জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন, সস্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থীরা! ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের বিএ, বিএসএস, বিবিএ, বিএসসি পরীক্ষার সংশোধিত সূচি প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন সূচিটি প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি -জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত
২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষা করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
Read More অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার নতুন রুটিন
পরিবর্তিত সূচিতে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পরীক্ষা রাখা হয়নি। ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। বেশকিছুদিন ধরে অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। যদিও সংশোধিত সূচি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থীরা। তারা অন্তত ১৫দিন পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সংশোধিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এ পরীক্ষা প্রতিদিন দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে। সংশোধিত সূচি প্রকাশের পর সন্তুষ্ট নন শিক্ষার্থীরা। আজও আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশালে মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, পরীক্ষার তারিখ সংশোধন করে ২৭তারিখের পরীক্ষা মাত্র দুই দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের কারণে আমরা ৩-৪দিন লেখাপড়া করতে পারিনি। অতএব এই সংশোধন আমরা মানি না। আমাদের দাবি পরীক্ষা পিছিয়ে ২৯তারিখ নয়; অন্তত ১৫দিন পিছিয়ে দেয়া হোক।
রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অনার্স চতুর্থ বর্ষের (২০১৫-২০১৬) পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের দিনেও পরীক্ষা রাখা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে রুটিন প্রণয়ন করেছে তাতে আমাদের পরীক্ষা দেয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের মধ্যে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাইনা।