জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা ছাড়াই ক্লাসে ফিরছে

দেড় বছর বন্ধ থাকার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস কার্যক্রমে অংশ নিতে টিকার কোন বাধ্যবাধকতা থাকছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যার তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কয়েকগুণ। এ মুহুর্তে বিপুল সংখ্যার এসব শিক্ষার্থীর টিকা দেয়ার সক্ষমতা না থাকায় টিকা ছাড়াই পাঠদান শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

সর্বশেষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে আদেশ জারি করেছে তাতে দেখা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২১ অক্টোবর থেকে সশরীরে ও অনলাইনে ক্লাস শুরু হবে। ওই দিন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামও অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সরাসরি ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বে অবশ্যই কলেজের শ্রেণিকক্ষ, বিজ্ঞানাগারসহ পুরো ক্যাম্পাস যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ক্লাস নেয়ার উপযোগী করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ (প্রয়োজনে কলেজ টিকাদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ), স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সচেতনতা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে নির্দেশনা দিয়েছে তা সুষ্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন টিচার্চ ট্রেনিং কলেজের একজন সহযোগী অধ্যাপক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। কাদের সরাসরি ক্লাস নেয়া হবে কদিন নেয়া হবে। আর অনলাইনে ক্লাস করবে কোন কোন শিক্ষার্থীরা সে বিষয়ে এখনো কিছুই জানায়নি কর্তৃপক্ষ। যেকারণে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এ আদেশের পরও সরাসরি পাঠদান শুরু করছে না।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির ডাটাবেজে যে তথ্য আছে সেখানে ৮ লাখ শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে। বাকী ২২ লাখ শিক্ষার্থীর এনআইডি নেই।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের টিকার দুই ডোজ পেতে মোট ৬০ লাখ টিকা লাগবে। এ বিষয়ে প্রতি কলেজে উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কলেজগুলোতে টিকাকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা করা হচ্ছে।

সরাসরি ক্লাসে কোন শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে সে বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যেসব পাঠদান অনলাইনে সম্ভব হয় না। অর্থাৎ ব্যবহারিক ও বিজ্ঞান ল্যাবে কাজ করতে হয় তাদেরকে সরাসরি পাঠদান করা হবে। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থীর ওরিয়েন্টেশন বা যারা নতুন তাদের তো ক্লাস-ক্যাম্পাস চিনতে হবে। এসব শিক্ষার্থীরাই সরাসরি ক্লাস করতে পারবে তবে তা প্রতিদিন নয়।

কত শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে এ বিষয়ে এখনো সঠিক তথ্য আমাদের হাতে আসেনি জানিয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা হয়তোবা রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে কারণ আমরা তেমন কোন অভিযোগ পাচ্ছি না। আশা করি এ বছরের মধ্যে সব শিক্ষার্থী টিকার আওতায় আসবে।

বাংলাদেশ জার্নাল

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group