্ধগতি দেখা দেয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এবং করোনা মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ছুটি চলাকালীন শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস চলমান থাকবে।
গত ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে বন্ধ থাকা দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি শেষ হবে আগামী ১৬ মে। এছাড়া যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার। এরইমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে এই ছুটি রোজা ও ঈদের ছুটির সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে।সরকারের শীর্ষপর্যায়ের সিদ্ধান্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত ছিল। যা পরে বাড়িয়ে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ২৯ মে পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় শিক্ষাপঞ্জিও এলোমেলো হয়ে গেছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে আসবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার ব্যক্তিগত মত হলো এই পরিস্থিতির মধ্য থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ঠিক হবে না। এছাড়া ঈদের ছুটিও আসছে। সরকার নিশ্চয় সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুললে হল-ডরমেন্টরিগুলোও খুলে দিতে হবে। তখন একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।
ছুটি আর বাড়ানো হবে কি-না, জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, পরিস্থিতি তো খারাপের দিকে যাচ্ছে। ছুটি বাড়ানো হবে কি-না, জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে সব।
‘আগে তো জীবন। তারপর পড়াশোনা। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দুর্যোগ কেটে গেলে একমাসেই পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’ প্রাথমিক স্তরের জন্য গত ৭ এপ্রিল থেকে সংসদ টিভিতে ক্লাস শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।