৫ম শ্রেণীর সকল গাইড পিডিএফ ডাউনলোড Nctb class 5 All book Solution Pdf Download
৫ম শ্রেণীর সকল গাইড পিডিএফ ডাউনলোড Nctb class 5 All book Solution Pdf Download সেশন জটে পড়তে পারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অনার্স ৪র্থ বর্ষ, এল এল বি ১ম পর্ব, মার্স্টাস সহ প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত আছে এছাড়া অনার্স/ ডিগ্রী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিঘ্ন হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে সেশন জট ছাড়াই অনার্স/ ডিগ্রী সহ সকল পরীক্ষা/ ফলাফল/ রুটিন সহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদিত হয়ে আসছিল ।
৫ম শ্রেণীর সকল গাইড পিডিএফ ডাউনলোড Nctb class 5 All book Solution Pdf Download
৫ম শ্রেণীর সকল গাইড পিডিএফ ডাউনলোড
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস বন্ধ সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশ করেছে। এনইউ এর ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রােধে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস আগামী ১৫ জুন, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকাবে এবং সকল পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ,এছাড়া পরীক্ষার ফরম ফিলাপ কার্যক্রম ও স্থগিত রয়েছে এসব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ৬৮ দিনের ছুটিতেই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক পরীক্ষাজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছুটি আরও প্রলম্বিত হলে এ জট আরও দীর্ঘ হবে। ৬৮ দিনে কেবল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরই শতাধিক পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও সৃষ্টি হয়েছে পরীক্ষাজট। সামগ্রিকভাবে সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।এপ্রিল থেকে সারাদেশে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। অনেক আগেই তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামার সেমিস্টারের ভর্তিও স্থগিত করা হয়েছে। চলতি মাসেই দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরুর পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি রয়েছে। তবে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এসব পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। কেবল পরীক্ষা নয়, পরীক্ষার ফল প্রকাশও স্থগিত হয়ে গেছে এই পরিস্থিতির কারণে। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে। এরই মধ্যে দু’দফায় ছুটি বাড়ানো হলেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কোনো চিন্তা সরকারের নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি প্রয়োজনে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত বর্ষপঞ্জি অনুসারে পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কিছু ছুটি মিলিয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি রয়েছ। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই আগামী জুনের আগে আর খুলছে না বলে জানা গেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থকে জানা গেছে, এসএসসির লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করলেও করোনো পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উত্তরপত্রের ওএমআর শিট স্ক্যানিং স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আর উত্তরপত্র নিয়ে বোর্ডে আসতে নিষেধ করা হয়েছে পরীক্ষকদের। শুধু ঢাকা বোর্ড নয়, সবক’টি শিক্ষা বোর্ড একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক জানান, সাময়িকভাবে এসএসসির উত্তরপত্রের ওএমআর শিট স্ক্যানিং স্থগিত করা হয়েছে। করোনা আতঙ্ক কেটে গেলে ডাবল শিফটে কাজ করে কাজের এই গ্যাপ পূরণ করে নেওয়া হবে। ফল প্রকাশের বিষয়ে অবস্থার আলোকে যা করা দরকার, করা হবে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করার পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই নতুন রুটিন ঘোষণার কথা ছিল। গত ২২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় নতুন সময়সূচি ঘোষণাও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এই পরীক্ষা আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করাটা সম্ভব নয় বিধায় পরীক্ষা স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ পরীক্ষা স্থগিতই রাখা হবে।’
এদিকে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা সময়মতো নেওয়া সম্ভব হবে না বলেও ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। তাই পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। কেননা কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের নূ্যনতম কোনো ঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না। পিছিয়ে যাচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোরও প্রথম সাময়িক পরীক্ষা।
রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বলেন, ‘প্রথম সাময়িক পরীক্ষা এপ্রিলেই হওয়ার কথা ছিল। এখন সরকার যখন স্কুল খুলে দেবে, তখনই দ্রুত সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
তবে অভিভাবকদের সংগঠন ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরামে’র সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ‘সিলেবাস শেষ করা এত সহজ ব্যাপার নয়। তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে সিলেবাস শেষ করে দেওয়া যেতে পারে বটে, তবে তাতে পরীক্ষার্থীরা কিছুই শিখবে না।’ তিনি আরও বলেন, সংসদ টিভিতে মাধ্যমিকের ক্লাস সম্প্রচার সরকারের একটি শুভ উদ্যোগ, এ জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তবে ২০ মিনিটের একটি ক্লাস শিক্ষার্থীদের সবটুকু চাহিদা পূরণ করবে, সেটি ভাবা ভুল। এ ছাড়া বাসায় টিভি দেখার সুযোগই বা কতভাগ শিক্ষার্থীর রয়েছে! অনেক এলাকায় তো ঠিকমতো বিদ্যুৎই থাকে না। তারা কীভাবে এটা কাভার দেবে? তাই সামগ্রিকভাবে বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘করোনার আতঙ্ক কেটে গেলে স্কুল-কলেজ খুলে দিয়ে প্রয়োজনে ডাবল শিফটে ক্লাস নিয়ে পড়াশোনার এই গ্যাপ পূরণ করে নেওয়া হবে।’