জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বুয়েটে পর্ব ০৪
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বুয়েটে পর্ব ০৪ Episode 04 from National University to BUET
যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে হীনমন্যতায় ভোগে এই পোস্ট তাদের জন্যঃ
কয়েকদিন হলো আমি পোস্ট করতেছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করে বুয়েটে পড়ার সুযোগ নিয়ে,অনেকেই তাচ্ছিল্যের ছলে কমেন্ট করেছেন অনেকে বিশ্বাস করার মতো সোর্স খুজছেন।হাহা রিয়েক্টের সংখ্যাও মাশাআল্লাহ।
প্রথমে বলে নিই শুধু বুয়েট নয়,
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জাপান,কানাডার মতো দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় হুলোতে পড়ছে।
আপনি জানেন না কিভাবে সম্ভব মানে আপনি নিজে আতেল,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে দোষারোপ করবেন না।
আমার প্রচেষ্টা শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রতিভা গুলোকে পথ দেখানো।
এতে আমার কোন লাভ বা ক্ষতি নেই,
কেবল একটাই ভাললাগা থাকবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর ছাত্র মানেই আপনার ভবিষ্যৎ শেষ এমনটা ভাববেন না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করে আপনি দেশের সুনামধন্য
বুয়েট,রুয়েট,চুয়েট,কুয়েট,ডুয়েটে এমএসসি এমফিল কিংবা ডক্টরেট করতে পারবেন।
আপনার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট আপনার জন্য সমস্যা করবে না।
উচ্চ শিক্ষায় আপনার যোগ্যতার ভিত্তিতে আপনাকে ভর্তি নেয়া হয় আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এটা কোন বিষয় না।
এইতো কদিন আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাজুয়েশন করা
আশুতোষ নাথ দা ও নাদিম ভাই সহ এবছরই ৬-৭জন ডক্টরেট করতে গেলেন আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়াতে।
সংখ্যাটি নেহাতই কম কেননা,আমাদের ৯৯% শিক্ষার্থী তো জানেনিনা তাদের বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ ও আছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে উচ্চ শিক্ষার একটি জায়গা এটা কেউ মানতে চায়না কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তো আপনারা ধরেই নেন সব শেষ।
পড়াশুনা কতোটা করেন সেটা নিজেরা জানেনই।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র হয়ে আপনি গর্ব না করে হীনমন্যতায় ভোগেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে আপনি এমআইটি,অক্সফোর্ড, হার্ভার্ডে ও পড়তে পারবেন।
হ্যাঁ অবশ্যই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সুযোগ সল্পতা রয়েছে, গবেষণার ফান্ডিং নেই।আমি নিজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি জানি এসব,সাথে আরও জানি যতটুকু সুযোগ আছে আপনি কি সেটার মধ্যে থেকে চেষ্টা করেছেন ভাল কিছুর?
কয়টা ক্লাস করেন?
আরে থামেন বলবেন না ক্লাস নেয়না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাররা,
আপনি ক্লাসে জাননা তাই জানেনই না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতই ক্লাস হয়।
রসায়ন পদার্থে গনিতে পড়েন আর ল্যাবের সময় ট্রায়াল ডে গুলোও ল্যাবে আড্ডা দেন কাজ করে ল্যাব এটেন্ডেন্ট, ল্যাব সহকারিরা,
আরে ভাই আপনার চেয়ে তারা যোগ্য,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দোষ দেয়ার আগে নিজের জায়গা থেকে কতোটা চেস্টা করেছেন ভেবে দেখুন।
কখনো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবি ও তো তোলেননি কেন আমাদের সুযোগ নেই।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি আমার দ্বারা কিছু হবেনা কথাটি যে ভাবে সে সত্যি অযোগ্য,নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।
পরিশ্রম না করে সফলতা আশা করবেন না।
আর আবার বলছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন আপনি।
আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনি পারবেন,আপনি পারবেনই।
আমার ধারাবাহিক পোস্ট গুলোই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিয়েই লিখব।
[ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]
মো.সোহানুর রহমান
এমএসসি, জৈব রসায়ন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
সাবেক শিক্ষার্থী
রসায়ন বিভাগ
সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।