পরীক্ষাশিক্ষা নিউজ

শিক্ষানবিশ আইনজীবীর লিখিত পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না

শিক্ষানবিশ আইনজীবীর লিখিত পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না । ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর লিখিত পরীক্ষা নিতে আগ্রহী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন এসব শিক্ষানবিশ পরীক্ষার্থীরা।

দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও আগামী ১৯ ডিসেম্বর এমসিকিউ উত্তীর্ণ ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর লিখিত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। জানা গেছে, করোনার মধ্যে বারের পরীক্ষায় হল দিতে অপরাগতা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার আয়োজন করতে চায় আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রকারী সংস্থাটি।

এদিকে, আপিল বিভাগের রায় প্রতিপালন না করে অনিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ ও খাতা রিভিউ সুবিধা প্রদান না করাসহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে গত ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তও নিয়েছিল বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনার কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী আদেশ দেন। তাই করোনার সংক্রমণের মধ্যে পূর্বের নোটিশ অনুসারে পরীক্ষা নিতে পারেনি বার কাউন্সিল। এখন পরীক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছেন, করোনার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লিখিত পরীক্ষা না দিয়ে ভাইভার মাধ্যমে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি যাতে করা হয়।

শিক্ষানবিশ আইনজীবী আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, আইনে স্নাতক পাস করে ঘরে বেকার জীবন কাটাচ্ছি। বার কাউন্সিল করোনার মধ্যে সারাদেশ থেকে ১৩ হাজার পরীক্ষার্থীকে ঢাকায় জড়ো না করে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের মেধা যাচাই করতে পারে। এমসিকিউ উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দিতে না চাওয়ার পেছনে যেসব কারণ বারের সামনে তুলে ধরেছেন, সেদিকেও কর্তৃপক্ষ কোনও নজর দেয়নি। তাই করোনাকালে আমাদের করুণভাবে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।

বার কাউন্সিল থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, আগে শুধু মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) মাধ্যমে আইনজীবীদের সনদ দেওয়া হতো। তবে দিন দিন শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়তে থাকায় পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়। আইনজীবী হতে হলে বর্তমানে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যে কোনও একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান। সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষর্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মত বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থীসহ সর্বমোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদ প্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

আরেক শিক্ষানবিশ আইনজীবী মশিউর হাসান জানান, করোনার মধ্যে হুটহাট লিখিত পরীক্ষার নোটিশ দেওয়া, আবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়া আমাদের নতুনভাবে মানসিক যন্ত্রণা বাড়িয়েছে। সিনিয়র আইনজীবীদের অধীনেও প্রাকটিস করা বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন বার অ্যাসোসিয়েশনে আমাদের প্রবেশাধিকার সীমিত এবং কোথাও নিষিদ্ধ করেছে। আমরা আইনজীবী হলে তো সরকারের বেতনভুক্ত হবো না যে, আমাদের প্রতি মাসে সরকারের ফান্ড থেকে বেতন দিতে হবে। বরং আইনজীবী হতে পারলে আমরা স্বাধীনভাবে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবো এবং মামলা পরিচালনার মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারবো। তাই নিয়ে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে আমাদের পরিত্রাণ দেওয়া হোক।

করোনার মধ্যেও আগামী ১৯ ডিসেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও পদাধিকারবলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এএম আমিন উদ্দিন জানান, ‘সরকারের নির্দেশনা পেলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সে অনুসারে ব্যবস্থা নেবে এবং পরীক্ষা পেছাবে।’

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group