নিয়োগবিধির পরিবর্তন চান পরিবার পরিকল্পনার মাঠকর্মীরা
নিয়োগবিধির পরিবর্তন চান পরিবার পরিকল্পনার মাঠকর্মীরা .সরকারের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের নিয়োগবিধিতে আমূল পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, কাজ অনুসারে তারা ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নন, কিন্তু তাদেরকে এ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদমর্যাদায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া নিয়োগের সময় তারা ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেলেও পরে তারা সে পদমর্যাদা পাননি। এক্ষেত্রে দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (০৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি ও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সর্বমোট ২৮ হাজার পরিবার পরিকল্পনা খাতের মাঠকর্মীরা বর্তমানে সঠিক নিয়োগবিধি অনুসারে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। মাতৃ ও শিশুমৃত্যু রোধ করার মাধ্যমে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) অর্জন করা গেছে, যার মূল পরিশ্রম ছিল আমাদের। দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মূল সমস্যারোধে প্রতিনিয়ত কাজ করে গেলেও আমরা ১৬ ও ১৭তম গ্রেডে চাকরি করছি। পদমর্যাদা অনুসারে আমাদের পিওনের মতো কাজ করার কথা। কিন্তু তা না করে আমরা আমাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে যাচ্ছি। এ কারণে আমরা আমাদের কাজ অনুসারে ১০ ও ১১ গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি জানাচ্ছি।
দাবি মানা না হলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রেসক্লাবের সামনে মনববন্ধন, এরপরও মানা না হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়াসহ কঠোর আন্দোলনে যাবো।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের পদমর্যাদা উন্নীত করার বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এসব কাগজপত্র নিয়ে আমরা অনেক ছোটাছুটি করেছি। কিন্তু আশানুরূপ কোনো ফলাফল পাইনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের প্রতিশ্রুতি দিলেও এসব দাবি দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে সরকারের কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে আমরা ভূমিকা রাখা সত্ত্বেও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মো ফিরোজ মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক নাজনীন আক্তারসহ অন্যান্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা এ বিষয়ে ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়াধীন শিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নীতকরণসহ নিয়োগবিধি দ্রুত বাস্তবায়ন করে পরিবার কল্যাণ সহকারীদের ১১তম গ্রেড এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের ১০ম গ্রেড দিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি; প্রত্যেক ইউনিয়ন, পৌরসভা সিটি এলাকায় বর্তমান নতুন ৯টি ওয়ার্ডের বিপরীতে পদবিন্যাস করে ৯টি ইউনিট চালু করা; কর্মচারীদের পেনশনে যাওয়ার সময় বিনা কারণে ২০ শতাংশ পেনশন কর্তন বন্ধ করা; মাঠ পর্যায়ের ভলান্টিয়ার নিয়োগ বন্ধসহ পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের পদ বিলুপ্তির ষড়যন্ত্র বন্ধ করা ইত্যাদি।