চাকরি দেয়ার নামে প্রতারনা ,প্রতারক চক্রের ৩২ জন গ্রেফতার
চাকরি দেয়ার নামে প্রতারনা ,প্রতারক চক্রের ৩২ জন গ্রেফতার। গাজীপুরের টঙ্গীর মধুমিতা রোড এলাকায় ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক ভুয়া এমএলএম কোম্পানীতে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিএসসি’র সদস্যরা। এ সময় ৭০জন প্রতারিত ভূক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ নথিপত্র জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাছির হায়দান খান, পরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন, পরিচালক/শিক্ষক মোঃ আবু নছর, মার্কেটিং অফিসার মোঃ বাবুল হোসেন, ম্যানেজার মোঃ লুৎফর রহমান, মার্কেটিং মোঃ সেলিম রেজা, প্রশিক্ষক মোঃ জালাল আহম্মদ, অফিস সহকারী মোঃ শাহীন, মোঃ সিরাজ, ডিস্ট্রিবিউটর মোঃ সাজ্জাদ, মোঃ মামুন খন্দকার, মোঃ সাকিল, মোঃ নাজমুল হক, শ্রী পলাশ সরকার, মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ তালহা, মোঃ ছাইদুর, মোঃ আঃ রহমান, জেভিয়ার জেংচাম, মোঃ সাকিব, এ্যালবিন, মোঃ রহিম বাদশা, বাপন, মোঃ রুবেল হোসেন, শিপন রায়, মোঃ আমিনুর রহমান, মোঃ তাছলিম উদ্দিন, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ শওকত হোসেন, মোঃ আরাফাত, মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মোঃ নাজমুল হক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, “লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড” নামক ভুয়া এমএলএম কোম্পানী মাসিক ১৬ হাজার ও তদুর্ধ টাকা বেতনের প্রতিশ্র“তিসহ লোভনীয় অফার দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাকুরী প্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীদের ফাঁদে ফেলে। ভর্তির শুরুতে কোম্পানীর আর্থিক লাভ ও পণ্য বিক্রির কমিশনের আশ্বাসে বাধ্যতামূলক জামানত হিসাবে জন-প্রতি ৫৫ হাজার বা তদুধর্¡ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের নামে এক সপ্তাহ পরে প্রত্যেককে নতুন ২ জন সদস্য সংগ্রহের শর্ত প্রদান করে। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিলে সংগৃহীত টাকার সামান্য কমিশন প্রদান করে। নতুন সদস্য দিতে না পারলে কুট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খালি ষ্ট্যাম্প ও আপোষনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনও করে থাকে।
র্যাব আরো জানায়, অভিযানকালে ভুয়া এমএলএম কোম্পানীর সু-সজ্জিত অফিস থেকে প্রতারণার শিকার ৭০ জন ভূক্তভোগীদের উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও উক্ত কোম্পানীর অফিস থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪০টি মোবাইল, ১টি কম্পিউটারের মনিটর, ১টি সিপিইউ, ১টি প্রিন্টার ও বিপুল পরিমাণ ভুয়া ডকুমেন্ট (ভর্তি ফরম, নিয়ম ও শর্তবলী ফরম, পন্য ক্রয়ের ভাউচার, আপোষ নামা, অঙ্গীকারনামা, সাপ্তাহিক হিসাব রেজিষ্টার, স্পনসর নোট রেজিষ্টার, টাকা জমার রশিদ, ষ্ট্যাম্প, হাজিরা বই ও পণ্য সরবরাহের চুক্তিপত্র) উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানায়।