অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর কি হবে?
আন্দোলনের মুখে সাত কলেজের পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলো। রাজধানীর স্বনামধন্য এই সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবির মুখে কলম হাতে বসবার অনুমতি পেলেও প্রশ্ন অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর কি হবে?
সোমবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ১৭ই মে তালা খুলবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের। আর ২৪শে মে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান। সেইসঙ্গে স্থগিত থাকবে সকল ধরনের পরীক্ষা। ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। আর পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে প্রকাশ পায় ক্ষোভ।
১৩ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত দেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা নিতে পারবে। এর জন্য মানতে হবে সাতটি নির্দেশনা। এরপর শুরু হয় পরীক্ষা। পরীক্ষা দিতে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির কোনো তথ্য মেলেনি। এমনকি মেলেনি আক্রান্ত হওয়ার তথ্যও। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীরা হঠাৎ আসা শত্রুর কারণে প্রায় এক বছর শ্রেণি পাঠদানের বাইরে। হচ্ছে না পরীক্ষা। কিন্তু এরপরও চলমান পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় সেশনজটের চিন্তা বাড়ছে তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, আমাদের বর্তমানে প্রধান সমস্যা পরীক্ষা না হওয়া। অনলাইনে নানা অসন্তোষ থাকলেও চলছে ক্লাস। আমাদের মাথায় রাখতে হবে পরীক্ষা না হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়েও আমাদের বিপদের মুখে পড়তে হবে। তাদের বসতে দেবো কোথায়? হলের বিষয় তো আছেই। এখন পরীক্ষাগুলো হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
শুধুমাত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বছরে চার শতাধিকের বেশি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আটকে যাওয়া পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম মাস্টার্স ফাইনাল, ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষ, অনার্স চতুর্থ বর্ষ।