জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্সে উপস্থিতি ও ইনকোর্সের নম্বর থাকছে না
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্সে উপস্থিতি ও ইনকোর্সের নম্বর থাকছে না
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উপস্থিতি ও ইনকোর্স পরীক্ষায় নির্ধারিত ২০ নম্বর না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। এর ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সগুলোতে ৮০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সিনেট হলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৯১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
এনইউ এর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কলেজ পরিচালনা পর্ষদসংক্রান্ত বিদ্যমান বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। এতে গভর্নিং বডির নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউটের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে ২০ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেয়া হয়। একাডেমিক কাউন্সিলের ৩৩ জন সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। সংশোধনে গভর্নিং বডির নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সভায় দুইজনকে এমফিল ও একজনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের বিষয়টিও অনুমোদন দেয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লিখিত ৮০ নম্বর পরিবর্তে ১০০ নম্বর করার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হলো
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি ইনকোর্স ও উপস্থিতির জন্য নাম্বার তুলে দিয়েছে. অনেকে এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে । এটা শিক্ষার্থীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। কিছু কারণ
কিছু স্যার(যদি ও সব শিক্ষক না) নিজের প্রাইভেট স্টুডেন্টদের ইনকোর্সে বেশি নাম্বার বেশি দেয়, বাকিদের কম দেয়। এই প্রবণতা এখন আর থাকবে না। আর এখন থেকে যারা যোগ্য এবার তারাই প্রথম শ্রেণী পাবে। অযোগ্য রা আর পাবে না। কারন ৪ ঘন্টায় ১০০ করা টাফ + ইনকোর্সের মাগনা নাম্বার পাওয়া আর হবে না।আগে অযোগ্যরা ইনকোর্সের মাগনা নাম্বার ২০ এ ১৭, ১৮ পেয়ে প্রথম শ্রেণী পেয়ে যেত। এখন তা আর হবে না।
পিকনিকে , শিক্ষাসফরে , বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাঁদা না দিলে ইনর্কোস নাম্বার দিবে না এসব ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল থেকে রেহাই পাবে শিক্ষার্থীরা। পিয়ন দের তেল দেওয়া লাগবে না ইত্যাদি।
নেতিবাচক দিক:
ইনকোর্স না থাকার ফলে যেসব সমস্য দেখা দিবেঃ
১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে ৪ ঘন্টা এবং পাস নম্বর হবে ৪০%( যদিও সময় বৃদ্ধি করবে ৩০ মিনিট)
বর্তমানে ইনকোর্স ০৮ আর রিটেন ৩২ সহ মোট ৪০% পেলেই পাস হয়ে যাচ্ছে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস করা কঠিন হবে।
উপস্তিতির উপর নাম্বার থাকার কারণে কম হলেও শিক্ষার্থীরা কলেজমুখী হয়েছে। ইনকোর্স না থাকার কারণে কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করবেনা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী।
ইনকোর্স না থাকার ফলে প্রথম বিভাগ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।( অধিকাংশ)
কলেজের স্যারেরা এমনিতেই ক্লাসে আসেন না ছাত্রছাত্রী না আসলে তারাও হাজিরা দিয়ে বাসায় চলে যাবে।
৮০ নম্বরের পরীক্ষা ৪ ঘন্টায় হয়, ১০০ নম্বরের পরীক্ষা ৪:৩০ ঘন্টায় হবে।( সময় ৩০ মিনিট বৃদ্ধি করতে পারে)
শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত অন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা লাভ করবে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
ইনকোর্স পরীক্ষা বর্তমান চলমান সেশনগুলোতে থাকবে। আগামী ২০২০/২০২১ সেশন থেকে যারা নতুন ভর্তি হবে তাদের জন্য এটা কার্যকর হবে, বর্তমান সেশন যারা আছে তারা মাষ্টার্সে গিয়ে এটা পাবে। এই সার্কলার কার্যকর হলে বর্তমান যারা আছে তারা পুরাতন সিলেবাস বলে গণ্য হবে।
এ সিদ্ধান্তের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক উভয় আছে।