জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি ।
করোনার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাও না নিয়ে ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষাগুলোর কী হবে। এই তিনটি পরীক্ষার আদলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়েও নতুন করে ভাবার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্সে ২৯ লাখ ১০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের চাকরির বয়স নিয়েও শঙ্কিত। এ কারণেই বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষাজীবন এগিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানিয়েছেন, করোনা মহামারির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে কোনো ধরনের লেখাপড়ার মধ্যে নেই। করোনা সময় খেয়ে ফেলছে তাদের। যারা পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করেছে তারাও পরীক্ষা দিতে পারছে না; ফলে অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। লেখাপড়া নেই, পরীক্ষা নেই। এদিকে পেরিয়ে যাচ্ছে বয়স। তাই এই স্তরের শিক্ষার্থীদেরও বিকল্প মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী স্তরে উত্তীর্ণ করা উচিত, যাতে পড়াশোনার মধ্যে থাকে। না হলে তরুণ সমাজের বিপথে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা মার্চেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বেশির ভাগ বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হলেও করোনা মহামারির কারণে দুটি থেকে পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা আটকে যায়। তখন থেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন তারা; কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কেটে গেছে ৯ থেকে ১০ মাস। অনেকের মধ্যেই উত্কণ্ঠা আর হতাশা দানা বাঁধছে; কবে শেষ হবে বাকি পরীক্ষাগুলো। আর কবে হবে পরীক্ষার ফলাফল। কারণ চতুর্থ বর্ষ শেষ না হলে মিলবে না সনদ। আর সনদ না মিললে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণও করা হবে না।

স্বয়ংক্রিয় পাশের দাবিতে সম্প্রতি গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বিভিন্ন কলেজের বিএ (সম্মান) ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার্থীরা এই দাবি জানান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাশ কোর্স দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষ, মাস্টার্স ফাইনাল এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে এসব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। ডিগ্রি পাস কোর্সে প্রতিটি বর্ষে ৩৪টি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, স্বয়ংক্রিয় পাশের বিষয়টি এখনো ভাবা হচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় এনে এই মুহূর্তে ফেস টু ফেস পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। ভ্যাকসিন এলেও সমস্যার সমাধান হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এক দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া যাবে। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হলে সেটা ভিন্ন কথা। এই স্তরের শিক্ষায় স্বয়ংক্রিয় পাশ দেওয়া ঠিক হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সেশনজট কমানোর জন্য ২০১৪ সালে এক বার ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হয়। এ কারণে শিক্ষাবর্ষ এক বছরের স্থলে আট মাস হয়েছিল। পাঠদান ও শিক্ষাগ্রহণ বড় বিষয় নয়, পরীক্ষা নিয়ে সেশনজট কমানোই ছিল ঐ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য। কিন্তু ঐ প্রোগ্রামে গলদঘর্ম হতে হয়েছিল শিক্ষার্থীদের।

একের পর এক পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে। সময় পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষাসূচি করা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে—জানুয়ারিতেও যদি শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যায়, তাহলেও এই পরীক্ষাজট কমাতে অন্তত তিন বছর সময় লেগে যাবে।

ইত্তেফাক

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group